হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-৩)
(৮৩) সর্বাপেক্ষা করুণার পাত্র হচ্ছে ঐ ব্যক্তি-
ক. যে আলেম ব্যক্তির উপর জাহেলরা কতৃত্ব করে।
খ. যে ভদ্রব্যক্তি কোন ইতর লোকের অধীন হয়ে পড়ে।
গ. ঐ সৎব্যক্তি যার মাথার উপর পাপিষ্ঠ চেপে বসে।
(৮৪) যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না!
(৮৫) অনর্থক কামনা নিজেই একটি ধ্বংসাত্বক সঙ্গী, আর বদ অভ্যাস সৃষ্টি করে একটি ভয়াবহ শত্রু।
(৮৬) কেউ স্বীকৃতি না দিলেও তুমি তোমার সদাচরণ অব্যাহত রাখবে।
(৮৭) পুণ্য অর্জন অপেক্ষা পাপ বর্জন শ্রেষ্ঠতর।
(৮৮) অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়।
(৮৯) সততার মাধ্যমে একজন নিরীহ প্রকৃতির লোকও যে মর্যাদার অধিকারী হয়, বুদ্ধিমানেরা রকমারী কলাকৌশল প্রয়োগ করেও তার নিকটে পৌঁছতে পারে না।
(৯০) যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, টা অন্যকে উপদেশ দিও না।
(৯১) সেই ব্যক্তির পক্ষেই সর্বাধিক সৎকর্ম করা সম্ভব,যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
(৯২) সর্বোত্তম বক্তব্য সেটিই, স্বয়ং বক্তা যা কার্যে পরিণত করে। -হজরত আলী (রা.)
(৯৩) প্রকৃত দ্বীনদারী পার্থিব স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমেই সম্ভব।
(৯৪) অনুশোচনা খারাপ কাজকে বিলুপ্ত করে আর অহংকার ভালো কাজকে ধ্বংস করে।
(৯৫) দুনিয়া ও আখেরাত দুই সতীনের ন্যায়। স্বামী যেমন একজনকে খুশি করতে চাইলে অন্যজন ক্ষিপ্ত হয়। তেমনি কেউ দুনিয়ার জীবনকে সুখময় করতে চাইলে আখেরাতের ক্ষতি এবং আখেরাতকে নির্বিঘ্ন করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ক্ষতি স্বীকার করা ছাড়া গত্যন্তর নেই।
(৯৬) মানুষের কিসের এত অহংকার, যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায়।
(৯৭) সর্বাপেক্ষা আহাম্মক ঐ ব্যক্তি যে অন্যের বদঅভ্যাসের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে, এবং লোক চক্ষুর আড়ালে নিজেই সেই সব বদঅভ্যাসে জড়িত থাকে।
(৯৮) অনর্থক কামনা নিজেই একটি ধ্বংসাত্বক সঙ্গী,আর বদ-অভ্যাস সৃষ্টি করে একটি ভয়াবহ শত্রু।
(৯৯) আত্মতুষ্টি নিশ্চিতভাবে নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ। -হজরত আলী (রা.)
(১০০) ছোট পাপকে ছোট বলিয়া অবহেলা করিও না, ছোটদের সমষ্টিই বড় হয়।
(১০১) বুদ্ধিমানেরা বিনয়ের দ্বারা সম্মান অর্জন করে,আর বোকারা ঔদ্ধত্যের দ্বারা অপদস্ত হয়।
(১০২) বিপদে অস্থিরতা নিজেই একটি বড় বিপদ।
(১০৩) ছোট পাপকে ছোট বলিয়া অবহেলা করিও না, ছোটদের সমষ্টিই বড় হয়।
(১০৪) বন্ধুত্ব করার মত কোন যোগ্যলোক পাওয়া না গেলেও অযোগ্যদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যেও না।
(১০৫) যৌবনের অপচয়কৃত সময়ের ক্ষতি অবশ্যই পূরন করতে হবে, যদি তুমি সন্তোষজনক সমাপ্তি অনুসদ্ধান করো।
(১০৬) তোমার যা ভাল লাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে।
(১০৭) দ্রুত ক্ষমা করে দেয়া সম্মান বয়ে আনে আর দ্রুত প্রতিশোধ পরায়ণতা অসম্মান বয়ে আনে ।
(১০৮) দুনিয়াতে সব চেয়ে কঠিন কাজহচ্ছে নিজেকে সংশোধন করা আর সব
চেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের সমালোচনা করা।
(১০৯) অনুশোচনা খারাপ কাজকে বিলুপ্ত করে আর অহংকার ভালো কাজকে ধ্বংস করে।
(১১০) দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা যত বেশি হবে, আল্লাহর প্রতি ততোটাই কম হবে ।
(১১১) গোপন কথা যতক্ষণ তোমার কাছে আছে সে তোমার বন্দী । কিন্তু কারো নিকট তা প্রকাশ করা মাত্রই তুমি তার বন্দী হয়ে গেলে।
(১১২) অসৎ লোকের ধন–দৌলত পৃথীবিতে সৃষ্ট জীবের বিপদ – আপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
(১১৩) কারো সাথে বাক্যলাপ না হওয়া পর্যন্ত তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করোনা।
(১১৪) পাথরের মত হয়ো না, যে নিজে অন্যের পথরোধ করে।
(১১৫) অল্প বিদ্যায় আমল বিনষ্ট হয়। শুদ্ধ জ্ঞানই আমলের পুর্ব শর্ত।
(১১৬) পুণ্য অর্জন অপেক্ষা পাপ বর্জন শ্রেষ্ঠতর।
(১১৭) নীচ লোকের প্রধান হাতিয়ার অশ্লীল বাক্য।
(১১৮) ধন সম্পদের অহংকার থেকে আল্লাহর পানাহ চাও।এটা এমন একরোগ, যা মানুষকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে পৌছিয়ে দেয়।
(১১৯) ত্বরিত ক্ষমা-প্রদর্শন ভদ্রতার নিদর্শন। আর ত্বরিত প্রতিশোধ গ্রহণ হীনতার পরিচায়ক।
(১২০) নিজের মহানুভবতার কথা গোপন রাখো, আর তোমার প্রতি অন্যের মহানুভবতার কথা প্রচার করো।
→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-১)
→হযরত আলী রাঃ এর অমীয় বাণী (পর্ব-২)