হোমপেজ খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী ও উপদেশ শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৭

শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৭

577
শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৭
Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৭

১২১.
“পীরতো তিনিই, যিনি মুরীদের বাতেনী অপবিত্রতা পরিস্কারকারী।”

১২২.
“পীরই একমাত্র ব্যক্তি, যাহার অসিলায় মানুষ মহিমান্বিত আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছায়, যাহা দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট।”

১২৩.
“পীরের অসন্তুুষ্টিই মুরিদের দুর্ভাগ্যের কারন।”

১২৪.
“হে জাকেরান সকল! তোমরা যদি খোদাতায়ালাকে পাইতে চাও, খোদাপ্রাপ্তি তত্ত্বজ্ঞান বা সর্বোৎকৃষ্ট নেয়ামতের অধিকারী যদি হইতে চাও, তবে প্রতি পদক্ষেপে আদব রক্ষা করিয়া চল।”

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

১২৫.
“পীরের ইচ্ছাতে নিজের ইচ্ছা বিলীন কর। পীরের যে কোন নির্দেশ যথাযথ পালন কর। পীরের হুকুমের মধ্যে নিজের বিবেক খাটাইবে না; ভাল মন্দ চিন্তা করিও না।”

১২৬.
“আদবের সাথে সাথে পীরকে ভালবাস, মহব্বত কর। পীরের ইশারা বুঝিবার চেষ্টা কর। পীরের যে কোন হুকুম পালনের জন্য অদম্য সাহস রাখ।”

১২৭.
“নিজ পীরের প্রতি এমন বিশ্বাস রাখিবে যে, ‘পীর ভিন্ন অন্য কেহই আমাকে খোদাতায়ালা পর্যন্ত পৌঁছাইয়া দিতে পারিবে না।'”

১২৮.
“যে মুরিদের ‘তৌহিদে মতলব’ নাই, সে কেবল বিভিন্ন পীরের দরবারে ঘুরিয়া বেড়ায় কিন্তুু মাঞ্জিলে মাকছুদে পৌঁছানো তাহার পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব হয়না।”

১২৯.
“পীরের আহবান শোনা মাত্রই হাতের কাজ ফেলিয়া পীরের সমীপে উপস্থিত হইবে। কোন মুরীদ যদি খাইতে বসে এবং তাহার খাবারের লোকমাপূর্ণ হাত যদি তাহার মুখ ও থালার মধ্যখানে থাকে- এমন সময়ও যদি পীরের ডাক পড়ে, তবে তৎক্ষনাৎ খাবার পরিত্যাগ পূর্বক পীরের নিকট উপস্থিত হইবে।”

১৩০.
“ওলি-আল্লাহসকল যেমন তাঁহাদের জীবদ্দশায় সকলের জন্য খোদা প্রাপ্তির অসিলা, তেমনি দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণ প্রাপ্তির মাধ্যম।”

১৩১.
“বাবারা, শরিয়তের যাবতীয় (ছোট-বড়) হুকুম আহকাম যদি মানিয়া চলিতে পার, তাহা হইলে, খোদাপ্রাপ্তিতত্বজ্ঞান অর্জন করা তোমাদের জন্য সহজ হইবে।”

১৩২.
“আহলে বায়েতের প্রতীক হইলো নূহের তরী। আর এই তরীতে আরোহণের উপায়ই হইল আহলে বায়েতের মহব্বত অর্জন।”

১৩৩.
“সৃষ্টির প্রতি অনু-পরমাণুর বক্ষে কলেমা -‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অংকিত আছে। আসমান-জমীন ব্যাপীয়া এই কলেমার জেকের হইতেছে।”

১৩৪.
কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য, হিংসা, কিনা, রিয়া, কামনা-বাসনা, ইত্যাদি অসৎ রিপুসমূহ নাফস হইতেই সৃষ্ট। সর্বদা খোদাদ্রোহিতায় লিপ্ত থাকা নাফসের জাত-স্বভাব।

১৩৫.
“নাফসকে দাহনের জন্য যে অগ্নির প্রয়োজন হয় তাহা দেহে উৎপন্ন হয় কেবলমাত্র অনাহারের দ্বারা। একমাত্র অনাহারের অগ্নি নাফসকে জ্বালাইয়া ইহাকে খাদমুক্ত করিতে পারে;”

১৩৬.
“যাবতীয় কুচিন্তা ও কুকর্ম নাফস হইতে উৎপত্তি। নাফসের জাত-স্বভাব আল্লাহর সাথে বিরোধ করা, ঝগড়া করা এবং আল্লাহর আদেশ নিষেধ পালনের তোয়াক্কা না করা।”

১৩৭.
“মানবদেহে এক টুকরা মাংসপিণ্ড আছে- যাহার নাম কালব। কালব পবিত্র হইলে সমগ্র মানবসওাই পবিএ হয়। কালব নাপাক থাকিলে মানবদেহ নাপাক থাকে।

১৩৮.
“কালবের অপবিত্রতা বা অপরিচ্ছন্নতার মূল কারন নাফসের অন্যায় ও পাপাচার। যতক্ষণ পর্যন্ত নাফস পবিএ না হইবে ততক্ষণ কালবও পবিত্র হইবেনা।”

১৩৯.
“যাহারা নিয়মিত নিশির শেষভাগে উঠে, আল্লাহতায়ালাকে ডাকে; তাহারা কদর রাএির রহমত ও নেয়ামত হইতে বঞ্চিত হয়না, হবেও না।”

১৪০.
“ইসলাম অর্থ শান্তি-ইহার মর্মার্থ উল্লেখিত স্তরের প্রেমিক সাধকেরাই উপলব্ধি করিতে পারেন। ইসলামের হকিকতেও ঐ স্তরেই নিহিত।”

সূত্র: শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত শরীফের বিভিন্ন অংশ হতে।

শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ সবগুলো পর্ব