শাহ্সূফী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব ফরমান;
“নেকলেস সোনার তৈরী হার। বিবাহের দিনে কনে কে বরন করিবার প্রতীক হিসেবে সোনার হার দেয়া হয়। নেকলেস সোনার তৈরী বলিয়া কেহ একখন্ড স্বর্ণ টুকরাকে কনের গলায় ঝুলাইয়া দেয় না।
স্বর্ণ পিন্ডকে সোনার হারে পরিণত করিতে হয়। সোনার হার বা নেকলেসকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, হে সোনার হার! তুমিতো মূলতঃ একটি স্বর্ণ পিন্ড, তুমি কেমন করিয়া সোনার হারে পরিণত হইলে?
সোনার হার তাহা হইলে হয়তো তাহার মর্ম বেদনা শুনাইবে। স্বর্ণ টুকরাকে এসিড ও সোহাগায় মিশাইয়া আগুনের তাপে জ্বালানো হয়। তাহার পর সেই গলিত সোনাকে ছাঁচে বা ডায়েসে ফেলিয়া হারের আকার দেয়া হয়। তাহার পর হাতুড়ির ঘায়ে ঘায়ে সমান করা হয়। শিরিষ কাগজ দিয়া ঘষিয়া মসৃন করা হয়।
পরে সেই সুদর্শন উজ্জ্বল সোনার হারকে নীল কাগজে মুড়িয়া সুন্দর বাক্সের মধ্যে প্যাকেট করিয়া বিবাহ বাসরে কনে বরণ করিবার উপযক্ত করা হয়। তখনই তাহাকে নেকলেস নামকরণ করা হয়। তাহাকে যে দেখে, সেই প্রশংসা করে।
তাই তখন নেকলেস বলে,”আমি নব বধুর গলার হার হইতে যাইয়া এত যন্ত্রণা সহ্য করিলাম।
আর তুমি আপন মাশুকের গলার নেকলেস হইতে চাও, হুশিয়ার! কত দুঃখ, বেদনা যে তোমাকে পোহাইতে হইবে তাহার সীমা নাই। যদি তুমি সেই দুঃখ বেদনা সহিতে পার, তবেই মাঞ্জিল-এ-মাকছুদে পৌঁছাইতে পারিবে।”
হে আল্লাহতায়ালার প্রিয় বান্দাগণ! তোমরা যদি আপন মাশুকের সহিত প্রেমের খেলা খেলিতে চাও, দুনিয়ার সমস্ত সুখ ও সম্ভার, সমস্ত ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য-শাহী সিংহাসন, কামনা-বাসনা পরিত্যাগ করিয়া জামানার কামেলের কদমে নেছার হইয়া যাও।”