আমরা শিয়াও না, সুন্নীও না, আমরা হোসাইনী।
কারবালাতে ইয়াজিদের পক্ষে ছিলো ৪০হাজার মুসলমান! আর ইমামের সাথে ছিলো মাত্র ৭২জন। ইয়াজিদের কেনা ৩০০নামধারী টুপি ওয়ালা আলেম ইমাম হোসাইনকে শহীদ করা জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছিলো! হায়! কি পাষন্ড! বর্তমানেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। যারা ইমাম হোসাইনের স্বরণে শোক মাতম, তাজিয়া, জারি মর্সিয়া পাঠের বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজি করে, তারা আর যাই হোক হোসাইনী মুসলমান না। আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে, আমরা শিয়াও না, সুন্নীও না, আমরা হোসাইনী।
“হোসাইনের নাম আমাদের ইবাদত। হোসাইনের নাম আমাদের রিয়াজত, আধ্যাত্মসাধনা। হোসাইনের নাম আমাদের অজিফা।”
এবং বুঝতে হবে তারা হলো সেই আলেম, যারা হোসাইনকে শহীদ করা জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছিলো অর্থের লোভে। ইয়াজিদের বংশধরেরা চাই, লোকজন হোসাইনী চর্চা বাদ দিয়ে অন্য চর্চা করুক। তাইতো তারা সুকৌশলে বিভিন্ন বানোয়াট জাল হাদিসের রচনা করে কারবালার সুমহান বেদনাময় সত্যকে দামাচাপা দেওয়া লক্ষ্যে অসংখ্যক জাল হাদিসের উদ্ভব করেছে।
যেমন- প্রচলিত আদম-হাওয়ার দোয়া কবুল, নূহ নবীর কিস্তি উদ্ধার, আইয়ুব নবী অরোগ্যতা লাভ সহ আরো সংখ্য কত কি! ইয়াজিদিরা এমন সুকৌশল অবলম্বনে মিথ্যা হাদিসগুলো এমন ভাবে জনসাধারণের কাছে প্রচার করেছে সেগুলো অধ্যয়ণ করলে দেখা যায়, ইসলামের সকল আনন্দ ও ফুর্তিময় সব ঘটনা শুধু দশই মহররমে ঘটেছে। হায়! আফসোস! কারবালার বেদনাময় সত্যকে ভুল প্রমাণ করার লক্ষ্যে এতো এতো জাল হাদিসের প্রণেতা ইয়াজিদের এই কেনা গোলামরা।
— আসিব মিয়া