কামেলপীর মুরীদের জন্য খোদাপ্রাপ্তির পথপ্রদর্শক।
কামেলপীর মুরীদের জন্য খোদাপ্রাপ্তির পথের পথপ্রদর্শক। খোদাঅন্বেষীকে কামেল পীরের নিকট বায়াত হয়ে নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছা পীরের উপর ছেড়ে দিতে হয়। শরীয়ত ও সুন্নতের আমল ও তরিকতের নিয়ম-পদ্ধতি পুরাপুরী পালন করতে হয়। পীরকে ভালবাসতে হয়।
এ প্রসংগে বিশ্বওলী খাজাবাবা হযরত ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেব বলেন,
“পীরের মহব্বত অর্জনের চেষ্টা কর। পীরকে ভালবাস। তাহা হইলে আল্লাহ রাসূলের মহব্বত তোমাদের দেলে পয়দা হইবে। আল্লাহ ও রাসূলের খাছ হোব্ব-এশক-মহব্বতের ফয়েজ তোমরা পাইতে থাকিবে। পীরের সন্তুষ্টি অর্জনই হইল মূল কথা। পীরের সন্তুষ্টির পশ্চাতে আল্লাহ ও রাসূলের সন্তুষ্টির অবস্থান। ধন সম্পদ, আত্বীয়-স্বজন, পুত্র-পরিজন, এমন কি স্বীয় প্রাণাপেক্ষা যদি আপন পীরকে ভালবাসিতে পার, তাহা হইলে আল্লাহর মারেফাত অর্জন করা বা পরিচয় জ্ঞান লাভ করা তোমাদের জন্য খুবই সহজ হইবে।”
হযরত মাওলানা রূমী (রঃ) ছাহেব বলেন,
“চু তো যাতে পীরেরা কারদি কবুল
হাম খোদা দর জাতাশ আমাদ হাম রসূল।”
অর্থাৎ- “যেইমাত্র তুমি তোমার পীরের জাতকে কবুল করিলে, তখনই আল্লাহ তোমাকে বান্দা হিসেবে, রাসূল তোমাকে উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন। আল্লাহ ও রাসূলের স্বীকৃতি তখনই তুমি লাভ করিলে, যখন পীরের তরফ হইতে স্বীকৃতি পাইলে।”
তথ্যসূত্রঃ [শাহসূফী বিশ্বওলি ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত-সকল খন্ড একত্রে, নসিহত নং ১৬, পৃষ্টা নং ১৭৮]
নিবেদকঃ আকতার হোসেন কাবুল।