খোদাঅন্বেষীদের জন্য খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) এর কিছু উপদেশঃ

খোদাঅন্বেষীদের জন্য খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) এর কিছু উপদেশঃ

মহান খোদাতত্ত্বজ্ঞ সাধক খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব বেশকিছু মূল্যবান উপদেশ রাখিয়া যান -যাহা খোদাতালাশীদের জন্য অতীব প্রয়োজন বিধায় নিম্নে তাঁহার কিছু কিছু উপদেশ তুলিয়া ধরা হইতেছে।

খোদাতালাশীদের জন্য পীরের খেদমত করা ও তাহার ছহব্বতে থাকা একান্ত প্রয়োজন। এই প্রসংগে তিনি বলেন, “আল্লাহতায়ালার দোস্তগণের ছহব্বতে থাকা তালেবে মাওলাদের একান্ত কর্তব্য। শুধু তাহাই নয়, ছহব্বতের আদব রক্ষা করিয়া চলিতে হইবে। তিনি বলেন, মুরীদ যদি পীরের ছহব্বতের আদব রক্ষা করিয়া চলিতে পারে, তবে সে কামিয়াবী হইতে পারে। কারণ কামেল পীরের এক তাওয়াজ্জুতেই অন্তর্জগত এইরূপ পবিত্র ও নূরাণী হইয়া যায়-যাহা বহু কঠিন রেয়াজত ও সাধনার দ্বারাও হাছিল করা সম্ভব নয়।”

পীরের প্রতি মুরীদের শ্রেষ্ঠতম আদব হইল, তাঁহার হাতে এমনভাবে থাকা যেমন ধৌতকারীর হাতে মুর্দা থাকে। ধৌতকারীর নিকট মুর্দার কোন ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকে না। এ প্রসংগে হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নক্শবন্দ (রঃ) ছাহেব বলেন, “মুরীদের কর্তব্য নিজের এখ্তিয়ারকে পীরের মর্জির মধ্যে বিলীন করিয়া দেওয়া। ইহাকে তসলিম বা আত্মসমর্পণ বলা হয়। পীরে কামেল বিচক্ষণ, অভিজ্ঞ ও নিপুণ চিকিৎসকের ন্যায়। তিনি প্রয়োজন অনুসারে মুরীদের বাতেনী রোগের প্রতিষেধক প্রয়োগ করিয়া থাকেন। এই চিকিৎসার ব্যাপারে মুরীদের নিজস্ব ইচ্ছার অনুপ্রবেশ প্রাণনাশক বিষতুল্য।”

খোদাপ্রাপ্তির পথে সর্বাপেক্ষা বড় পর্দা নাফসে আম্মারা। কোনমতেই সে খোদাতালাশীকে খোদামুখী হইতে দিবে না। এই কারণে খোদাতালাশীকে সর্বদাই নাফসের বিরোধিতা করিতে হয়। নাফস যাহা চায় তাহার বিপক্ষে কাজ করিতে হয়। উদ্দেশ্য-নাফসে আম্মারার সম্পর্ক ছিন্ন করণ। কারণ নাফসের সম্পর্ক যতক্ষণ ছিন্ন করা না যায়, ততক্ষণ খোদাপ্রাপ্তির আশা বৃথা। তাই প্রত্যেক সাধকই তাহার মুরীদবর্গকে নাফসের কামনা-বাসনার বিরোধিতা করিতে নির্দেশ দেন। এই প্রসংগে খাজা হযরত বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব বলেন, যদি তুমি আবদালের মাকামে পৌঁছিবার বাসনা রাখ, তবে সকল সময় তোমার নাফসের বিরোধিতায় লিপ্ত থাক।” তিনি আরও বলেন, “যে পর্যন্ত তোমার নাফ্সে আম্মারার শক্তি বা আমিত্ববোধ অবশিষ্ট থাকিবে, সেই পর্যন্ত কোন আমলেই তোমার ফল পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।” তিনি আরও বলেন, “নাফসের কামনা মিশ্রিত জায়েয কার্যের ক্ষেত্রেও নাফসের বিরোধিতা করা উচিত। নাফসের বিরোধিতাকারী ব্যক্তির সামান্য আমলও অধিক মূল্যে গৃহীত হয়।”

শরীয়তে পাঁচ রোকন নির্ধারিত। যথাঃ- ঈমান, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্ব। তেমনি তরিকত বা খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞান হাছিলের পথে পাঁচটি রোকন আছে, যথাঃ- জেকের ( খোদাতায়ালার স্মরণ), রাবেতা (আপন পীরের সুরত কল্পন), মুরাকাবা (ধ্যান), শোগল (সার্বক্ষণিক হিসাব গ্রহণ) এবং মোহাছাবা (শয়নপূর্বে সারাদিনের কৃতকর্মের হিসাব গ্রহণ)।

তরিকতের উল্লিখিত পাঁচটি রোকন সম্পর্কে খোদাতত্ত্বজ্ঞ সাধক খোদাতালাশীদের শিক্ষা দিয়া থাকেন।

জেকের সম্পর্কে কুরআন শরীফে বহু তাগিদ আসিয়াছে। রাসূলে পাকও (সাঃ) জেকেরকে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন। হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব জেকের সম্পর্কে বলেন, গাফলত ও অমনোযোগিতা দূর করিবার নামই জেকের। যদি তুমি গাফলত ও অমনোযোগিতা দূর করিতে সক্ষম হও, তবেই তুমি আল্লাহপাকের নিকট জেকেরকারী বলিয়া গণ্য হইবে, যদিও তুমি নীরব থাক। ওকুফে কালবী (কালব সম্পর্কে জ্ঞাত হওন) সর্বদাই প্রয়োজন। খাওয়া-দাওয়া, কথা-বার্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ইবাদত-বন্দেগী, তেলাওয়াত, লেখা-পড়া, ওয়াজ-নসিহত সকল অবস্থাতেই জেকেরের প্রতি খেয়াল রাখিতে হইবে। তবেই উদ্দেশ্য সফল হইবে। মুহূর্ত পরিমাণ সময়ের জন্য আল্লাহতায়ালার জেকের হইতে গাফেল থাকা উচিত নয়। হয়তো যে সময় তুমি গাফেল থাকিবে, ঐ সময়ই খোদাতায়ালার তরফ হইতে তোমার প্রতি খাছ রহমত বর্ষিত হইবে। ফলে গাফেল থাকার কারণেই তুমি সেই রহমত প্রাপ্তি থেকে মাহরূম (বঞ্চিত) হইবে।

এই জন্যই বুযুর্গগণ বলিয়াছেন, যদি তুমি একটি পলকও আল্লাহর জেকের হইতে গাফেল থাক, তবে সারা জীবনেও ঐ ক্ষতির ক্ষতিপূরণ করিতে পারিবে না। বাতেনের প্রতি খেয়াল রাখা অবশ্য অতি কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আল্লাহতায়ালার খাছ রহমত এবং পীরে কামেলের নেক নজর যদি তোমার সংগী হয়, তবে উহা সহজেই হাছিল হইয়া যায়। তাই হয়তো ওলী-আল্লাহ সকল বলিয়াছেন, তোমার আমলনামার আমল সমূহ যদি আসমান সমানও হয়, তবু আল্লাহর অনুকম্পা ও তাঁহার পেয়ারা বান্দাদের তরবিয়ত যদি নছিব না হয়, তবে আমল নামার পৃষ্ঠা অন্ধকারাচ্ছন্নই থাকিবে।

মুরাকাবা সম্পর্কে হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব বলেন, “সৃষ্টির প্রতি নজর রাখাকে পাপ মনে করিয়া স্রষ্টার প্রতি নজর রাখার নামই মুরাকাবা। সব সময় মুরাকাবা অবস্থায় থাকা খুবই কঠিন কাজ। নাফসের কামনা-বাসনার বিরোধিতা করাকেই আমি মুরাকাবা হাছিলের তরিকা রূপে লাভ করিয়াছি।”

‘মোহাসাবা’ সম্পর্কে তিনি বলেন, “নিজের সময় কিভাবে অতিবাহিত হইতেছে, সে সম্পর্কে তরিকতপন্থী ছালেককে হুশিয়ার থাকা চাই। প্রতিটি মুহূর্তের হিসাব রাখিতে হয়। যদি হালের (অবস্থার) অবনতি হয়, তবে তাহার তদারকি করিতে হয়। যদি হালের উন্নতি পরিলক্ষিত হয়, তবে আল্লাহতায়ালার দরবারে শোকর করিতে হয় এবং আরও উন্নতির জন্য চেষ্টা চালাইতে হয়। ইহাকেই মোহাছাবা (হিসাব গ্রহণ) বলা হয়।”

নশ্বর দুনিয়া খোদাঅনে¦ষীদের জন্য খোদাপ্রাপ্তির পথে বড় অন্তরায়। খোদাতালাশীকে দুনিয়ার আকর্ষণ মুক্ত হইতে হয়। দুনিয়ার মহব্বত দেল হইতে ঝাড়িয়া ফেলিতে হয়। দুনিয়ার সাথে নাফসের গাঢ় সম্পর্ক। দুনিয়াকে প্রশ্রয় দিলে নাফস আশ্কারা পায়। ফলে জেহাদে আকবরে বিজয়ী হইতে বড় কষ্ট হয়। তাই দুনিয়াকে প্রথমেই দেল থেকে মুছিয়া ফেলিতে হয়।

যুগে যুগে সাধক বর্গ দুনিয়ার অসারতা ও দুনিয়াপ্রেমের ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্কবাণী রাখিয়া গিয়াছেন। হযরত শেখ সাদী (রঃ) ছাহেব এই প্রসংগে ফরমাইয়াছেন, তোমরা এমন স্ত্রীলোকের সংগে প্রেম করিও না, যে প্রতিদিন সকালে একটি করিয়া স্বামী গ্রহণ করে। এই কুহকিনী দুনিয়া-বৃদ্ধা এক রমণী। দেখিতে অতীব কদাকার। তাহার দুই পাটি দাঁত আছে। সম্মুখের দাঁত দ্বারা সে হাসিতে থাকে কিন্তু পিছনের দাঁত দ্বারা সে কাটিয়া হালাক করে। তুমি যদি এই কুহকিনীর হাত হইতে বাঁচিতে চাও, তবে পীরে কামেলের কদমকে শক্ত করিয়া ধর। তিনিই একমাত্র তাঁহার তাওয়াজ্জুয়ে এত্তেহাদীর দ্বারা এই কলংকিনী কুহকিনীর হাত হইতে বাঁচাইতে পারেন। ইহার কোন বিকল্প নাই।

দুনিয়ার স্বরূপ সম্পর্কে বিভিন্ন সাধক বিভিন্ন মন্তব্য করিয়াছেন, তবে সমুদয় মন্তব্যের সারাংশ একই। দুনিয়ার প্রকৃতি সম্পর্কে হাজারী মুজাদ্দেদ শায়খ আহমদ ছেরহিন্দী (রাঃ) ছাহেব বলেন,“দুনিয়া হইল স্বর্ণ প্লেটে রক্ষিত বিষ্ঠা (মল) স্বরূপ।”

হযরত গউসপাক আব্দুল কাদের জেলানী (রঃ) ছাহেব এই প্রসংগে একটি উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, একটি উম্মুক্ত মাঠ এবং সেই মাঠে নগ্নাবস্থায় বহু লোক মলত্যাগে রত। এই দৃশ্য একজন পথচারীর নিকট যেমন, একজন খোদাঅনে¦ষীর নিকট দুনিয়াও তেমন। ঐ পথিক যেমন দ্রুত সেই মাঠ অতিক্রম করিবে, মাঠের স্মৃতিকেও মন হইতে ঝাড়িয়া ফেলিবে, তেমনি একজন খোদাতালাশীর কর্তব্য দুনিয়াকে তাহার মন থেকে ঝাড়িয়া ফেলা।

হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব দুনিয়াকে তুলনা করেন নখের সাথে। তিনি বলেন, দুনিয়া হইল আশেক বান্দাদের জন্য হাতের নখ সদৃশ। নখ বড় হইতে দিতে নাই। বড় হইতে দিলে বিভিন্নমুখী অসুবিধা আছে। নখের গোড়ায় ময়লা জমে। খাদ্য গ্রহণের সময় সেই ময়লা পেটে যায়। ফলে বড় নখওয়ালা বা নখী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। এই জন্য নখ কাটিয়া ফেলিতে হয়। দুনিয়ার আকর্ষণ বর্ধিত নখের মত। বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নখ যেমন বিভিন্ন রোগের কারণ। তেমনি দুনিয়ার আকর্ষণও রূহের অসুস্থ্যতার কারণ। আশেকে মাওলার কর্তব্য নখের মতই দুনিয়ার মহব্বত ছিন্ন করিয়া ফেলা।

খোদাতালাশীকে সর্বদাই আমলের প্রতি তীক্ষè দৃষ্টি রাখিতে হয়। এই প্রসংগে খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) বলেন, “যে দৌঁড়াইবে সেই যে বল ধরিতে পারিবে, ইহার কোন নিশ্চয়তা নাই। কিন্তু ইহা নিশ্চিত, বল পাইতে হইলে তাহাকে দৌঁড়াইতে হইবে। অর্থাৎ আমল করিলেই যে খোদাতায়ালাকে পাওয়া যাইবে, ইহার কোন নিশ্চয়তা নাই। কিন্তু আল্লাহকে পাইতে হইলে আমল ব্যতীত উপায়ও নাই।”

হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব বলেন যে,“তরিকতপন্থীগণ দুই ধরণের হইয়া থাকেন। এক দল কঠোর রেয়াজত, মুরাকাবা, মোশাহেদা ও মুজাহেদা করিয়া মারেফাতের পথে অগ্রসর হন এবং শেষ পর্যন্ত মাঞ্জিলে মাকছুদে পৌঁছাইতে সক্ষম হন। অন্য সম্প্রদায় সর্ব বিষয়ে আল্লাহ পাকের ফজল (অনুকম্পা) ও মেহেরবাণীর প্রতিই অটুট নজর রাখেন। তাঁহারা শুধুমাত্র আল্লাহতায়ালার রহমতের নিকট পূর্ণরূপে নিজেকে সোপর্দ করেন। নিজেরা যাহা কিছু ইবাদত-বন্দেগী, রেয়াজত, মোশাহেদা, মুজাহেদা করেন- সেইগুলি করিবার ক্ষমতাকে এবং নিজেদের আত্মসমর্পণের তওফিককে আল্লাহপাকের ফজলই মনে করেন। এই দ্বিতীয় সম্প্রদায় অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে মাঞ্জিলে মাকছুদে পৌঁছাইয়া যান। ইহার প্রকৃত অর্থ হইল, নিজের আমলের প্রতি ঘূর্ণাক্ষরেও যেন নজর না পড়ে। এই রূপ করিলে নিজের আমলের জন্য তৃপ্তিবোধ ও অহংকার আসিতে পারিবে না এবং নিজেকে আল্লাহওয়ালা মনে করিবার ফুরসুতও মিলিবে না। আবার ইহার অর্থ আমল পরিত্যাগও নয়।”

সমাজে দুই শ্রেণীর লোক আছে। ১। আল্লাহওয়ালা সম্প্রদায়-যাহাদের সংখ্যা খুবই কম এবং ২। দুনিয়াদার বা দুনিয়ালোভী সম্প্রদায়। খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব বলেন, “দুনিয়ালোভী ব্যক্তিদের সংসর্গ তুমি কখনও কামনা করিও না। আল্লাহওয়ালাদের সংসর্গে থাকিও। কারণ প্রত্যেক গোষ্ঠীই তোমাকে তাহাদের দলভুক্ত করিবার চেষ্টায় লিপ্ত আছে। যেমন খবিস পেচক জনমানবহীন বিরাণ স্থান পছন্দ করে, আর তোতা পাখী চিনির পাত্র ভালবাসে। তাই প্রত্যেকেরই পরিচয় জানা উচিত। দুনিয়ালোভী ব্যক্তিগণ এবং আল্লাহপাকের প্রেমিক বান্দাগণের মধ্যে আল্লাহ-প্রেমিকদের ছহব্বতই তোমাদের পক্ষে এখতিয়ার করা উচিত। কারণ আল্লাহ প্রেমিকগণ তোমার এস্‌লাহ (সংশোধন) করিয়া তোমাকেও আল্লাহ প্রেমিকরূপে গড়িয়া তুলিবেন।”

হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেব বলেন,“গোনাহ করা থেকে তোমরা সর্বদাই নিজেদের হেফাজত করিবে। রাসূলে পাক (সাঃ) এর বরকতে উম্মতে মুহাম্মদীর গোনাহসমূহ তাহাদের বাহ্যিক চেহারাকে বিকৃত করিতে পারে না বটে, কিন্তু গোনাহের ফলে দেল বিকৃত হইয়া যায়। গোনাহ ও নাফরমানীর ফলে প্রকাশ্য পরিবর্তন হয় না বটে, কিন্তু অন্তর পরিবর্তিত ও বিকৃত হইয়া যায়।

হে জাকেরান ও আশেকান সকল! তোমরা হযরত খাজা বাহাউদ্দিন (রঃ) ছাহেব ও তাহার তরিকা সম্পর্কে বুঝিতে পারিলে। তিনি মারেফাত জগতের এক মহান ব্যক্তিত্ব। আমার প্রতি পীর কেবলাজান হুজুরের নির্দেশ-সেই মহান সাধকের প্রতি প্রত্যেক দিন একশতবার দরূদ শরীফ নজরানা পাঠানো। প্রতিদিন সকালে খতম শরীফ শেষ করিয়া মুজাদ্দেদ আলফেছানী (রাঃ) ছাহেবকে নজরানা দেওয়ার পর একশতবার দরুদ শরীফ পড়িয়া এই মিছকিন খাজা বাহাউদ্দিন নকশ্বন্দ (রঃ) ছাহেবকে নজরানা দেয়।

(তথ্য সূত্রঃ শাহ্সুফি বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরীর “নসিহত” সকল খন্ড একত্রে, নসিহত নম্বর- ১৯ পৃষ্ঠা- ২০১)