জালালউদ্দিন রুমির সেরা আধ্যাত্মিক বাণী
“আমি (রুমি) মুহাম্মদ (সাঃ) এর পদনির্বাচিত একটি ধূলিকণা মাত্র। জালাল উদ্দিন রুমি।”
“আউলিয়াদের সামনে শীর উঁচু রেখো না, আদবের বরখেলাপ হইবে, তকদিরে পোকা ধরবে! নত হও৷”
“প্রভুর প্রেমে আপন আত্মা খুইয়ে দাও, বিশ্বাস করো এ ব্যতিত (মুক্তির) কোন পথ নেই।”
“গুপ্তধন কখনও সরাসরি দেখা যায় না! গুপ্তধন লুকিয়ে থাকে, যে ভাবে লুকিয়ে আছে মানুষের ভিতরে পরমআত্মা!”
“দরবেশগনের কাজ তোমার জ্ঞানের বাহিরে৷”
“আমি যতদিন গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হয়েছি, আমি নিজেকে ব্যাতিত আর কিছুই দেখতে পাইনি।”
“”মানুষ কে খোদা বল, মানুষ খোদা নয় কিন্তু মানুষ খোদা হতে পৃথক নয়।”
“তুমি যখন আল্লাহর সম্মানিত ওলীগণকে সাধারণ মানুষরুপে দর্শন কর, তখন মনে করিও এই দর্শন তুমি ইবলিস হতে উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত হইয়াছ।”
“আমার মুর্শিদ কামেল শামছে তাবরিজীর গোলামী না করা পর্যন্ত আমি মাওলানা রুমি কামেল হতে পারি নি।
“মাওলানা রুমি নিজে নিজে আল্লাহকে খুঁজে পায় নাই, যতক্ষণ না পর্যন্ত শামসে তাবরীজের গোলামী না করছে।”
“তুমি কি ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে আছ জান্নাত-জাহান্নাম দেখতে? অথচ তোমার বর্তমানের মাঝেই রয়েছে সেগুলো!”
“খোদার সাথে মিলনের প্রত্যাশি হলে, আউলিয়া-কেরামের বৈঠকে যাও। এক মুহুর্ত আউলিয়া-কেরামের সোহবতে বসা শত বছর একাগ্রচিত্তে এবাদত বন্দেগির চেয়েও উত্তম৷”
“তুমি যদি মারেফাতের নূর চাও, তবে মুশিদে কামেলের সাহর্চাযে থাকিয়া নূরের প্রতিভা ও যোগ্যতা অর্জন কর। আর যদি আল্লাহর রহমত থেকে দুরে থাকিতে চাও, তবে অহংকার ও খোদপছন্দী কর এবং অলীর দরবার থেকে দুর হয়ে যাও।”
“প্রার্থনায় তো ধরাবাঁধা নিয়মের কোন দরকার নেই, তিনি তো শুনতে পান ছলনাহীন অন্তরের সকল কথা।”
“যার কল্বের দরজা উন্মুক্ত সে প্রত্যেকটি যাররাহ (অনুকণা ) মধ্যে প্রকৃত সূর্য। আল্লাহতালার অস্তিত্ব ও গুণাবলী দেখতে পান।”
“যেহেতু মানুষের আকৃতিতে বহু শয়তান রয়েছে, তাই অনুসন্ধান না করে যে কোন হাতে হাত দেওয়া বা বাইয়াত হওয়া উচিৎ নয়।”
“তুমি যদি আউলিয়া কেরামের পদধূলি দ্বারা স্বয়ং চক্ষুকে জ্যোতিময় কর, তবে তুমি আদি ও অন্ত সব কিছু দেখতে সক্ষম হবে।”
জালালউদ্দিন রুমির অনুপ্রেরণা মূলক বাণী
“যা দিয়ে সকল দরজা খোলা যায়, তার নামই প্রেম।”
“ভালোবাসা হচ্ছে সংযোগ রেখা তোমার আর সকলের মাঝে।”
“যে অন্ধকারের মধ্যেই তুমি থাক না কেন, ধৈর্য ধরে বসে থাক, প্রভাতের সূর্য শীঘ্রই আসিতেছে৷”
“মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়, আলো দেয়ার জন্য প্রথমে নিজেকেই জ্বলতে হয়।”
“তুমি গলে যাওয়া বরফের মতন হও, নিজেকে দিয়ে নিজেকে ধুয়ে নাও।”
“যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য দুঃখ করো না। তুমি তা আবার ফিরে পাবে, আরেকভাবে, আরেক রূপে।”
“নতুন পথে যাত্রার প্রারম্ভে এমন কারো উপদেশ গ্রহণ করোনা, যে কোনদিন ঘরের বাইরে পদার্পণ করেনি৷”
“হাজার রাত কাতর ভাবে ইবাদত করার চেয়ে ভালোবাসা দিয়ে কারো মনে আনন্দ সৃষ্টি করা তার থেকেও উওম।”
“জানো তুমি কে? তুমি হলে একটা ঐশ্বরিক চিঠির খসড়া, তুমি একটা আয়না আর দেখাচ্ছ একটা মহৎ চেহারা, মহাবিশ্ব তোমার বাইরে নয়, নিজের ভিতরে তাকাও, তুমি যা চাও সবই তুমি নিজে!”