মহর্ষি কবিয়াল রমেশ শীলের বাণী।
“মিমের পর্দা খুলে দেখলে দেখবি রে অবুঝ মন, রাম রহিম কৃষ্ণ করিম মূলত একজন।”
“তৌহিদে পাইবে খোদা অজুদে মজুদ, তৌহিদে হাছেল হয় ছমিউন মাবুদ।”
“আশেক মাশুকের প্রেমের এমন নিশানা, তার মরণ বাচন সমান কথা দিল দিওয়ানা।”
“গুরু কি ধন চিনলি নারে ওরে অবোধ মন। দান ধর্ম কাবা কাশী গুরুজীর চরণ।”
“নীচে হাওয়া উপরে পানি, তার উপর আগুনের খনি, তার উপরে আসল ধনী বসে আছে আসন ছাড়া।”
“মোরাকাবা মোশায়েদা, পীরের বরজক থাকলে ধরি, রমেশ বলে আজরাইল এলে খোঁজে পায় না তার কোন বাড়ী।”
“আজরাইল যার আমিও তাঁর, দুইজন করি দুই চাকুরী, আজরাইল জান কবছ করে, আমি করি তাবেদারি।”
“একটি ভিক্ষা মাগি আমি, আমিত্বে কই আমি আমি। আমিটি ঘুচায়ে তুমি, আমিরে চাই তুমি কর।”
“গুরু যার থাকে তুষ্ট, তার উপর জগত সন্তুষ্ট। গুরু রুষ্টে জগত রুষ্ট, কষ্ট অগনন।”
“মানুষ হয়ে চিনলি না মানুষ একি বিষম দায়। কোন্ মানুষ তোর শ্বাসের পথে নিত্য আসে যায়।”
“প্রণমি চরণে, দীন হীন সন্তানে, বিশ্ব পতি তুমি পরম দয়াল। করুণানয়নে চাও দীন পানে, ভক্তি শূণ্য আমি অধম ছাওয়াল।”
“যে দেশেতে গুরু জ্যোতি, সে দেশেতে নাই দিবা রাতি। বিনা তৈলে জ্বলে বাতি, উজ্জ্বল বরণ।”
“চন্দ্র সূর্য্য তারা জীব জড় যত, প্রাণ রূপে তুমি সর্ব ঘটে স্থিত, তুমি শুদ্ধ সত্য, তুমি মুক্ত নিত্য, তুমি স্বর্গ মর্ত্ত তুমি সে পাতাল।”
“গুরু দেবের কৃপা হলে, বিনা তারে টেলি মিলে। রমেশ বলে নাই কপালে, করিতে সাধন। পার হইবার আশা হলে, লুটিয়ে থাক চরণ তলে। অমনি এসে লবে কোলে, তার দয়া এমন।”
“তোমার রূপের নিশাতে মনছুর মস্তানা, শমসের তবরেজ তোমার রূপে দেওয়ানা, রমেশ ফানা হয়ে রূপে বিভোর হয়েছি।”
“দয়াল গুরুর অপার দয়া, আমি দয়ার পাত্র নই। কি দিয়ে করিবে দয়া আমি তারে ডাকি কই। দেখা দিয়ে সঙ্গে ফিরে, আমি কভু চাই না ফিরে। কাম কাঞ্চনের ফান ফিকিরে, সদা দূরে দূরে রই।”
“মায়ার ধোকায় বোকা হয়ে কারে কর অন্বেষণ। আপন ঘরে গোপন বন্ধু খুলে দেখ জ্ঞান নয়ন।”
“তুমি দমের কলে পুতুল নাচাও, চিন্তে পারি না। নিজে পুতুল তৈয়ার করে, নিজে ঢুকে তার ভিতরে, হাস গাও নাচ খেল, তোমার কারখানা।”
তথ্যসূত্র: মহর্ষি কবিয়াল রমেশ শীলের বিভিন্ন গানের লাইন হতে তুলে ধরা হয়েছে ।