সুরা আল কাহাফের হাকিকত
কোরানুল কারিমের আঠারো নং সুরা আল কাহাফ। আল কাহাফ শব্দের অর্থ হলো প্রতিষ্ঠিত গুহা। এই গুহা আবার দুই প্রকার একটি মেজাজি গুহা অপরটি হাকিকি গুহা। মেজাজি গুহার মাধ্যমে হাকিকি গুহার পরিচয় জেনে নিতে হয়।
যেমন: মহানবী সা: সাধনস্থল হলো হেরা গুহা তথা জাবালুল নূর পর্বত। মহাদেবের সাধনস্থল হল কৈলাশ পর্বত। এই হেরাগুহা আর কৈলাশ পর্বত হলো মেজাজি গুহা। গুহা মানে মর্মে প্রবেশ করা, নিজের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে ফেলা, নির্লিপ্ততা, নির্জনতা, সাউন্ডগড, পূর্ণতারস্তর, বোধিসত্ত্বা, উপলব্ধিময়তা, পরমহংসময়তা, আনন্দঘণ পরিবেশ, নিত্যধাম, স্বাধীনগৃহ, সত্যের প্রকাশস্থল, সূর্যউদয়স্থল, রহমত নাজিল হওয়ার স্থল, রূহ উদ্ভাসিত হওয়ার স্থল, কদর লাভ করার স্থল, স্বাধীননগরী, মাসজিদুল হারাম, মাকামে ইব্রাহিম, মাকামে মাহমুদা, আবদানের আশ্রয়স্থল, আব্দুহুর আবাসস্থল হল আল কাহাফ।
আল কাহাফে অবস্থান করেন চিরন্তন যুবকগণ। যারা প্রাচুয্যের অধীকারি, অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধীকারি, যা কখনো বিবর্তিত হবে না। সর্বময় সতেজ ও সবুজ থাকবে। যাকে বার্ধক্য স্পর্শ করে না। যার চতুর্থপাশ্ব প্রবাল আর মনি কানিক্য দ্বারা পরিবেষ্টিত। তারা সর্বকালের দুষ্প্রাপ্ত ও দুর্লভ বস্তু। যাদের নৈকট্য ভালো এবং মন্দের কোনো বালাই নাই। থাকে কেবল অনাবিল আনন্দ আর পরমাশান্তি, যেখানে কেউ সুস্থ নহে আর অসুস্থও নহে। তারা আনন্দের মদিরার মধ্যে ডুবে থাকেন। দুনিয়া মুক্তি নিদ্রিত অবস্থা। মহাকাল যাকে সালাম জানায়। যারা মহাকালের স্বাক্ষী।
যারা বিস্ময়ের মধ্যে মহা বিস্ময়। তারাই আল কাহাফ। যিনি আল কাহাফ তিনিই মহাপাঠ। আল কাহাফ আল্লাহর মসজিদ, রবের চেহারা ফুটি উঠে, প্রভাতের কোরান ফুটে রয়েছে, প্রজ্ঞানপুরুষ তথা রাসেখুনা ফিল এলেম তথা সুগভীর বোধিসত্ত্বা। যথা চতুরপাশ্ব নির্মল, সচ্ছল, প্রভাময় ও সুন্দরতম। সুতরাং আল কাহাফ মুক্তির আগমনী বার্তা প্রকাশ করে যাচ্ছে মহাকালকে।
– আর এফ রাসেল আহমেদ