ইমামে মুবিন এবং ইমাম আলী (আঃ) প্রসংগ।

ইমামে মুবিন এবং ইমাম আলী (আঃ) প্রসংগ।

“আমি প্রত্যেক বস্ত গণনা করে রেখেছি এবং স্পষ্টভাবে তা বণর্না করেছি ইমামে মুবিনে”।__(সুরা: ইয়াসীন/১২)

উক্ত আয়াত যখন নাজিল হয় তখন হযরত আবু বকর এবং হযরত ওমর উভয় দাড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসুল্লাহ (সাঃ), কে এই ইমামে মুবিন?

যার সম্বন্ধে স্বয়ং আল্লাহ বলেন, প্রত্যেকটি বিষয়ের জ্ঞান ও রহস্য আমি তার মধ্যে গনণা ও বণর্না করেছি, সেটা কি তাওরাত?

নবীজী (সাঃ) বললেন, না।

ওনারা আবার জিজ্ঞেস করলেন , সেটা কি ইন্জিল ?

নবীজী (সাঃ) বললেন, না।

পুনরায় ওনারা আরজ করলেন, তাহলে কি সেটা কোরআন?

তিনি (সাঃ) বললেন, না।

ইতিমধ্যে সেখানে হযরত আলী (আঃ) হাজির হলেন।
তখন রাসুল (সাঃ) উভয়কে বললেন, “এই আলীই হচ্ছে ইমামে মুবিন, যার মধ্যে মহান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টিজগতের জ্ঞানকে গননা ও একত্রিত করে দিয়েছেন” ।

[সূত্র- তাফসীরে দুররে মানসুর, খন্ড-৫,পৃ-২৬২, কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদ্দীন, খন্ড-২,পৃ-৫২১, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত,পৃ-১২০, সামারাতুল হায়াত,খন্ড-২,পৃ-২২৮, তাফসীরে কুর্মি,খন্ড-২, পৃ-২১২।]

হায়! এতটাই দূর্ভাগা মুসলমান আমরা স্বয়ং আল্লাহ যাঁকে “কিতাব এ মুবিন” হিসাবে নির্বাচিত করলেন, এই আলী (আঃ) কে আমরা ইমাম বা উলিল আমর হিসাবে মানা তো দুরের কথা, ওনাকে মানি বড় মাপের একজন বীরযোদ্বা, জ্ঞানী সাহাবা হিসেবে।

মোবাহেলার ময়দানে খ্রীষ্টানগন কিন্ত ঠিকই চিনেছিল আহলে বায়েত (আঃ) গনের প্রকৃত মর্যাদা, শুধু চিনতে পারলাম না আজও আমরা।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel