মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমির ২০টি সেরা মুর্শিদী বাণী
১.
তুমি যদি আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য বা সামনে বসতে চাও, তবে কামেল অলীগণের দরবারে বসে যাও।
২.
মানুষ কে খোদা বল, মানুষ খোদা নয় কিন্তু মানুষ খোদা হতে পৃথক নয়।
৩.
আল্লাহ আল্লাহ জপতে জপতে মানুষই আল্লাহময় হয়ে যায়, এ কথা কি হবে সাধারণ লোক বিশ্বাস করবে।
৪.
শত শত কিতাব আগুনে নিক্ষেপ কর। তোমার সিনাকে পীরের ধ্যান দ্বারা সত্য নূর দিয়ে ফুল বাগানে পরিণত কর।
৫.
এক মুহুর্ত আউলিয়ায়ে কেরামের সহচার্য লাভ করা, শত বছরের ত্রুটিহীন এবাদত অপেক্ষা উত্তম।
৬.
তুমি যদি আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য লাভের ইচ্ছা পোষণ কর, তবে আউলিয়া কেরামের দরবারে বসে যাও।
৭.
তুমি যদি আউলিয়া কেরামের পদধূলি দ্বারা স্বয়ং চক্ষুকে জ্যোতিময় কর, তবে তুমি আদি ও অন্ত সব কিছু দেখতে সক্ষম হবে।
৮.
অতএব, আল্লাহ পাকের গুনাহবলীতে
গুনান্বিত লোকদের সামনে দেলকে ওয়াসওয়াসা ও কুধারণা হতে হেফাযতে রাখিও, যেন অন্তরের বদ গুমানির কারণে তোমাকে লজ্জিত হতে না হয়।
৯.
তুমি যদি মারেফাতের নূর চাও, তবে মুর্শিদে কামেলের সাহর্চযে থাকিয়া নূরের প্রতিভা ও যোগ্যতা অর্জন কর। আর যদি আল্লাহর রহমত থেকে দুরে থাকিতে চাও, তবে অহংকার ও খোদপছন্দী কর এবং অলীর দরবার থেকে দুর হয়ে যাও।
১০.
যেহেতু মানুষের আকৃতিতে বহু শয়তান রয়েছে, তাই অনুসন্ধান না করে যে কোন হাতে হাত দেওয়া বা বাইয়াত হওয়া উচিৎ নয়।
১১.
তুমি যখন আল্লাহর সম্মানিত ওলীগণকে সাধারণ মানুষরুপে দর্শন কর, তখন মনে করিও এই দর্শন তুমি ইবলিস হতে উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত হইয়াছ।
১২.
কোন মানুষ কে যদি আল্লাহ পাক লাঞ্চিত অপমানিত করতে চান, তবে তার গতি ফিরিয়ে দেন নেক লোকদের কে বা অলীগণের দোষারুপ করার প্রতি।
১৩.
আল্লাহর বিশিষ্ট বান্দা পীরে কামেলই হন আল্লাহ পাকের কুদরুতি ছায়া, যারা দুনিয়ায় মুর্দা স্বরুপ আল্লাহর রাস্তায়, তারাই জীবিত ও প্রাণ চঞ্চল!
১৪.
অলীগনের বাতেনী বাণীর সামান্য পরিমাণ ও যদি আমি বয়ান করি, তবে (মৃত) আত্না সমূহ কবর থেকে উঠে আসবে।
১৫.
প্রকৃত পীর মুর্শিদ তথা তাঁর রুহানী ফয়েয বরকত তাঁর মুরিদের ভিতর হতে দুনিয়ার মোহকে চোষে নেয়, ঐ ফয়েজের বদৌলতেই ইলহাম, ওহী এবং তার গোপন রহস্যের স্বাদ অনুভব করে।
১৬.
পীরের জাত ও আল্লাহর জাত এক জাত, এই দুই নূরকে যে এক রুপে দেখতে না পারবে সে মুরিদ নয়, সে মুরিদ নয়, সে মুরিদ নয়।
১৭.
আমার মুর্শিদ কামেল শামছে তাবরিজীর গোলামী না করা পর্যন্ত আমি মাওলানা রুমি কামেল হতে পারি নি।
১৮.
যাও, আল্লাহ পাকের ছায়া তথা কামেল পীরের শিক্ষা ধরে আল্লাহ পাক পর্যন্ত যাও। এই পথে মুর্শিদ সম্রাট শামছে তাবরিযীর জামা আকড়ে ধর।
১৯.
তুমি যদি কঠিন শিলা বা র্মাবেল পাথর ও হও, তুমি যখন কামেল পুরুষের সান্নিধ্যে পৌঁছবে তখন তুমি মুক্তায় পরিণত হবে।
২০.
আল্লাহর দরজা অলীদের নিকট খোলা থাকার কারণে তাঁরা লওহে মাহফুজে রক্ষিত বাণীতে পরিবর্তন করতে পারেন। এতে শিখ বা কাবাব কোনটাই জ্বলে না।