বিশ্বওলী হযরত শাহসূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ) ছাহেব বলেন:
একটি মুরগী তাহার নিজের পাখার নীচে রাখিয়া আপন বাচ্চাকে কাক, চিল প্রভৃতি দুশমনের হাত হইতে বাঁচায়, তেমনি পীরে কামেলও তদীয় তাওয়াজ্জুহর পাখার নীচে রাখিয়া আপন মুরীদ সন্তানকে শয়তান রূপ দুশমনের হাত হইতে বাঁচাইতে পারেন পীরে কামেল যে রূপে শয়তানের হাত হইতে মুরীদ সন্তানকে রক্ষা করেন, তদরূপ তাহাকে নাফস রূপী শয়তানের প্রভাব হইতেও রক্ষা করেন। আপন তাওয়াজ্জুহ-এ-এত্তেহাদী দ্বারা মুরীদকে আল্লাহতায়ালার সহিত ফানা ও বাকার মর্যাদা দান করেন। খোদাপ্রাপ্তি সাধনায় তাই সামগ্রিক ভূমিকাই মোর্শেদে কামেলের।
তাই হযরত মাওলানা রূমী (রঃ) ছাহেব বলেন:
“চু তো যাতে পীরেরা কারদি কবুল
হাম খোদা দর জাতাশ আমাদ হাম রসূল।”
অর্থাৎ- তুমি যেইমাত্র তোমার পীরের জাতকে কবুল করিলে রাসূলে করীম (সাঃ) তোমাকে উম্মত হিসাবে কবুল করিলেন, আল্লাহপাক তোমাকে বান্দা হিসেবে কবুল করিলেন। আল্লাহ ও রাসূলে করীম (সাঃ) এর স্বীকৃতি তুমি সেই মুহূর্তে পাইলে, যে মুহূর্তে তোমার পীর তোমাকে স্বীকৃতি দিলেন।” (মসনবী শরীফ)
তাই দেখা যায়, খোদাতত্ত্ব সাধনার পথে শুরু হইতে পূর্ণতা অর্জন পর্যন্ত মোর্শেদের সাহায্য ও দয়া ব্যতীত এক চুল পরিমানও অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। তাই মোর্শেদে কামেলের কোন বিকল্প নাই। খোদাতত্ত্ব সাধনার পথের পথিক মাত্রই কম বেশী উপলব্ধি করেন মোর্শেদে কামেলের গুরুত্ব কি। তিনি কেমন পরশ মানিক। তাহার নিকট এমনই ক্ষমতা আল্লাহতায়ালার পক্ষ হইতে জমা থাকে, যাহা কার্যতঃ অনবিক ক্ষমতার চেয়েও বহু বহু গুণ বেশী।
~(তথ্যসূত্রঃ নসিহত, ১৯তম খন্ড, নসিহত নং ১১৫)।