হোমপেজ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:৫

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:৫

179

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:৫

গুলিস্তান থেকে- বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, আমার দেখা ৪০-বছর।

-আব্দুল হান্নান

মানুষের বয়স বারে না কমে তখন তো বুঝিনি, ঘন ঘন দরবারে যেতাম ভালো লাগত। ভালো লাগার পেছনে কারন আছে খাজাবাবা-কে আনেক কাছে পেতাম।

তখন কার সময়ে রহমতের সাদ-ই ছিলো অন্য রকম অনেক সাদ পেতাম ‘হুজুর “কেবলা’জান নিজে মাইক্রোফোন হাতে নিতেন অনেক সুন্দর সুরে বলতেন বাবা সকল এখন রহমতের সময় কেহ ঘুমায় না! ঘুম থেকে উঠেন এ সময় ওলী-আল্লাহ সকল! পশু, পাখি, কিট পতঙ্গ, বৃক্ষ তরু লতা, সকলেই আল্লাহতালা দরবারে ধরনা দিয়ে থাকেন। বাবা-রা উঠেন অমূল্য জীবন শ্বপ্নের মত চলিয়া যাইতেছে হুশিয়ার হও,নিশির শেষভাগে আল্লাহতালাকে ‘ইয়া আল্লাহু, ‘ইয়া রহমানু, ইয়া রাহীমু,- তিন নাম ধরিয়া ডাক। তবেই কল্যাণ- সন্দেহ নাই আরো অনেক নসিহত করতেন।

গভীর রাত: বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে রহমতের সময়

ফজরের নামাজের পর ফাতেহা শরীর, খতম শরীফ শেষে, মুজাদ্দেদ সাহেবের গজল গাইতেন- মুজাদ্দেদী গজল।

মুজাদ্দেদ আলফেসানী মান (২বার)

দেল ও জানম বাশ ও কেতু
বাহরদম জারে মিনালেদ
নামা আতাল আতে জিবা ।

মুজাদ্দেদ আলফেসানী মান (২বার)

গোলামেতু শুদাম আজ জান
মুরিদেতু শুদাম আজ দেল
শুয়াদ বর পায়েতু কুরবান

মুজাদ্দেদ আলফেসানী মান (২বার)

বমিছ কিনাম দরে গাহাত
চুফরমায়ে নজর বারে
বহালম হাম নজর ফরমা
কে খাকে পায়ে মিছকি নাম।

মুজাদ্দেদ আলফেসানী মান (২বার)

গজল টা আমার কাছে অনেক আপন মনে হইতো অনেক ভালো লাগতেন। ভোর বেলায় আমরা যাইতাম দরবারে সামনে রাস্তায় আটরশি ও আশে পাশের গ্রামের মানুষ খেজুরের গুড়, খেজুরের রস, ডাব, নারিকেল, পাকা পেপে, সময়ের ফল ফলাদি বিক্রির জন্য নিয়ে আসতেন।

তখন কার সময়ে এক গ্রাস খেজুরের রস ৫০ পয়সা, ২ টাকা একটা ডাব, ১৫ টাকা সের খেজুরের গুড় বিক্রি করতেন। ৬৫/৭০ বছর বয়স হবে এমন এক জনের কাজে রস খেতে গেলাম। চাচা আমাকে এক গ্রাস রস দেন তিনি আমার উপর রেগে গেলো ! আমি আপনার চাচা না আমি আপনার জাকের ভাই, তিনি ছিলেন আটরশি গ্রামের, খাজাবাবা -র প্রথম সময়ের জাকের।

তিনি বলেন ‘খাজাবাবা’ আগে বলতেন বাবা এমন একদিন আসবে মানুষ মুরীদ হওয়া জন্য আহাজারি করবে কান্তে কান্তে পুকুরিয়া থেকে বাড়ি ফিরত যাবে আরো অনেক কথা বলেন।

এখানে একটু আলোচনা করি ১৯৯৫ সালের পর সকাল ৯টার সময়ে শত শত মানুষ। তিন নাম্বার হুজরা শরীফের লাইন দিয়ে থাকতেন কখন খাজাবাবা হুজরা’শরীফে আসবেন তরিকা নিবেন বা মুরীদ হবেন আমি নিজে দেখেছি কত মানুষ আহাজারি করতেন আমরা-কি খাজাবাবা -র হাতে তরিকা নিতে পারবো না !

১৯৮৫/৮৬ সালের বলা কথা ‘পীর কেবলা’জানের প্রথম সময়ের জাকের সন্তানের কথা সত্য প্রমাণনিত হলো ১৯৯৫ সালের পর মাঝে কেটে গেলো ১০ টি বছর!

আমার দেখা ৪০ বছর! খাজাবাবা ফরিদপুরী ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ‘ নিয়ে লেখতে চাই আপনাদের মতামত জানাবেন আশা রাখি।

চলবে……

পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন:

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল- (সবগুলো পর্ব পড়ুন)