ইবনুল আরাবী (রহঃ) এর উপদেশ বাণী সমূহ!
“শূন্য থেকে এসেছি, শূন্যেই ফিরে যাবো। চোখ কান সব সময় খোলা রেখো, কুয়াশায় পথ হারিয়ও না, বন্য প্রাণীদের খাবার হইও না।”
“পৃথিবীতে মানুষ হল সৃষ্টিকর্তার মোহর। বৃক্ষ, পাখি, পাহাড়, মহা সমুদ্র, নদী এগুলো কেন? সূর্য কেন পৃথিবীকে আলো দেয়? চাঁদ কেন রাতকে মহিমান্বিত করে? সমুদ্রের উত্তাল স্রোত কেন খেলা করে? কেন নদী বয়ে চলে? সূর্যোদয় কেন হয়? কেনই বা সূর্যাস্ত হয়? = সবই মানুষের জন্য।”
“পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য এবং যত চমক সব কিছুর ব্যবস্থা শুধু মাত্র মানুষের জন্য, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য, মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য।”
“মানুষ শুকরিয়া আদায়ের জন্য, কিন্তু মানুষ অকৃতজ্ঞ। আল্লাহ আমাদের পালনকর্তা, তিনি দেখেন কিন্তু দেখা দেননা।”
“ফু…এই নিঃশ্বাস যদি না নেয়া যেত মানুষ এখানে থাকত না। কিন্তু আমরা সত্য দেখতে পাইনা, আল্লাহকে স্মরণ করিনা।”
“ভাবি আমরাই ক্ষমতার অধিকারী, আল্লাহ আমাদেরকে কৃতজ্ঞ বান্দা হবার তাওফিক দান করুন।”
“আল্লাহ নিজেই অঙ্গীকার করেছেন, তার যোগ্য বান্দাকেই কর্তৃত্ব দেবেন।”
“দুঃখ করো না, শুধু ঈমান ধরে রেখো। জোর করেও কেউ এর মালিক হতে পারবে না।”
“যদি কেউ লড়াই করে তা দখলও করে, তবে শুধু মাত্র দখলদার হতে পারবে আর কিছু না।”
“নবী কারীম (সাঃ) কে হত্যার চেষ্টা করে এক মুশরিক৷ সে ব্যার্থ হয়, আর অবাক হয় নবী কারীম (সাঃ) এর দীপ্ত ঈমান দেখে।”
“তোমাকে স্থানান্তর করতেই হবে। অসহায়দের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা তোমাকেই করতে হবে।”
“শান্তিপূর্ণ স্থানে সমস্যা বেশী ঘনীভূত হয়, ঠিক যেমন টা আমরা মুসলমানদের ইতিহাস থেকে জানতে পারি, মক্কার মুশরিকরা নিরীহ মুসলমানদের উপর অত্যাচার করত ওরা তাদের উপর অত্যাচার করে জীবন কে দুর্ববিসহ করে তুলে ছিল….অসহায় মুসলিমদের সম্পদ লুট করত এবং তাদের নিয়ে হাসি ঠাট্টায় মেতে থাকত। তখনকার এই পরিস্থিতি মুসলিমদের জন্য খুবই অসহনীয় ছিল…তখন তারা মহানবীর কাছে এসে তাদের সব কথা খুলে বললেন, আমাদের মহানবী তাদের সব কথা মন দিয়ে শুনলেন, এবং তিনি মদিনায় হিজরত করার পরামর্শ দিলেন। তারপর এই মুসলিমরা মদিনায় হিজরতের জন্য সব প্রস্তুতি নিতে থাকলো। কিন্তু কিছু মুশরিক তাদের আটকাতে লাগল, তাদের তারা হত্যার হুমকি ও দিল।”