মির্জা গালিবের বাণী ও পঙক্তি সমাহার!
“বেদনা নিদানের জন্য মিনতি করেনি আমি ভালো হলাম না, মন্দ হয়নি।”
“দয়া করে যখন খুশি আমাকে ডেকে নাও, আমি বিগত সময় নই যে আবার আসতে পারব না।”
“একে সেই পুষ্পমুখির আলাপ, তাতে আমার বয়ান নিপুণতা যে ছিল প্রাণের দোসর সেই হলো প্রতিদ্বন্দ্বী আমার।”
“বন্দনার মাঝেও সেই স্বাধীন চিত্ত আর আত্মবোধ পাল্টা ফিরে আসি, যদি কাবার দরজা বন্ধ থাকে।”
“বিস্ময়ে সব কিছু হারানোর এই তামাশা দেখে যাও, প্রিয়র লীলাময় বিচরণের পদচিহ্ন হয়ে পড়ে আছি”
“জীবন তো এমনি কেটে যেত, কেন যে তোমার পথের কথা মনে পড়লো।”
“দয়া করে যখন খুশি আমাকে ডেকে নাও, আমি বিগত সময় নই যে আবার আসতে পারব না।”
“মদিরা আসর হতে এমন তৃষনার্ত ফিরে এলাম কি না আমি! আমি না হয় তওবা করেছিলাম, সাকির কী হয়েছিল!”
“ভাবনা আবার তোমার গলিতে যেতে চায়, বোধ হয় হারানো হৃদয়ের কথা মনে পড়েছে”
“সে এলো আমার ঘরে কি ঈশ্বরের লীলাখেলা, আমি কখনো তাকাই ঘরের দিকে আর কখনো তাকাই তার দিকে।”
“উদার সুর্যের কষ্ট দেখে বিচলিত হৃদয় আমার, আমি যে মরুর বুকে কাঁটার ওপরে পড়া শিশির!”
“যে আর্তনাদ ঠোঁটে এলো না, সে বুকে দাগ কেটে বসে যে জলবিন্দু নদীতে পৌঁছলো না তাকে মাটি শুষে নেয়।”
“প্রতি দীর্ঘশ্বাসে হৃদয়ের টুকড়ো বের হয়ে আসে, নিঃশ্বাসের সুতোয় প্রতিদান শিকারে ফাঁদ পেতেছে আজ।”
“আশা নেই প্রশংসাতে পরওয়া করি না পুরস্কার, আমার শেরের মানে কঠিন, বলো সে তো তোমাদের অধিকার।”
“প্রেমের উপর জোর খাটেনা, এ সেই আগুন, গালিব-যা জ্বালালে জ্বলে না, নেভালে নেভে না।”
“জীবন তো এমনি কেটে যেত, কেন যে তোমার পথের কথা মনে পড়লো।”
“প্রদীপ নিভে গেলে তা থেকে ধোঁইয়া ওঠে, আমি নেই তাই প্রেমের আগুন কালো পোশাক পড়েছে।”
“তোমার নির্দয় দৃষ্টি যদি এভাবেই সংবরণ শিখিয়ে যায় শিরায় রক্তের মতো, শুষ্ক তৃণে আগুন লুকিয়ে যাবে।”
“হে খোদা, সে না বুঝতে পারে আমাকে না বুঝতে পারে আমার কথা, তাকে দাও ভিন্ন হৃদয় অথবা আমাকে দাও ভিন্ন বাচনভঙ্গি।”
“যে প্রাণ দিলাম তোমায়, সে তো তোমারই দেয়া আসল কথা এই—তোমাকে কিছুই দেয়া হলো না।”
“বিস্ময়ে সব কিছু হারানোর এই তামাশা দেখে যাও, প্রিয়র লীলাময় বিচরণের পদচিহ্ন হয়ে পড়ে আছি।”
“এমন কি চৌকশ, কী এমন অনন্য গুণ ছিল আমার! গালিব, এই ভাগ্য অহেতুক শত্রু হলো আমার।”
“মিলন হবে কখন, কবে প্রিয়ার স্মৃতি নেইতো মনে প্রেমের ফাগুন জ্বাললো আগুন, ছাই হল সব সেই আগুনে।”
“প্রত্যহের তুচ্ছতার কাছে যদিও বন্ধক ছিলাম, তবু তোমার ভাবনায় অবহেলা হয়নি কখনো।”
“তোমার দরজার সামনেই ঘর বানিয়ে নিয়েছি আমি, এবারও কি বলবে আমার ঘরের ঠিকানা জানো না তুমি!”
কবিতার অনুবাদ: গুগল থেকে সংগৃহীত
কিছু পঙক্তি মূল হতে ভাষান্তর : জাভেদ হুসেন