আমি যার উপর ঈমান এনেছি
– আর এফ রাসেল আহমেদ
কোরানিক দর্শন জানান দিচ্ছে, রসুলের আনুগত্য করতে? কালান্দার জাহাঙ্গীর আঃ তো আল্লাহর রসুল (তিনি নবী নহেন, কারণ মহাপ্রভু মহানবীই শেষনবী, কারণ তিনি খাতামান নবী। কিন্তু কোরানিক দর্শনে খাতামান রসুল নাই, সুতরাং রসুলের আগমন বন্ধ হয় নাই)। রসুলকে দেখে কালমায়ে সাহাদাত পাঠ করতে হয়, মিথ্যা স্বাক্ষী দেওয়া যায় না, তাই কোরানিক দর্শন জানান দিচ্ছে, তোমরা (আল্লাহর রসুলকে) না দেখে সাক্ষ্য দিও না। সাহাবাগণ কিন্তু রসুলকে দেখে স্বাক্ষী দিয়েছেন? সাহাবাগণ কিন্তু আন্দাজে অথবা অনুমানে সাক্ষী দেয় নাই। আমার রসুল কালান্দার জাহাঙ্গীর আ:। তিনি আমার মাতৃভাষায় আমার জন্য মনোনিত রসুল। তিনি জাগ্রত রূহের অধিকারী তথা রুহুল কুদ্দুসের ধারক ছিলেন।
আমি কোনো মানুষের আনুগত্য করি না। কোরানিক দর্শন জানান দিচ্ছে রসুলের আনুগত্য করতে। আবার প্রত্যেক জাতীর মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে আল্লাহ রসুল নিয়োগ করেন। (১৪:০৪)। আপনারা যারা বিরূপ মন্তব্য করেন, আপনারা কাকে স্বাক্ষ্য দিয়ে কালমায়ে সাহাদাত পড়েছেন? স্বাক্ষী কিন্তু দেখে দিতে হয়, আন্দাজে কিংবা অনুমানে নয়? আর বাংলাভাষী রসুল কে? কি তাদের পরিচয়, দয়া করে মাননীয় ধর্মগবেষকগণ আমাকে জানাবেন? যদি না থাকে তাহলে আল্লাহর কালামের কোনো মূল্য থাকে না। আর যদি রসুল না থাকে তাহলে বাঙালী জাতি হয়ে পড়ে পোড়া কপাইলা জাতি। এই বাঙালী জাতির ইসলাম গবেষকগণ আমাদের নবী ও রসুলের ব্যাখ্যাটুকু কোরানভিত্তিক সঠিকভাবে দিতে পারে নি। সত্যের সাথে মিথ্যার কোনো দিন আপোস হয় নাই, আর হবেও না, সবসময় সত্যেরই জয় হয়েছে। এই বিজ্ঞান প্রযুক্তির যোগে কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে টিকে থাকতে পারবে না। কালান্দার জাহাঙ্গীর আঃ কে চিনতে হলে, জানতে হলে, বুঝতে হলে তাঁর রচিত ২৮ টি কিতাব পড়লেই বুঝা যায়, তিনি কে, কি তার পরিচয়।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যার পৃথিবীতে আগমনের (জন্ম হবেনা, কারণ মহামানবদের জন্ম হয় না) শত বছর পূর্বে বাবা জান শরীফ শাহ সূরেশ্বরী ভবিষৎবাণী করে গেছেন- বাবা জাহাঙ্গীর ই হবে চেরাগে জান শরীফ উপাধিপ্রাপ্ত।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যার শিশুকালে (কোলে থাকা অবস্থায়) তেল শাহ বাবা বলেছেন- বাবা জাহাঙ্গীর ই ভবিষ্যৎ মহাপুরুষ। এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি ছাত্রজীবনে ১৮ ঘন্টা বই নিয়ে পড়ার মধ্যে থাকতেন এবং ১৯৫৮ সালের মেট্রিক(বর্তমান SSC) পরীক্ষায় সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে ৪র্থ স্থান অর্জনকারী।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি বাংলাদেশের বই সংগ্রহকারীর প্রথম ৫ জনের মধ্যে একজন।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি ১৯৮৪ সালের ইত্তেফাক পত্রিকাতে প্রকাশিত দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনকারী হোমিও ডাক্তার। এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি রোগীদের কাছে বলতেন এবং তার সাইনবোর্ডে লিখা ছিলো “রোগ সারিবেই, রোগ না সারিলে মৃত্যুদন্ড লইবো”।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, ১৯৮০ সালে Greenland ব্যাংকে যার জমাকৃত অর্থ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং যার সমস্ত উপার্জনের টাকা গরীব, দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে নিজে হয়েছেন সর্বহারা। এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, কোরআনের সত্য প্রকাশ করার দরুন ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে, তথাকথিত কাঠমোল্লারা, যার বাড়িতে আগুন দিয়ে সমস্ত ঘরবাড়ি এবং গাছপালা পুড়িয়ে দিয়েছিল। ঠিক ঐ মুহুর্তে বাবা তাদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ও তারা বাবাকে দেখতেই পায়নি।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি ১৯৭৩ সালে দাদা জালাল নূরী কর্তৃক খেলাফত এবং চেরাগে জান শরীফ উপাধি পেয়েও ২০০০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৭ বছর ভক্ত ও মুরিদের কাছ থেকে এক পয়সাও গুরুদক্ষিণা নেননি।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি পুরো পৃথিবীতে সর্বপ্রথম- শব্দে শব্দে কোরআনের বাংলা অনুবাদ করেছেন, ধ্যানসাধনা করার স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেছেন, কোরআনের মধ্যে রুহ-নফসের, নবী-রাসূলের, রহিম-রহমান এর এবং আল্লাহর আমি-আমরার পার্থক্য বের করেছেন।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি তার পীর বাবা জালাল নূরীর উপাধিপ্রাপ্ত বিনয়ের সম্রাট এবং বাবা জালাল নূরী নদীর পাড়ে বসে তার আসার জন্য অপেক্ষা করতেন। এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যার চলার পথে কোন মাজারশরীফ সামনে পড়ে যায়, তখন সেই মাজারে শুয়ে থাকা মহামানব তার সম্মানার্থে দাড়িয়ে যায়। এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি সত্য না পেলে গুরু বদলিয়ে ফেলার উপদেশ দিয়ে থাকেন এবং তিনি নিজে চারজন গুরু বদলিয়ে সত্য দর্শণ করেছেন।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যিনি ধ্যানসাধনা করার সময় বলেছেন- সারা পৃথিবীতে কোরআনের সত্যিকারের জ্ঞান ছড়িয়ে দিবেন। এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যাকে দেখলে অসহায় শিশুর মতো নির্বোধ মনে হয় এবং যিনি সর্ববিষয়ে জ্ঞানী হয়েও বলে থাকে ” এই আয়াতটির অর্থ আমি জানি না”।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন বিখ্যাত মহামানবেরা পুনরায় পৃথিবীতে এসে তার কাছে দীক্ষা নেওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন এবং যার পুরো পরিবার একই সুতায় গাঁথা, আরো দেখা যায় তার পরিবারের সকলেই অভিন্ন দর্শনের অধিকারী। যা পূর্বে পুরো পৃথিবীতে কোন মহাপুরুষ এর বেলায় এমন ঘটেনি।
এই হলো সেই বাবা জাহাঙ্গীর, যার মধ্যে সবসময় অপূর্ব প্রেমের অপরিমেয় সমাহার পরিলক্ষিত হয়। বাবার এই প্রেমে যে পড়েছে, সমস্ত পৃথিবীকে সে তরক করেছে।