বিশ্ব ওলি খাজাবাবা ফরিদপুরীর কারামত: ৪

বিশ্ব ওলি খাজাবাবা ফরিদপুরীর একটি কারামত

বিষয়ঃ মসজিদ ভাঙ্গন

১৯৮৫-৮৬ ইং সনের একটি অবিস্মরনীয় ঘটনা।

বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার একটি শতবর্ষের
পুরাতন ঐতিহাসিক মসজিদ নদী ভাঙ্গনের
কারণে মাতাত্মকভাবে কাত হয়ে পড়ে।

তদুপরি প্রচন্ড স্রোতের ধাক্কায় মসজিদটি যে কোন
মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন
হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল।
ইতোমধ্যই মূলভিটির মাঝখানে বিরাট ফাটলও দেখা যাচ্ছিল।
এলাকাবাসী বিশেষ করে মুসল্লীগণ সবাই গভীরভাবে চিন্তিত,
আতংকিত হয়ে পড়লো।

কিভাবে মসজিদটিকে অবশ্যম্ভাবী
ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা যায়?
এ বিষয়ে কেউ কোন কার্যকর পরামর্শ
বা সমাধান দিতে পারছিলেন না।
মসজিদ কমিটির একজন জাকের ছিলেন।

তার পরামর্শে উক্ত মসজিদের ইমাম,মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল
এবং একই সাথে মসজিদ কমিটিরও সেক্রেটারী
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ নিভৃত পাড়াগাঁ আটরশিতে গিয়ে
বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নিকট
মসজিদ ভাঙ্গনের ভয়াবহ চিত্রটি তুলে ধরলেন।
পীর কেবলাজান সব শুনে সেই পড়ো পড়ো ধসে যাওয়া মসজিদে
৪/৫ গ্রামের লোক নিয়ে জু’মার নামাজ পড়ার জন্য
মাওলানা সাহেবকে নির্দেশ দিলেন।

নামাজের আগে ও পরে অত্যন্ত হাউস ও মহব্বতের সাথে
মিলাদ শরীফ পড়ার জন্য বলে দিলেন।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ হুজুর
কেবলাজানের হুকুম মাথায় করে
এলাকায় ফিরেই দেখেন, প্রায় পড়ে যাওয়া মসজিদটি
বেশ কিছুটা সোজা হয়ে গিয়েছে।
পরে নির্দেশানুযায়ী জু‘মার নামাজ ও মিলাদ শরীফ
পড়ার পর নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে স্রোত
ও পানি ভিন্নধারায় প্রবাহিত হতে শুরু করল।

এতে করে বালির ধাক্কায় মসজিদটি
আগের মতোই পুরোপুরি সোজা হয়ে গেলো,
এমনকি ভিটার মাঝখানের ফাটল
বা ফাঁকও বালিতে ভরাট হয়ে গেলো।
ফলে মোড়লগঞ্জ এলাকায় হযরত শাহসূফী
খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের আধ্যাত্মিক শক্তি
ও উচ্চ মর্তবা জনসাধারণের কাছে প্রকাশ হয়ে গেল।

→সকল ওলীদের কারামত ভিত্তিক পোস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel