হোমপেজ আধ্যাত্মিক কবিতা সৈয়দ মামুন চিশতীর আধ্যাত্মিক বাণী (পর্ব-৫)

সৈয়দ মামুন চিশতীর আধ্যাত্মিক বাণী (পর্ব-৫)

সৈয়দ মামুন চিশতীর আধ্যাত্মিক বাণী (এলহামে এলাহী)

৪১//
অধরাকে ধরতে গিয়ে হলেম দিশেহারা,
ধরায় যে জন ধরছে তাঁরে তাঁর কাছে নে পড়া।
তবেই যদি দেখিস রে মামুন অধর চাঁদের চেহারা।

৪২//
খোদা খোদা বলে ডাকি
খোদার কি রূপ নাহী দেখি
হৃদে আঁকা যে মুরতি
সেটাই কী খোদা তোমার ছবি?

৪৩//
মন নিষ্কাম প্রেমী না হলে
মুক্তি পাবি কিসের ছলে?
চুরাশী লক্ষ যোনীর ঘূর্ণিঝালে,
অরুজ-নজুলেই আসবি চলে।

৪৪/
স্বরূপেতে দিয়ে ধরা,
দেখিয়ে দে খোদা তোর রূপ চেহারা,
তৃষ্ণায় আখি পাগল পারা,
দ্বীন মিয়া কিন্তু সামনে খাড়া।।

৪৫//
বোবা হও অন্তরের মর্ম বাণী শুনো,
দেখো প্রভু তোমার কত নিকটে,
চোখ বন্ধ করো, অন্তর দৃষ্টি খোলে দাও,
দেখো মাওলা কি অপরূপে তোমার সন্নিকটে বসে আছে।।
এখানে এসেই শ্রী মনোমোহন দত্ত বলেছেন প্রভুকে,
“মনের মধ্যে আলাপ করো অতি গোপনে,
পাড়ার লোকে শুনলে পরে লজ্জা দু জনের।”

৪৬//
কাম-কামিনীর মোহে পরে,
ডাকলে কি আর পাবি তারে?
মোহ-ধান্ধার মায়ার পরে,
আর কত পরবি ফেরে।
অমূল্য ধন বিকাইয়া
কি জবাব দিবি মাওলার ধারে,
দিন থাকিতে সরল প্রেমে
মজলি না মন কেনো রে।

৪৭//
না ভাবলে দেয় না ধরা,
না ডাকিলে না দেয় সারা
ভাবনার মাঝে তার চলা ফেরা,
বায়ুটা সঙ্গ করে।

৪৮//
আমার দয়াল নামের সরাব পিয়ে,
থাকে যে জন মগ্ন।
পাপের ছায়াও পরে না তার পদতলে,
সর্বত্রই সে পূণ্য।।

৪৯//
সমাজ যখন মূর্খ দ্বারা লালিত হয়,
সে সমাজে জ্ঞানী-গুণী
সুশিক্ষিত মানুষরা খুব অসহায়ের মত বেঁচে থাকে।
আর সত্যের প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঘটে দুষমনাদের দ্বারা।

৫০//
স্বরূপেতে দিয়ে ধরা,
দেখিয়ে দে খোদা তোর রূপ চেহারা,
তৃষ্ণায় আখি পাগল পারা,
দ্বীন মিয়া কিন্তু সামনে খাড়া।।
– সৈয়দ মামুন চিশতী

বাণী: সৈয়দ মামুন চিশতী
» সৈয়দ মামুন চিশতীর আধ্যাত্মিক বাণী (সব পর্ব)