শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ পর্ব-৮
১৪১.
“হে জাকেরান সকল, তোমরা তরিকতের নিয়ম পদ্ধতি যথাযথ পালন কর”
১৪২.
“জামানার মুসিবত থেকে বাঁচার জন্য তোমরা তরিকতের পথ তথা পীরের কদমকে শক্ত করিয়া ধর।”
১৪৩.
“বর্তমান যামানা অত্যন্ত মুসিবতের যামানা। অদূর ভবিষ্যতে এমন এক সময় আসিবে, যখন মানুষ জলে-স্থলে সর্বজায়গায় বিপদ ছাড়া আর কিছুই দেখিবে না। আখেরী যামানার গযব হইতে একমাত্র মুমিন লোক ব্যতীত কেহই বাঁচিতে পারিবে না। যদি তোমরা উক্ত গযব হইতে বাঁচিতে চাও, তবে তরিকতের কাজ সঠিকভাবে পালন কর এবং যামানার মুজাদ্দিদের দামনকে শক্তভাবে ধারন কর”
১৪৪.
“এই জামানায় যদি বিপদের হাত থেকে বাঁচতে চাও, বিপদের মধ্যে পড়তে না চাও, তবে তোমরা নিয়মমতো তরিকতের কাজ করো। ফাতেহা শরীফ, খতম শরীফ, দরুদ শরীফ-সকল ওজিফা ওয়াক্ত অনুযায়ী নিয়ম মতো পালন করো। বিশেষভাবে তোমরা খতম শরীফ কাজা করবে না”
১৪৫.
“খতম শরীফ অব্যর্থভাবে নিয়মিত পাঠকারীকে সকল বিপদ-আপদ ও আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা করে। তোমরা কেউ যেন খতম শরীফ পড়িতে ভুল না কর”
১৪৬.
“৫০০ মর্তবা দরুদ শরীফ পড়িয়া নবী করিম (সাঃ) কে নজরানা দিবে। দরুদ শরীফ নজরানা দিবার পরে ডান কাতে শুইয়া ঘুমাইবে”
১৪৭.
“কুওতের ফয়েযে যদি কেল্লাবন্দী থাকিতে পার, তবে ইহা নিশ্চিত করিয়া বলা যায় যে, এমন কোন মায়ের পুত্র নাই যে তোমাদের গায়ে একটু আচর দিবে”
১৪৮.
“কালবকে সংশোধন করিবার জন্য যে সমস্ত ওজিফা এবং ফয়েজ হাসিল করিতে হয়, তাহা শিক্ষা করা প্রত্যেক জাকেরের একান্ত কর্তব্য”
১৪৯.
“খতম শরীফ অত্যন্ত মূল্যবান এক অজিফা। নিয়মিত ভাবে প্রতিদিন এই খতম শরীফ পড়িয়া মুজাদ্দেদ আলফেসানী (রাঃ) ছাহেবকে নজরানা দিবে। কখনও কাজা করিবে না। যদি কোন কারণ বশতঃ ইহা কাজা হয়, তবে অন্য সময়ে ইহা আদায় করিয়া লইবে”
১৫০.
“এই ওজিফা (খতম শরীফ) নিয়মিত পাঠ করিলে আল্লাহতায়ালা তোমাদিগকে কঠিন ব্যাধি, বালা-মুছিবত, বিপদ-আপদ ও তকদীরের বুরাঈ হইতে রক্ষা করিবেন”
১৫১.
“তোমরা যদি তরীকতের নিয়ম অনুযায়ী চল তবে তোমাদের মুর্দা দেল জিন্দা হবে।”
১৫২.
“তোমরা পীরের কদমে খেদমত কর। তরিকতের নিয়ম-পদ্ধতি অনুযায়ী চল।”
১৫৩.
“হে জাকেরান সকল, তোমরা আধ্যাত্নিক চর্চার মাধ্যমে মহৎ গুনাগুন অর্জনের চেষ্টা কর। তরিকার নিয়মকানুন অনুযায়ী চল। তাহা হইলে তোমরা প্রত্যেকেই এক একজন মর্দে মোজাহিদ হইয়া আখেরী ইমাম ছাহেবের সৈনিক হইতে পারিবে।”
১৫৪.
“মুরীদ নিজেকে শয়তানের হাত হইতে রক্ষার জন্য আল্লাহতায়ালার তরফ হইতে আর একটি উপায় লাভ করিতে পারে তাহা হইর কুওতে এলাহিয়ার ফয়েজের দুর্গ। এই ফয়েজ দোসরা দায়েরা হইতে জাতপাক হইয়া রাসূলে করীম (সাঃ) ও মুর্শেদে কামেলগণের পাক দেল হইয়া মুরীদের দেলে আসে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এই ফয়েজ খেয়াল করিতে হয়। এই ফয়েজ খেয়াল করিয়া মুর্শিদে কামেল তদীয় মুরীদ পৃথিবীর যে স্থানেই থাকুক না কেন, সেই স্থানেই তাহাকে কুওতে এলাহিয়ার হেফাজত রাখিতে পারেন। মুর্শিদে কামেলকে আল্লাহতায়ালা এই রূপ ক্ষমতা দান করেন, শুধু মুরীদকেই নয় মুরীদের আত্নীয় স্বজন, মালসামানা, বাড়ী-ঘর যাহা কিছুই খেয়াল করুক, তাহার সব কিছুই আল্লাহতায়ালার কুওতের কেল্লায় বন্দী করিয়া দেন। ইহা বেলায়েতে ছোগরার অন্তর্ভুক্ত। প্রতিদিন সকালে মুজাদ্দেদীয়া তরীকার নিয়ম অনুযায়ী ৭০০ মোর্তবা খতম শরীফ পড়িয়া মুজাদ্দেদ ছাহেবকে নজরানা দিতে হয়। সন্ধ্যায় বাদ মাগরীব এই ফয়েজ পুনরায় খেয়াল করিতে হয়। তাহা হইলে দিন রাত্রির সকল সময় এই কুওতে এলাহিয়ার ফয়েজে কেল্লায় বন্দী থাকা যায়।
১৫৫.
“মহব্বত অর্জনের প্রচেষ্টার সাথে সাথে নিত্য দিনের ফরজ, ওয়াজেব, সুন্নাত, নফল ইবাদত এবং তরিকতের নিয়ম পদ্ধতি যথারীতি আদায় করিতে হইবে”
১৫৬.
“তোমরা যদি খোদাতায়ালাকে পাইতে চাও, অনাবিল শান্তির অধিকারী হইতে চাও, তাহা হইলে জাহেরা শরীয়তের রোকনসমূহের সাথে সাথে তরিকতের রোকন সমূহের উপর আমল কর। তরিকতের ওজিফা সমূহ ঠিক ঠিক মত প্রতিপালন কর”
১৫৭.
“হে জাকেরান ও আশেকান সকল! তোমরা যদি খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্ব হাছিল করিতে চাও, তবে মুরাকাবা মোশাহেদা সহ তরিকতের যাবতীয় নিয়ম পদ্ধতি ঠিক ঠিক মত প্রতিপালন কর। হর নিঃশ্বাসে আল্লাহকে স্মরণ রাখ। তবেই কল্যাণ।”
১৫৮.
“প্রতি ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত পড়িবে। একবিন্দু ও এক সমুদ্র পানির মধ্যে যে পার্থক্য, একা একা নামাজ পড়া ও জামাতে নামাজ পড়ার মধ্যে সেই পার্থক্য আছে মনে করিবে।”
হযরত খাজা মিয়া ভাইজান ও মেজো ভাইজানের দুটি মূল্যবান উপদেশ:
১৫৯.
জাকেরগণের ইমাম যামানার হাদী হযরত খাজা মিয়া ভাই মুজাদ্দেদী (মাঃজিঃআঃ) ছাহেব ফরমান, “বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীতে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে তাহা অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এহেন পরিস্থিতি তরিকার ওজিফা সমূহ পালন করুন।”
১৬০.
কেবলাজান হুজুরপাকের জেসমানী আওলাদ জাকের পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান হযরত খাজা মেঝো ভাই মুজাদ্দেদী (মাঃজিঃআঃ) ছাহেব ফরমান, “এই দূর্যোগে বেশী বেশী সূরা এখলাছ পাঠ করুন”।
সূত্র: শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিহত শরীফের বিভিন্ন অংশ হতে।
শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী ও উপদেশ সবগুলো পর্ব