হোমপেজ বাণী ও উপদেশ হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-৪)

হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-৪)

4965
Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-৪)

(১২১) নিন্মলিখিত কারণসমুহ দেখা দিলে ক্ষমতাসীনদেরকে রাজ্য হারা হতে হয়।
ক.) অযোগ্য অনুপযুক্ত লোকের হাঁতে রাজ্য ক্ষমতা থাকলে।
খ.) যোগ্য ব্যক্তিকে রাজ্য ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে।
গ.) দেশ হতে সুবিচার চলে গেলে। (কেননা রাজ্য ক্ষমতা স্থায়িত্বের একমাত্র সোপান হলো সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা।)
ঘ.) মানুষ যখন নীতিহারা হয়ে প্রচলিত আইন ও কর্তব্য কাজে ফাকি দিতে থাকে।
ঙ.) শাসক শ্রেণীর লোকজন বৃহৎ সমস্যাসমূহকে বাদ দিয়ে ক্ষুদ্র বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করলে।
চ.) শত্রু পক্ষ নিরুপায় হলে তার পতি বেশি করুনা দেখাবে না। কেননা সে সুযোগ পেলে পুনরায় তোমাকে ছাড়বে না। শত্রুতা করার জন্যে শত্রুগণ প্রথমে বন্ধুরুপে প্রবেশ করে। তাই যাচাই বাছাই করে নিতে হবে।

(১২২) মন্দ লোক অন্যদের সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে পারে না, সর্বোচ্চ সে তাদেরকেও নিজের মত মনে করে।

(১২৩) মনে রাখবে তোমার শত্রুর শত্রু সে তোমার বন্ধু আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু।

(১২৪) তোমার বিপদের সময় যে ব্যক্তি নিরপেক্ষ থাকে তাকে কখনো বন্ধু বলে মনে করো না।

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

(১২৫) কথা বল পার্থক্য-জ্ঞানসহ, প্রশ্ন-প্রতিবাদ কর প্রমাণসহ। কেননা মুখ তো পশু-প্রাণীরও থাকে; কিন্তু তারা জ্ঞান-বুদ্ধি-ভদ্রতা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।

(১২৬) বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে, আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়।

(১২৭) কোনো মানুষের ভালো বা গুণের কিছু জানলে, তা বল, প্রকাশ কর। কিন্তু কোনো ত্রুটি পেলে সেক্ষেত্রে তোমার নিজের গুণের পরীক্ষা বলে মনে করবে।

(১২৮) আপনার দ্বারা নেক কাজ সাধিত হলে আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করুন এবং যখন অসফল হবেন তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

(১২৯) সেসব মানুষের ওপর আস্থা-ভরসা রাখবে, যারা তোমার তিনটি বিষয় মূল্যায়ন করে।
ক.) তোমার হাসি-আনন্দের ক্ষেত্রে অব্যক্ত দয়া পোষণ করে,
খ.) তোমার ক্রোধের ক্ষেত্রে অব্যক্ত ভালোবাসা পোষণ করে, এবং
গ.) তোমার মৌনতার ক্ষেত্রে গোপনমুখ হিসেবে কাজ করে।

(১৩০) আগুনের শেষ , ঋণের শেষ , রোগ ও শত্রুতার শেষ থাকলে ভবিষ্যতে বিপদ দেখা দিতে পারে।

(১৩১) মানুষের কিসের এত অহংকার, যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায়।

(১৩২) অজ্ঞদেরকে মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই মৃত অবস্থায় কাল যাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সমাহিত; কেননা তাদের অন্তর মৃত, আর মৃতের স্থান কবর।

(১৩৩) আমি তোমাদের হুশিয়ার করে দিচ্ছি যে , বিপথে চলার সময় মৃত্যুকে স্মরন কর যা তোমাদের নফসের সকল সাধ মিটিয়ে দিবে।

(১৩৪) যে ব্যক্তি নিজের হিসাব নিজে নেয় সে লাভবান হয়। যে নিজেকে ভুলে থাকে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে ভয় পায় সে নিরাপদ হতে পারে। যে উপদেশ গ্রহণ করে সে বিচক্ষণ হয়। আর যে বিচক্ষণ হয় সে বোধ লাভ করে। আর যে বোধশক্তি লাভ করে সে জ্ঞানের অধিকারী হয়।

(১৩৫) তুমি পানির মত হতে চেষ্টা কর, যে কিনা নিজের চলার পথ নিজেই তৈরী করে নেয়।পাথরের মত হয়োনা, যে নিজে অন্যের পথরোধ করে।

(১৩৬) সৎমানুষের এটাও অন্যতম গুণ যে, তাদের ইচ্ছা করে মনে রাখতে হয় না; তাদের কথা এমনিতেই মনে পড়ে।

(১৩৭) লোকের যে সমস্ত দোষ ত্রুটির উপর আল্লাহ পর্দা দিয়ে রেখেছেন তা তুমি প্রকাশ করার চেষ্টা করো না।

(১৩৮) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিতের অন্তরে যে বিদ্বেষাগ্নির জন্ম হয়, তা অত্যাচারীকে ভস্ম করেই ক্ষান্ত হয় না, সে আগুনের শিখায় অনেক কিছুই দগ্ধীভূত হয়।

(১৩৯) মানুষ উত্তম নিয়তের কারণে সওয়াব পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়, যা অনেকক্ষেত্রে ভালো আমলের পরও পাওয়া যায় না। কেননা নিয়তের ক্ষেত্রে লোক-দেখানো বা লৌকিকতার সুযোগ নেই।

(১৪০) সৎ কাজ অল্প বলে চিন্তা করো না, বরং অল্পটুকুই কবুল হওয়ার চিন্তা কর।

(১৪১) পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায়, আর পুণ্য কাজ করে গর্ববোধ করলে পুণ্য বরবাদ হয়ে যায়।

(১৪২) মানুষের প্রতিটি নিঃশ্বাস মৃত্যুর প্রতি পদক্ষেপ মাত্র।

(১৪৩) কর্মবিমুখ লোক দুঃখে পতিত হয়।

(১৪৪) যে নিজের সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় কিছুই খরচ করে না তার ব্যাপারে আল্লাহর কিছুই করার থাকে না।

(১৪৫) কখনও কারও সামনে নিজের সততা-ভালো হওয়ার কথা বলতে যাবে না। কেননা তোমার প্রতি যার বিশ্বাস আছে, তার কাছে তেমনটির প্রয়োজনই নেই; আর তোমার প্রতি যার ভক্তি-বিশ্বাস নেই, সে তা মেনে নেবে না।

(১৪৬) মা এর প্রতি উচ্চস্বরে কথা বলো না, যে মা তোমাকে কথা বলা শিখিয়েছে।

(১৪৭) মনে রেখো তোমার শত্র“র শত্র“ তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্র“র বন্ধু তোমার শত্র।

(১৪৮) সম্মুখে তারিফ করে দুষমন সে জন।

(১৪৯) দুনিয়াতে সব চেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে সংশোধন করা আর সব চেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা।

(১৫০) গোপন কথা যতক্ষণ তোমার কাছে আছে সে তোমার বন্দী । কিন্তু কারো নিকট তা প্রকাশ করা মাত্রই তুমি তার বন্দী হয়ে গেলে।

(১৫১) ধনসম্পদ মাটিতুল্য; আর মাটি সংরক্ষণের যথাযোগ্য স্থান হচ্ছে পদতলে। তা যদি মাথার ওপর রাখা হয়, সেটা কবরের নামান্তর হয়। আর কবর তো জীবিত মানুষের জন্য নয়।

(১৫২) ভালোবাসা সবাইকে নিবেদন করো; তবে তাকে সর্বাধিক ভালোবাস, যার অন্তরে তোমার জন্যে, তোমার চেয়েও অধিক ভালোবাসা বিদ্যমান থাকে।

(১৫৩) সময় ও সম্পদ এমন দুইটি জিনিস, যা মানুষের ইচ্ছাধীন নয়। সময় মানুষকে বাধ্য করে, আর সম্পদ অহংকারী করে তোলে।

(১৫৪) নেককারদের সাহচর্য দ্বারা মানুষ শুধু মঙ্গলই পেয়ে থাকে। কেননা বাতাস যখন ফুলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাতে নিজেই সুগন্ধিযুক্ত হয়ে যায়।

(১৫৫) যে কাউকে একাকী উপদেশ দেয়, সে তাকে সজ্জিত করে; আর যে কাউকে সবার সামনে উপদেশ দেয়, সে তাকে আরও বিগড়িয়ে ফেলে।

(১৫৬) হজরত আলী (রা.) বলেন, ‘মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে, প্রেম-ভালোবাসার জন্য; আর বস্তু সৃষ্টি করা হয়েছে ব্যবহারের জন্য। সমস্যার জন্ম নেয়, তখনই,যখন বস্তুকে ভালোবাসা হয় এবং মানুষকে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ভাবে।

(১৫৭) মূর্খলোক সম্পদের জন্য অন্তরের শান্তি বিসর্জন দেয়; আর বুদ্ধিমান ব্যক্তি মনের শান্তির জন্য সম্পদ লুটিয়ে দেয়।

(১৫৮) জীবজন্তুর মাঝে থাকে প্রবৃত্তি-কামনা এবং ফেরেশতাদের মধ্যে থাকে বুদ্ধি-বিবেক; কিন্তু মানুষের মধ্যে থাকে উভয়টি। মানুষ যদি বিবেক-বুদ্ধিকে চেপে যায়, পশু হয়ে যায় আর যদি প্রবৃত্তি-কামনা-বাসনাকে চেপে যায়, ফেরেশতাসম হয়ে যায়।

(১৫৯) শব্দ-কথা’ মানুষের ইচ্ছাধীন দাস হয়ে থাকে; তবে তা বলার আগ পর্যন্ত। বলে ফেললে, মানুষ তার দাসে পরিণত হয়।

(১৬০) শত্র“রা শত্র“তা করতে কৌশলে ব্যর্থ হলে তারপর বন্ধুত্বের সুরত ধরে।

(১৬১) জীবন-যাপনকে প্রয়োজনের মধ্যে সীমীত রাখো; শখ-বাসনার দিকে নিয়ে যাবে না। চাহিদা একজন ফকিরেরও পূর্ণ হয়ে যায়। আর শখ-বাসনা একজন রাজা-বাদশাহরও পূর্ণ হয় না।

(১৬২) ভালো বন্ধু হাত আর চোখ এর মত, যখন হাত ব্যাথা পায় তখন চোখ কাঁদে আর যখন চোখ কাঁদে হাত তার অশ্রু মুছে দেয়।

(১৬৩) রাজ্যের পতন হয় দেশ হতে সুবিচার উঠে গেলে, কারণ সুবিচারে রাজ্য স্থায়ী হয়। সুবিচারকের কোন বন্ধুর দরকার হয় না।

→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-১)

→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-২)

→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-৩)

→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-৪)