বেদ’ এর কিছু অমৃত বাণী ও উপদেশ।
যে ব্যক্তি বসে থাকে, তার ভাগ্যও বসে থাকে। যে দাঁড়ায়, তার ভাগ্যও উঠে দাঁড়ায়। যে শুয়ে থাকে, তার ভাগ্যও শুয়ে থাকে। আর যে এগিয়ে যায়, তার ভাগ্যও এগিয়ে যায়। তাই এগিয়ে যাও, এগিয়ে যাও।” (ঋগ্বেদীয় ঐতরেয় ব্রাহ্মণ: ৩৩.৩)
কর্কশ স্বরে কথা বলো না, তিক্ত কথা যেন মুখ ফসকে বেরিয়ে না যায়। (যর্জুবেদ: ৫.৮)
হে প্রভূ! সামর্থ্য দাও উদ্দীপনাময় সুন্দর ও সাবলীল কথা বলার। (ঋগবেদ: ১০.৯৮.৩)
সত্যিকারের ধার্মিক সব সময় মিষ্টভাষী ও অন্যের প্রতি সহমর্মী। (সামবেদ: ২.৫১)
সমাজকে ভালোবাসো। ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও। দুর্গতকে সাহায্য করো। সত্য ন্যায়ের সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখার শক্তি অর্জন করো। (ঋগবেদ: ৬.৭৫.৯)
নিঃশর্ত দানের জন্য রয়েছে চমৎকার পুরস্কার। তারা লাভ করে আর্শীবাদ ধন্য দীর্ঘ জীবন ওঅমরত্ব। (ঋগবেদ: ১.১২৫.৬)
এসো প্রভূর সেবক হই! গরীব ও অভাবীদের দান করি। (ঋগবেদ: ১.১৫.৮)
নিজের শত্রুকে বিনাশে সক্ষম এমন উপদেশাবলির প্রতি মনযোগী হও। (যর্জুবেদ: ৬.১৯)
ধনুকের তীর নিক্ষেপের ন্যায় হৃদয় থেকে ক্রোধকে দূরে নিক্ষেপ করো। তাহলেই তোমরা পরষ্পর বন্ধু হতে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। (অথর্ববেদঃ ৬.৪২.১)
জীবনের প্রতিটি স্তরে অনিয়ন্ত্রিত রাগ-ক্রোধ থেকে দূরে থেকো। (সামবেদ)
একজন নিরীহ মানুষের ক্ষতি যে করে সে মানুষ নয়, সে হায়েনা। তার কাছ থেকে দূরে থাকো। (ঋগবেদ: ২.২৩.৭)
বিদ্বান ও সৎচরিত্র লোকদের সাতে বন্ধুত্ব করো, দুশ্চরিত্রদের বর্জন কর। (ঋগ্বেদ: ১/৮৯/২)
কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে গড়ে তোল। (ঋগ্বেদ: ১০/৬০/১২)
সর্বভূতের কল্যানের জন্য নিজের মনস্থির কর। (যজুর্বেদ: ৩৪/১)
সদা সত্যশ্রয়ী ও সত্যবাদী হবে। (অর্থববেদ: ৩/৩০/৫)