আধ্যাত্মিক বাণী – ফকির সেলিম কাদেরী (পর্ব-৫)
৪১/ প্রতিহিংসায় কোন ধর্ম নয় প্রতিহিংসায় আছে নিজেকে আন্ধকারে হারিয়ে ফেলার ভয়, আর হিংসা, নিন্দা বর্জন ব্যতীত ভালোবাসার আগমন ঘটে না৷
৪২/ মানুষকে ভালোবাসুন- সে যে কোন ধর্ম গোত্রের হোক, বা সে হোক অতি নগন্য, স্রষ্টা যদি চান তাকেও একদিন সোনার মানুষে পরিনত করতে পারেন, তাই কাউকে অবহেলা করা ঠিক নয়৷ আপনার ভালোবাসা যদি সঠিক হয় তাহলে ওই ভালোবাসার বাতাস লেগে সেও একদিন পরিবর্তন হতে পারে৷
৪৩ /কর্ম গুলো হোক সুন্দর,সওম হোক সকলের হৃদপিন্ডে ধারণ৷
৪৪/ সওম হোক সকলের সারা বছরের বন্দেগি, সওম দ্বারা পরিপূর্ণ হোক সকলের জিন্দেগী৷
৪৫/ ভালোবাসা অসিম এক সাগর এ সাগরে যিনি মুর্শিদকে নিয়ে ডুব দিয়েছেন তিনি মনি মুক্তার সন্ধান পেয়েছেন আর যিনি বিনা মুর্শিদে ডুব দিয়েছেন তিনি তলিয়ে গেছেন৷
৪৬/ কামেল মুর্শিদ এমনই এক খোদা দেখার আয়না যিনি সেই আয়নায় নিজেকে যত বেশি দেখবেন তার আয়নাও তত বেশি সচ্ছ এবং পরিস্কার হতে থাকবে ৷
৪৭/ প্রতিটি মানুষই একে অপরের আয়না সরূপ, যার আয়না যত বেশি পরিস্কার তার সেই আয়নায় বিপরীত ব্যক্তি তাঁর নিজেকে তেমনটাই দেখে থাকেন৷
৪৮/ বাহিরে আমরা পানি দিয়ে পরিস্কার করি, আসলে কি পরিস্কার হয়? মনকে বুঝানোর মত পরিস্কার হয় যা
“মিছে শান্তনা”, পবিত্র করতে হবে মন তাহলে বাহিরে সকল কিছুই পরিস্কার ঝকঝকে মনে হবে, আর তার জন্য একজন কামেল মুর্শিদের অনুসরণ করতে হবে ৷
৪৯/ ঘৃণা প্রকাশে নেই ভালোবাসা, এতে কেবল ঘৃণ্যতা আর তিক্ততা৷ বই আর কিছুই উপলব্ধি করা যায় না বরং মনে অশান্তি বেড়ে যায়৷ ক্ষমায় লুকিয়ে আছে ভালোবাসা এতে মনের মহত্ত্বের পরিচয় বহন করে এবং এক প্রকার প্রশান্তি অনুভব করা যায়৷
৫০/ অতীতঃ পাকপাঞ্জাতন, বর্তমানঃ প্রাণো মুর্শিদধন, ভবিষ্যৎঃ গুরু কর্ম সাধন৷
— ফকির সেলিম কাদেরী