সৈয়দ মামুন চিশতীর আধ্যাত্মিক বাণী (এলহামে এলাহী)
১১//
নায়েবে রাসূল আহাদী খোদা
কেউ তারে ভাবিস না জুদা
ইয়াকিনের ঘরে রাখো সর্বদা
আল্লাহ নবী আদম এক সুতায় গাঁথা।
খুজিলেই পাবি তোর খোদা।
১২//
পুটলা-পাতি গুল করিয়া,
মুর্শিদপুরে যে সদায় ঘুরে।
কোন মাঝির সাধ্য আছে,
তার তরী ডুবাইতে পারে?
১৩//
মুর্শিদ তোমার খোদার কায়া,
রসূল রুপে ধরো পায়া।
রহমত,শান্তি আর দয়া,মায়া
নসিব হয় তার পরম-পাওয়া।
১৪//
এঁক নামের সরাব পিয়ে
থাকে যে জন মগ্ন হয়ে,
তার ভরা ডুবাতে গিয়ে
জমেও ভক্তি দেয় পায়ে।
গুঁরু সত্য, গুঁরু নিত্য
যে যেতে চায় ভজনালয়ে।
১৫//
দলিলেতে আরোও পাই, মানুষের মতোই দেখতে সাঁই,
ধরা যখন পরে চুন্নি, বেটির আঁচলেতে মুখ লুকায়।
নিয়াকার রূপ ধরে তখন, মানুষ যখন জানতে পায়,
তাই তো আমি আর খুজিনা, দ্বীন মিয়ার চরণে শির লুঠাঁই।
১৬//
আপনাকে চিনতে হলে,
বন্ধি হও মুর্শিদের আদলে।
ঐ আয়নার দর্পণে মিলে,
খোদার সুরাত এই হৃদ-কোমলে।
১৭//
প্রেম করিতে প্রেমের কড়ি,
করে লও সম্ভল।
মুর্শিদ বীনে এমন হরী,
কে আর আছে বল?
১৮//
তোমার নিকট যে পথের/জ্ঞান/চিন্তা ধারার সমাপ্তের দেয়াল পড়েছে খিজিরদের নিকট সে পথের হাজারো নহর শুরু মাত্র। কেনোনা ইদুরের গর্তো খুড়ে দেখো তার গর্তের শেষ ভাগে যে নহরের সীমানায় সমাপ্তের দেয়াল গড়া তার অদৃষ্টেই নতুন ধানের গোলা ভর্তি নহরের পথ শুরু হয়েছে। যাহাতে কৃষকের ক্ষেতের নতুন ধানে ইদুরের গর্তো পূর্ণ রয়েছে। তেমনি যদি খিজিরের জ্ঞানে জ্ঞান প্রাপ্ত হও তবে সমাপ্তের দেয়াল ভেঙ্গে হীরা-মণি-মুক্তা খচিত রহস্য জ্ঞান ভান্ডারের সন্ধ্যান লাভ করিতে পারিবে।
১৯//
গাছের সুমিষ্ট ফলটাকে হয় তো পোঁকায় ধরে, নয় তো পশু পাখিয়ে খায়। ফলবান সু-মিষ্ট উপাদেয় ফলবৃক্ষেই মানুষ তার তীর্যক পাথর দ্বারা ডিল ছুরে, ভেষজ ঔষধি বৃক্ষের গায়ের ছাল বাকলই আগে ছিড়ে তেমনি যাঁরা আল্লাহ,র দেওয়ানা, পাগল, মজ্জুব তাঁদের উপড়েই কষ্ট ও নিন্দার ঝাটা পড়ে বেশি।
২০// হে সাকী তোমার দেওয়া সরাব পিয়ে আমার প্রিয়ার নেশায় যখন উন্মাদ হই, তখন আমাদের মাঝে যে আলাপ চলে তা দেখে কেরামান কাতেবিনও বোকা হয়ে যায়। আর দুনিয়ার মজদুরগণ আমাকে তখন কাফের বলে চিল্লাতে থাকে।
বাণী: সৈয়দ মামুন চিশতী