শ্রী কৃষ্ণের আধ্যাত্মিক বানী সমূহ
“আমিই অতীত, আমিই বর্তমান, আমিই ভবিষ্যৎ, আমি সর্বপ্রাণীর মধ্যে বিরাজ করি। যে আমাকে মন দিয়ে স্মরণ করে, আমি সর্বদা তার মধ্যেই থাকি।”
“আত্মার জন্ম নেই, না কখনো মৃত্যুও হয়। শুধুমাত্র শরীর নষ্ট হয়, আত্মা কখনও নষ্ট হয় না।”
“অগ্নি যেমন ধুম দ্বারা আবৃত থাকে, দর্পণ যেমন ময়লা দ্বারা আবৃত থাকে, অথবা গর্ভ যেমন জরায়ুর দ্বারা আবৃত থাকে, তেমনি জীবাত্মা বিভিন্ন মাত্রায় এই কামের দ্বারা আবৃত থাকে।”
“জড় বস্তুুগত সুখ সর্বদা ক্ষনস্থায়ী, কেবল ঈশ্বেরের প্রতি আত্মসমর্পণ এবং ভক্তিই হল অনন্ত সুখের একমাত্র পথ।”
“নরকের তিনটে দরজা হয়- কামনা, ক্রোধ ও লোভ।”
“যে ব্যক্তি কাম, ক্রোধ, লোভ, মায়া, ঈর্ষা, মাৎসর্য থেকে মুক্ত, আমি কেবল তার মধ্যে বিরাজ করি।”
”লোভ কোর্ধ হিংসা পরম শত্রু, যার উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য।”
“অহংকার মানুষের মধ্যে বিভিন্নতা সৃষ্টি করে। অহংভাব না থাকলে পরমাত্মার সাথে বিভিন্নতা হওয়ারও কোনো কারণ থাকেনা।”
“অনেকে মনে করেন সংসার ও সংসারকর্ম ত্যাগ করাই হলো সন্ন্যাস, কিন্তু তাদের এই ধারনা ভুল। সংসার ত্যাগ করা নয়, বরং সংসারে লোভকে ত্যাগ করাই হলো আসল ত্যাগ বা সন্ন্যাস।”
“খালি হাত এসেছো খালি হাত চলে যাবে, যা কিছু আজ তোমার সেটা অন্যদিন কারো ছিলো, পরশু সেটা আরো কারো হয়ে যাবে। আজ তুমি যে জিনিস নিজের বলে প্রসন্ন, সেটাই তোমার দুঃখের কারণ।”
“বাস্তবে না পরিচয় মানুষের দেহের সাথে যুক্ত থাকে, না তো সম্পর্কের ভিত্তি তার দেহের সাথে যুক্ত থাকে। মানুষের স্বভাব, তার আচরণ আর তার কার্যই তার পরিচয়।”
“আমি যাকে অধিক ভালোবাসি একমাত্র তাকেই দুঃখ কষ্টে জর্জরিত করে দেখি, সে এই দুঃখ কষ্ট নিয়েও আমাকে কতটুকু স্মরন করে। আর যখন সে ব্যক্তি দুঃখীত অবস্থায় আমায় স্মরণ করবে, তখন তার এই জাগতিক দুঃখ কষ্ট তুচ্ছ বোধ হবে এবং সে পরমার্থিক সুখ লাভ করবে। কৃষ্ণ প্রেমে আকৃষ্ট হয়ে যাবে তার মন।”
“অর্জুন কৃষ্ণকে বলেছিলেন, ‘তুমি আর ভগবান কি এক? নাকি বহু? তুমি যদি এক হইয়া থাকো তাহলে এতগুলো দেবতার পূজা কেন করি?’ উত্তরে কৃষ্ণ বলিলেন, ‘একই সুতায় গাঁথা ফুলের মালা-তুমি যে কোন একটি ফুলকে পূজা দেওনা কেন সে পূজা আমিই পেয়ে থাকি; (মালাটিই আমি নিজেই) আমি ভগবান এক, অদ্বিতীয়।'”