হোমপেজ আদাবুল মুরীদ (কিতাব) নসিহত প্রথম খন্ড (আদাবুল মুরীদ) – ভূমিকা

নসিহত প্রথম খন্ড (আদাবুল মুরীদ) – ভূমিকা

662
নসিহত প্রথম খন্ড (আদাবুল মুরীদ) - ভূমিকা

নসিহত প্রথম খন্ড (আদাবুল মুরীদ) – ভূমিকা

খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞানের আলােকে

শাহসূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের
নসিহত
প্রথম খন্ড (বিষয়-আদাবুল মুরীদ)
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল

সূচীপত্রঃ-

ভূমিকা: (পড়তে ক্লিক করুন)

√ খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞানের আলােকে শাহসূফী হযরত
ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের নসিহত”
সম্পর্কে আলােচনাঃ————————————–

নসিহত নং-১: (পড়তে ক্লিক করুন)

√ খােদাপ্রাপ্তির পথে আদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহস–এই
চারটি মানবিক বৃত্তির বিকাশ সাধনের প্রয়োজনীয়তা,
আদব সম্পর্কে মনীষীদের উক্তি, বেয়াদবীর কুফল,
পাক কুরআন ও হাদীসের আলােকে আদবের গুরুত্ব
সম্পর্কে আলােচনাঃ————————————–

নসিহত নং-২

√ কামেল পীরের প্রতি যথার্থ আদব প্রদর্শনার্থে মুরীদের
করণীয় বিষয়াদির বিবরণ———————————

নসিহত নং-৩

√ তিন প্রকার মুরীদের পরিচয়——————

√ দেলী মুরীদগণের পীর ভক্তির বিবরণ——-


ভূমিকা

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর কেবলাজান হুজুর হযরত মাওলানা শাহসুফী ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের নসিহতসমূহের ১ম খন্ডের ১৬তম মুদ্রণ “খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞানের আলােকে শাহসূফী হযরত ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের নসিহত” [বিষয়ঃ আদাবুল মুরীদ] নামে প্রকাশিত হইল।

উল্লেখ্য যে, কেবলাজান হুজুরের দেওয়া খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান অর্জন সম্পর্কিত নসিহতসমূহের বিষয়ভিত্তিক ২২-টি খন্ড এবং বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা পদ্ধতি নামে একটি বিশেষ খন্ড প্রকাশিত হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত সকল খন্ড একত্রে একটি খন্ডে বাহির হইয়াছে। উল্লেখযােগ্য যে, হযরত মাওলানা শাহসূফী ফরিদপুরী (কঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান সম্পর্কিত নসিহতসমূহ ধারাবাহিক ভাবে প্রায় চার বছর (১৯৯১-১৯৯৪) ধরিয়া ঢাকা হইতে প্রকাশিত “সাপ্তাহিক মেঘনা” পত্রিকায় ছাপা হইয়াছে।

এই সকল নসিহতসমূহে হযরত পীর কেবলাজান হুজুর মানব জীবনে খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব ও খােদাপ্রাপ্তি সাধনার পথে মাকামমঞ্জিল, ছায়ের-ছুলুক, ফানা-বাকা, উরুজ-নজুল, জাহেরী ও বাতেনী শরীয়ত, কামেল পীরের যথার্থ পরিচয় ইত্যাদি সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মজীদ, হাদীসে রাসূলে করীম (সাঃ) ও তরিকতের পীরানে পীরগণের বক্তব্যের আলােকে ও নিজস্ব আত্মিক অভিজ্ঞতায় বর্ণনা করিয়াছেন।

তিন বৎসরের অধিককাল যাবৎ ধারাবাহিকভাবে এই নসিহতসমূহ প্রকাশিত হওয়াতে খােদাপ্রাপ্তির পথে সাধনায় আগ্রহী পাঠক বিশেষতঃ হযরত মাওলানা শাহসূফী ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের অনুসারী মুরীদবর্গের মধ্যে আবেদন সৃষ্টি হয়। এই সকল নসিহতসমূহ সংরক্ষণেরও অনুরােধ পাঠক মহল হইতে আসিতে থাকে।

খােদাপ্রাপ্তি সাধনার ক্ষেত্রে নিজস্ব আত্মিক অভিজ্ঞতার সহিত কুরআন মজীদ, হাদীস শরীফ ও পীরানেপীরগণের উক্তি সম্বলিত হওয়াতে হযরত শাহসূফী ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের নসিহতসমূহ খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযােগ্য ও দিক নির্দেশনামূলক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হইবে বলিয়া আমার বিশ্বাস।

খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাভাষায় তারিকতের শ্রদ্ধেয় মাশায়েখগণের অনেক পরিচিত গ্রন্থই প্রকাশিত হইয়াছে। এই বিষয়ে আগ্রহী পাঠক সমাজ এই সকল গ্রন্থ সমূহের সহিত সমধিক পরিচিত। তবে বর্তমান গ্রন্থের গুরুত্ব এই যে, এই গ্রন্থে খোদাপ্রাপ্তিজ্ঞান চর্চার মাকাম-মন্জিল, ছলক-ছায়ের, ফানা-বাকা, উরুজ-নজুলের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে আলােচনা হইয়াছে অনেক প্রশস্ত কলেবরে।

প্রতি ক্ষেত্রেই কুরআন মজীদ, হাদীসে রাসূল (সাঃ) ও তরিকতের মাশায়েখগণের উক্তির আলােকে বিন্যস্ত করা হইয়াছে। ফলতঃ এই নসিহতসমূহ সাধারণ। পাঠকবর্গকে যেমন খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ে আগ্রহী করিতে অবদান রাখিবে-তেমনি খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান চর্চার পথিককে তাহার মাঞ্জিলে মাকছুদের পথে অগ্রসর হইতে সাহায্য করিবে।

খােদাপ্রাপ্তিজ্ঞান চর্চা মূলতঃ মাের্শেদে কামেলের তত্ত্বাবধানে আত্মিক বিকাশের মাধ্যমে অর্জন করিবার বিষয়। কিন্তু আপন আত্মিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ব্যতীত আত্মিক বিকাশ লাভের প্রস্তুতি অসম্ভব। পরম করুণাময় আল্লাহপাক মানবাত্মাকে যে ঐশ্বর্য দান করিয়াছেন, সেই ঐশ্বর্য যে আমরা অজ্ঞতাবশতঃ হেলায় হারাইতেছি এই গ্রন্থখানি পাঠক সমাজকে সেই প্রকট উদাসীন্য অনুভব করিতে সাহায্য করিবে এবং একই সাথে খােদাপ্রাপ্তি চর্চার মাধ্যমে যে নেয়ামত ও ঐশ্বর্য লাভ করা যায়, তাহাও অনুভব করিতে সাহায্য করিবে বলিয়া আমাদের ধারণা।

প্রথম খন্ডে খােদাপ্রাপ্তি সাধনার ক্ষেত্রে আদবের গুরুত্ব এবং ঐ বিষয়ের সহিত সম্পর্কযুক্ত মােট তিনটি নসিহত সংকলিত হইয়াছে। সংকলনের ক্ষেত্রে নসিহত সমূহের বিষয়বস্তু অনুযায়ী সাজানাে হইয়াছে- সাপ্তাহিক মেঘনায় প্রকাশিত ক্ৰম সংখ্যা অনুসারে নহে। ইহাতে বিষয়টি হৃদয়ঙ্গম করা পাঠকের পক্ষে সহজসাধ্য হইবে আশা। করা যায়।

বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার যেমন নিজস্ব কিছু পরিভাষা আছে- খোদাপ্রাপ্তি সাধনার ক্ষেত্রেও তদ্রুপ নিজস্ব পরিভাষা রহিয়াছে। পৃথকভাবে ঐ সকল পরিভাষার যথাসম্ভব সরল ব্যাখ্যা-প্রত্যেকটি নসিহত শেষে সংযোগ করা হইয়াছে।

সাধারণ পাঠকের পক্ষে বিষয়বস্তু অনুধাবনে সহায়ক হইবে। ছাপার ক্ষেত্রে গ্রন্থখানিকে যতখানি সম্ভব নির্ভুল করার চেষ্টা করা হইয়াছে। তথাপিও ভুল থাকিয়া যাইবে-ইহাই স্বাভাবিক।

হৃদয়বান পাঠক আমাদের অনিচ্ছাকৃত রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবেন- ইহা কামনা করি ভুলত্রূটি যাহা রহিয়াছে তাহা প্রকাশনার দায়িত্বে। নিয়ােজিত সহযােগিদের; গ্রন্থকার বা প্রকাশক বা সংকলকের নহে। দৃষ্টি আকর্ষণ করিলে আগামী সংস্করণে ত্রূটি সংশােধনী করা হইবে।

হযরত পীর কেবলাজান হুজুরের নসিহত সমূহ তাঁহার দুইজন মুরীদ মােহাম্মদ আকতার হােসেন ওরফে কাবুল ও সৈয়দ সিরাজুল কবির শ্রুতলিপি হিসেবে গ্রহণ করার কার্যে নিয়ােজিত ছিলেন। সেই শ্রুতলিপিসমূহ প্রথমে মেঘনায় এবং এক্ষণে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইল।

খােদাপ্রাপ্তিস্থান অর্জন করা মানব জীবনের প্রধান লক্ষ্য। কারণ তাহারই প্রভুত্ব স্বীকার ও তাহারই দাসত্বের জন্য মানুষের সৃষ্টি।

এই শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জন তথা মানব জীবনের চরম ও পরম লক্ষ্য অর্জনে এই গ্রন্থখানি পাঠকমহলে আগ্রহ সৃষ্টি করিবে- এই আশা লইয়াই গ্রন্থখানি প্রকাশিত হইল।

বিনীত
পীরজাদা মাহ্ফুযুল হক মুজাদ্দেদী,
বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, ফরিদপুর।


→ নসিহত প্রথম খন্ড (আদাবুল মুরীদ) – নসিহত নং -১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন..

আরো পড়ুন:

→ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের প্রতি আদব প্রদর্শন

→ মাজার জেয়ারতের তাৎপর্য ও নিয়মাবলীঃ

→ আদাবুল মুরিদের সবগুলা নসিহত একসাথে

→ সংক্ষিপ্ত ওজিফা সবগুলো পর্ব

→ ফাতেহা শরীফ, খতম শরীফ এবং রহমত পালনের নিয়মাবলীঃ

→ অছিলা ধরিবার নিয়মঃ

→ দয়াল-নবী (সাঃ) এর খাছ হােব্ব এশক মহব্বতের ফয়েজ।

→ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতির সব গুলো অধ্যায়