আল্লাহর ইশক ও দুনিয়ার আবরণ। (মাওলানা রুমি রহঃ)।
“গোফতে লায়লা রা খলিফা কাঁ তুই,
কাজ তু মজনুন শোদ পেরিশাঁও গবি।
আজ দিগা খুঁবা তু আফজু নিস্তি,
গোফতে খামুস চুঁ তু মজনুন নিস্তি।
দীদায়ে মজনুন আগার বুদে তোরা,
হরদে আলম বেহুতর বুদে তোরা।
বা খোদী তু লেকে মজনুন বে খোদাস্ত,
দর তরীকে ইশকে বেদারী বদাস্ত।”
অর্থঃ খলিফা লায়লার নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন, হে লায়লা! তুমি কি ওই ব্যাক্তি যার জন্য মজনুন দুঃখিত হইয়া পাগল হইয়া গিয়াছে? অন্য সুন্দরী হইতে তুমি তো অধিক সুন্দরী নও!
লায়লা উত্তর করিলো, তুমি যখন মজনু নও চুপ থাকো; যদি তোমাকে আল্লাহ তা’য়ালা মজনুনের ন্যায় দুটি চক্ষু দান করিতো, তবে দুনিয়া ও আখেরাত তোমার নিকট মূল্যহীন হইয়া পড়িতো। তোমার আর মজনুনের মধ্যে পার্থক্য শুধু এটুকু যে, তুমি এখন পর্যন্ত হুশ অবস্থায় আছো। আর মজনু হুশ অতিক্রম করিয়া বেহুশ হইয়া রহিয়াছে। এইজন্য তুমি আমার সৌন্দর্য অনুভব করিতে পারিতেছ না, এবং মজনু আমি ব্যতিত কাহারো ওপর দৃষ্টি রাখে না। এইজন্য সে আমার সৌন্দর্য অনুভব করিতে পারিয়াছে। ইশকের পথে হুশ রাখা ও জাগ্রত থাকা অবৈধ কাজ।