মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১৪
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) মাওলা আলীকে বলেনঃ
أنْتَ تُبَيِّنُ لِأُمَّتِي مَا اخْتَلَفُوا فِيهِ بَعْدِي.
“আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।”
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩, আল ফেরদৌস ৫:৩৩২/৮৩৪৯ )
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এর ঘোষণাতে সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয়, মাওলা আলী উম্মতের অভিভাবক এবং কান্ডারী। সাহাবীদের নেতা হিসেবে মনোনয়ন করে গেলেন মাওলা আলীকে। কারণ দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) জানতেন, আমার ওফাতের পর সাহাবীরা বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ, হানাহানি এবং মারামারিতে লিপ্ত হয়ে যাবে। তাই এই সমস্ত ফেৎনা ফেসাদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাওলা আলীকে তাদের অভিভাবক নিযুক্তি করে গেলেন। যাতে উম্মতের মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি হলে মাওলা আলী সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এখানে দয়াল রাসূল (সাঃ) তাঁহার পরে মাওলা আলীর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে দিলেন।
দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এর আদেশ অমান্য করে মুসলিম জাতি বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্তি হয়ে পড়ে। এই জন্যই পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা ইসলামকে খন্ড-বিখন্ড করিও না। পবিত্র কুরআন শরীফের এই আয়াতের পরিপ্রেক্ষিতে দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) মাওলা আলীকে মুসলিম জাতির সমস্যার সমাধানকারী নিযুক্তি করে যান।
মুসলিম জাতি যতক্ষণ পর্যন্ত মাওলা আলী অর্থাৎ আহলে বায়াতকে আঁকড়ে না ধরবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলিম জাতির মুক্তি নাই। যার বাস্তব প্রমাণ আপনাদের চোখের সামনেই ঘটছে। শুধুমাত্র একটু বুঝার ভুলের জন্য, মুসলিম জাতির এই করুন অবস্থা। আহলে বায়াতকে আঁকড়ে না ধরা পর্যন্ত মুসলিম জাতির পরিত্রাণ পাওয়ার কোন বিকল্প উপায় নেই এবং থাকতে পারে না।
নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।