হোমপেজ আহলে বায়াত (পাকপাঞ্জাতন) মহানবী (সাঃ)-এর আগমন দিবসে খুশি প্রকাশ করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ।

মহানবী (সাঃ)-এর আগমন দিবসে খুশি প্রকাশ করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ।

মহানবী (সাঃ)-এর আগমন দিবসে খুশি প্রকাশ করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ।

بِسۡمِ اللّٰہِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡم

وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ

“এবং আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।” (সুরা আম্বিয়া, আয়াত নম্বর 107)

قُلۡ بِفَضۡلِ اللّٰہِ وَ بِرَحۡمَتِہٖ فَبِذٰلِکَ فَلۡیَفۡرَحُوۡا ؕ ہُوَ خَیۡرٌ مِّمَّا یَجۡمَعُوۡنَ

“আপনি বলুন, ‘আল্লাহ্‌রই অনুগ্রহ ও তারই দয়া, সেটারই উপর তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিত। তা তাদের সমস্ত ধন-দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়।” (সুরা ইউনুস, আয়াত নম্বর 58)

وَ اَمَّا بِنِعۡمَۃِ رَبِّکَ فَحَدِّثۡ

এবং আপন রবের নি’মাতের খুব চর্চা (প্রকাশ) করুন। (সুরা দুহা, আয়াত নম্বর 11)

পবিত্র কোরান হতে ঈদে মিলাদুন নবী (সাঃ):

وَ سَلٰمٌ عَلَیۡہِ یَوۡمَ وُلِدَ وَ یَوۡمَ یَمُوۡتُ وَ یَوۡمَ یُبۡعَثُ حَیًّا

“এবং শান্তি তাঁরই উপর যেদিন জন্মগ্রহণ করেছে, যেদিন মৃত্যুবরণ করবে এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।” (সুরা মরিয়াম 11)

وَ السَّلٰمُ عَلَیَّ یَوۡمَ وُلِدۡتُّ وَ یَوۡمَ اَمُوۡتُ وَ یَوۡمَ اُبۡعَثُ حَیًّا

“এবং ওই শান্তি আমার প্রতি যেদিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং যেদিন আমার মৃত্যু হবে আর যেদিন জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো।” (সুরা মরিয়াম 33)

হাদিস হতে ঈদে মিলাদুন নবী (সাঃ) পালন:

صحیح مسلم
کتاب: روزوں کا بیان
باب: ہر مہینے تین دن کے روزے اور ایام عرفہ کا ایک روزہ اور عاشورہ اور سوموار اور جمعرات کے دن کے روزے کے استح کے بیان میں

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ عَنْ غَيْلَانَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّی اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَقَالَ فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ

আবি কাতাদাহ আনসারি (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহো আলাইহে অ সাল্লাম) কে সোমবার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন- “এ দিনেই আমি জন্ম গ্রহণ করেছি এবং এ দিন-ই আমার ওপর ওহী (কুরান অবতীর্ণ হয়েছে)।” (মুসলিম শরিফ, কিতাবুস সাওম, অনুবাদ পৃষ্ঠা নম্বর 427)

এক নজরে আরো দেখুন:

  • সুরা আম্বিয়া’র 107 নম্বর আয়াত হতে প্রমাণ হলো নবী (সল্লাল্লাহো আলাইহে অ সাল্লাম) কুল
  • মাখলুকাতের জন্য ‘রহমত’, আর রহমত হলো সব থেকে বড়ো নিয়ামত।
  • আর সুরা ইউনুস 58 নম্বর আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন রহমত পেয়ে খুশি কর।
  • সুরা দুহা’র শেষ আয়াতে বলেছেন খুব চর্চা করো বা প্রকাশ করো, সে কারনে জাশনে ঈদে মিলাদুন্নাবী করা হয়।
  • সুরা মরিয়াম 11 ও 33 নম্বর আয়াতে জন্ম দিনের বর্ণনা আছে, সে কারনে জন্ম দিনে জাশন মানানো হয়।
  • মুসলিম শরিফের উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নবী (সা:) নিজেই জন্ম দিনে রোখা রাখতেন, সে কারনে আমরা নফল রোজা রাখি।
  • হাসান বাসরী রা বলেছেন আমার কাছে অহুদ পাহাড়ের সমান সোনা থাকলে তা আমি নবী (সা:) এর জন্মদিন উপলক্ষে বিলি করে দিতাম। (আননেয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নম্বর 11)।

বিশ্ব মুসলিমদের কাছে অনুরোধ, যারা ফাতেহা দোয়াজ দাহাম উপলক্ষে মিলাদুন্নাবী, জাশন, জলুশ, রোজা, দান-খয়রাত, বা খুশি প্রকাশ করছেন তাদের কে বেদাতি বলে কটাক্ষ করে নিজে গোনাহ গার হবেন না, বরং তাদের কে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করুন।

সংকলক ও প্রচারক:
মাওলানা মোঃ মেহেরআলি,
মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।