খাজা বাবা এনায়েতপুরী (রহঃ)’র একটি ঘটনা।

খাজা বাবা এনায়েতপুরী (রহঃ)’র একটি ঘটনা।

এনায়েতপুর পাক দরবারে একবার ওরছ শরিফ শেষ হবার পর লোকজন সবাই মোনাজাতের পরে বিদায় নিয়ে চলে গেলো। দরবার শরিফ একেবারেই খালি হয়ে গেলো, চারদিকে সুনশান-নিস্তব্ধ নিরবতা বিরাজ করছে। হঠাৎ করে খাজা এনায়েতপুরী (রহ.) সাহেবের সহধর্মিনী আমাদের হযরত বড় পীর আম্মাজান (রা.) দেখলেন ‘খাজা বাবা এনায়েতপুরী রাতের বেলা একটা হারিকেন জ্বালিয়ে একা একা দরবারের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতেছেন আর মাটিতে কি জেনো খুঁজছেন।

মনে হলো কোন বহুমূল্যের ধনরত্ন বোধহয় হারিয়ে গেছে। খাজাবাবা পেরেশান হয়ে মনে হয় তাই খুঁজতেছেন। হযরত বড়পীর আম্মাজান তৎক্ষনাৎ ওনার দ্বিতীয় সাহেবজাদা হযরত খাজা ছাইফুদ্দিন শম্ভুগঞ্জী (রা.) কে পাঠালেন। হযরত খাজা ছাইফুদ্দিন শাহ্ শম্ভুগঞ্জী (রা.) এসে খাজাবাবাকে জিজ্ঞেস করলেন “আব্বাজান, এতো হন্যে হয়ে কি খুজছেন, কিছু হারিয়েছে কি?” খাজাবাবা কেঁদে ফেললেন।

বললেন, ‘বাবা আজকে আমার চাঁন্দের বাজার ভাইঙ্গা দিয়া আমার মুরিদরা বাড়িতে চলে গেছে, ওরা বাড়িতে ভালো বিছানা রেখে, ভালো খাবার রেখে আল্লাহ- রাসুলের মহব্বতে এখানে এসে খড়ের বিছানায় ঘুমাইছে! আমি হুজরা থেকে দেখতাম দরবারে ওরা হাটাহাটি করছে, ওরা আজকে নাই, কিন্তু ওদের পায়ের ছাপগুলা আছে, আমি ঘুরেঘুরে ওদের পায়ের ছাপগুলা দেখে নিজের অন্তর ঠান্ডা করতেছি’!!

এ কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে রইলেন হযরত খাজা ছাইফুদ্দিন শাহ্ শম্ভুগঞ্জী (রা.) – “একজন মুর্শেদ তার মুরিদদের এতো ভালোবাসে যে মুরিদরা চলে যাবার পরে মধ্যরাতে হারিকেন জ্বালিয়ে ঘুরে ঘুরে মুরিদের পায়ের চিহ্ন দেখে বেড়ায়!”

আরো পড়ুনঃ

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel