খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ (রহ.)-এর ১০টি উপদেশনামা
নকশবন্দিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ইমাম হজরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ (রহ.) বলেন:-
(১) দরবেশের জন্য পীরের খিদমত করা নফল এবাদতের তুলনায় উত্তম।
(২) বাইরের রং-রূপবিহীন এবং ভিতরে বিরোধিতাবিহীন হওয়া দরবেশ।
(৩) মহববতের জন্য অজিফা এই যে, হাবিব মাহবুবের অন্বেষণে সর্বদা লেগে থাকবে।
৪) এবাদতের অর্থ্যাৎ বন্দেগীর মধ্যে অস্তিত্বের অন্বেষণে। আর দাসত্বের মধ্যে অস্তিত্বকে বিলোপ করে দেওয়া। যে পর্যন্ত নিজস্ব বোধ অবশিষ্ট থাকবে, সে পর্যন্ত কোনো আমলেরই ফল পাওয়া যায় না।
৫) যিনি বন্ধুর মিলন লাভ করেছেন, তিনি আদব রক্ষার ফলেই তা লাভ করেছেন। আর যারা বঞ্চিত হয়েছেন তারা আদব রক্ষা না করার কারণেই হয়েছেন।
(৬) অমনোযোগিতা দূর হওয়াকে বলে জিকির। যখন অমনোযোগিতা দূর হয়ে যায়, তখন তুমি নীরব থাকলেও জিকিরকারী।
(৭) সর্বদা দিলের পর্যবেক্ষণ আবশ্যক। পানাহার, কথা বলা, শ্রবণ করা, চলাফেরায়, ক্রয় বিক্রয়, এবাদত, নামাজ, তিলাওয়াত, পড়াশোনা, লেখা, সবক আদায়, ওয়াজ নসিহত ইত্যাদি কাজে কলবের প্রতি সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখতে হবে। চোখের পলক পরিমাণ সময়ও আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল বা অমনোযোগী হওয়া যাবে না। এইরকম করলে তোমার মকসুদ হাসিল হবে।
(৮) যারা পথপ্রদর্শক এবং তালিম তালকিন করে থাকেন। তারা তিন ধরনের-ক) কামেল(পূর্ণ), খ) মোকাম্মেল(পূর্ণতাপ্রদানকারী, গ) মোকাল্লিদ(অনুগত).
(৯) হাদিস শরীফে এসেছে, ধৈর্য্যশীল ফকির কিয়ামত দিবসে আল্লাহর নৈকট্যশীলদের দলভুক্ত হবেন।
(১০) আমাদের তরিকা থেকে যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে, তাদের দ্বীন বিনষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সূত্র: (সীরাতুল মাশায়েখ-পৃষ্ঠা-১০৯)