হোমপেজ মাওলা আলী (আঃ) প্রসঙ্গ মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-৩

মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-৩

মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-৩

মাওলা আলীর অসাধারণ শান-মান (ধারাবাহিক পর্ব নং-৩)।

রাসূল পাক (সাঃ) বলেছেনঃ أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَ عَليُّ بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأتِ البَابَ.

“আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী তার তোরণ। কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাকে তোরণ বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।”

সূত্র: (আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭,জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯,উসুদুল গবাহ্ ৪:২২,তারীখে বাগদাদ ১১:৪৯-৫০,আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২,আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫)

أَعْلَمُ اُمَّتِي مِنْ بَعْدِي عَلِیُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.

“আমার পরে আলী হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী।”

সূত্র: (কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭,আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)

দয়াল রাসূল (সাঃ) সমস্ত সৃষ্টি জগতের জ্ঞান ভান্ডার। আর মাওলা আলী হলো সেই জ্ঞান ভান্ডারের তোরণ অর্থাৎ দরজা। দয়াল রাসূল এখানে সুস্পষ্টভাবে জোর দিয়েছেন, অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করতে হলে মাওলা আলীর দরজা দিয়ে আসতে হবে। নচেৎ কেউ সেই জ্ঞানসিন্ধুতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। হোক সে নবী-রাসূল, সাহাবী কিংবা যতবড় মহামানব। আর এই জ্ঞানটা হলো মহান আল্লাহর গুপ্ত রহস্যভেদ জানা। আবার মাওলা আলীকে দয়াল রাসূলের পরে সমস্ত সৃষ্টি জগতের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহর গুপ্তভেদ রহস্য জানতে হলে অবশ্যই তাকে মাওলা আলীর মাধ্যমে আসতে হবে। নচেৎ কেউ কস্মিনকালেও আল্লাহর সন্ধান খুঁজে পাবে না।

আর মহান আল্লাহর পরিচয় লাভ ব্যতীত কেউ নবী-রাসূল, সাহাবী এবং অলী হতে পারেনি এবং কেউ কেয়ামত পর্যন্ত সাধনা করলেও পারবে না। তাই যুগে যুগে প্রতিটি মহামানব মাওলা আলীর মাধ্যমেই আল্লাহর পরিচয় লাভ করছে এবং ভবিষ্যতে করবে। মাওলা আলী ব্যতীত কোনকালেই কারোর গতি ছিলো না এবং থাকবে না। সুতরাং মাওলা আলীর দরজা ব্যতীত প্রতিটি মুমিন মুসলমানদের ভিন্ন পথে যাওয়ার সুযোগ নেই এবং থাকবে না।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।

মাওলা আলীর শান-মান (সকল পর্ব)