দমের খবর (পর্ব -০৭)
পূর্বের পোস্ট গুলোতে দমের ঘরের অনেক বিষয় জানিয়েছে এবং তত্ত্ব সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারনা দিয়েছি। আমার অঙ্গীকার অনুযায়ী আজ আমি তত্ত্ব নির্নয় করার পদ্ধতি জানাবো সবাই, যাতে নিজে নিজেই গুরু ছাড়া তত্ত্ব নির্নয় করতে পারেন। তত্ত্ব নির্নয়ের অনেক পদ্ধতি আছে, আমি একটি উল্লেখ করতেছি, মূলত সাধকদের এভাবে তত্ত্ব নির্নয় করতে হয় না। তারা এমনিতেই বুঝতে পারে সাধনা সাধনা করতে করতে।
একটি দর্পন তথা আয়না নাকের নিন্মে ধরে দম অর্থাৎ নিশ্বাস ত্যাগ করবে, তখন আয়নার উপর নাকের বাষ্প পতিত হবে, এখন শীতকাল তাই বেশি সহজেই বুঝতে পারবেন আশাকরি। সেই বাষ্পের দিকে মনোযোগ দিন। দেখবেন বাষ্প কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আবার হাওয়ায় মিশে যাচ্ছে। এই মিশে যাওয়ার সময় যদি চার কোনা হয়ে মিশে যায়, তাহলে খাক তত্ত্ব উদয় হয়েছে বুঝতে হবে। এভাবে যথাক্রমে যদি অর্ধ চন্দ্র আকারে, মিশে যায় তাহলে আব তত্ত্ব, তিন কোনা হয়ে বিলীন হলে আতস তত্ত্ব, আর যদি গোলাকার হয়ে মিশে যায় তবে বাদ তত্ত্ব উদয় হয়েছে বুঝবেন। আর যদি বিন্দু বিন্দু হয়ে মিশে যায় তবে আকাশ তত্ত্বের উদয় হয়েছে বুঝে নিবেন।
আমি পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছি, এতো সহজ ভাবে কোনো পীররাও তত্ত্ব নির্নয়ের কথা ভক্তদের জানায় কি না সন্দেহ। এটা একদম সহজ, যে কেউ এটা এখনই পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আশা করি সবারই ভাল লাগবে, এরকম কিছু যে আছে দেহের এই দমের মাঝে এইভাবে এতো সহজে পরীক্ষা করার মত পদ্ধতি আপনাকে আর কেউ জানাবে বলে আমার মনে হয় না। না বুঝতে পারলে এটা আপনার ভাগ্য।
তবে আরো পদ্ধতি আছে, এটা যদি না বুঝেন বা না পারেন, তাহলে সেটা জানাবো। এটা পরীক্ষা করে সবাই জানাবেন এখানে, যাতে আমি আমারও একটা পরীক্ষা হয়ে যায় এতোদিনে দম সাধনা নিয়ে।
আর হ্যা, এই তত্ত্ব নির্নয় করেই কার্য করতে হয়। কোন তত্ত্বে কোন কার্য করলে সিদ্ধি লাভ করা যায়, তা গুরুর কাছ থেকে জেনে নিবেন, আমাকে জিজ্ঞাস করে লাভ নাই, কারন আমার বলার অনুমতি নাই।
এই তত্ত্ব নির্নয় করে যদি কোনো ছেলে কোনো মেয়েকে প্রপোজ করে, সেই মেয়ে রাজি না হয়ে পারবে না, একটু রস দিলাম, মজা হলেও সত্যি। আরো গুনাগুন পূর্বের পোস্ট গুলোতে আলোচনা করেছি। কেউ মাইন্ড করবেন না প্লিজ। প্রেম কিন্তু খারাপ কিছু নয়, ইহা মহা পবিত্র)।
বিঃদ্রঃ আয়না টি নাকের থেকে চার আঙুল পরিমান নিচে রাখবেন, যাতে আপনি ভাল মত বাষ্পীয় অবস্থা ও বিলীন হয়ে যাওয়ার চিত্রটা দেখতে পারেন।
– লেখাঃ Pirzada DM Rahat
– জামালচর ছায়েদিয়া পাক দরবার শরীফ