ইমাম জাফর সাদিক এর ১৪টি বিশেষ বাণী
আহলে বায়েত-এর উজ্জ্বল নক্ষত্র ইমাম জাফর সাদিক রাহ.- বাণী
১. একজন মুসলমানের জন্য এটা কখনো উচিত নয় যে, সে কোনো নাফারমান তথা খোদাদ্রোহী, নির্বোধ ও মিথ্যাবাদীর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে। (কিতাবুল ঈমান ওয়াল কুফর, চতুর্থ খন্ড)
২. ক্রোধ পরিহার করো, কেননা এটা তোমার জন্য তিরস্কার নিয়ে আসবে।
৩. সত্যকথা বলার প্রতি সুদৃঢ় ভাবে অনুগত থেকো, আর ন্যায়পরায়ণ ও পাপী উভয়ের কাছে তাদের আমানত পৌঁছে দেবে। কেননা, ওরাই হচ্ছে রিজকের চাবি
(সাফিনাতুল বিহার, ১ম খন্ড)
৪. দয়া ও নম্র ব্যবহার জমিনকে অধিক ফলনশীল করে এবং মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করে। (ওয়াসাইলুশশীয়া, ২য় খন্ড)
৫. মুনাফিকের তিনটি চিহ্ন থাকে, তার অন্তরে যা থাকে মুখে তার বিপরীত বলে, তার অন্তরে তার আচরণের বিরোধী, চেহারা তার অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসের বিরোধী। (বিহারুল আনোয়ার, ১৫৩ খন্ড)
৬. হীনতা নীচতা অবলম্বনের পরিণতি ব্যতীত একটা লোকও বিপদগামী হয় না (উসুলি আলক্বাফী)
৭. তর্কাতর্কি পরিহার কর, কেননা, এটা অন্তরকে সংকচিত করে রাখে। পরিণতিতে মুনাফেকী দেখা দেয় এবং কঠিন অনুভূতির সৃষ্টি করে। (উসুল আলক্বাফী, ১ম খন্ড)
৮. ক্রোধ জ্ঞানী লোকের আত্মার পরিপূর্ণ ধ্বংসকারী, যে তার ক্রোধকে দমন করতে অক্ষম, সে তার মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না ( উসুল আলক্বাফী)
৯. মানুষের মুখের একটা দিক হল, তার অমায়িক ব্যবহার। (মুস্তাদরিক আল- ওয়াওয়াসাইল)
১০. একজন আবেদ তার ঈমানের মূলে উপনীত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের আত্মগর্বী ও সঠিক হওয়ার মনোভাব পরিহার না করে। (সাফিনাতুল বিহার )
১১. পাচ শ্রেণীর লোকের সাথে সম্পর্ক রাখবে না,-মিথ্যাবাদী, কৃপণ, দয়াহীন ব্যক্তি, কাপুরুষ, ফাসিক।
১২. বংশ দিয়ে কোনো কিছু হয় না। আমল বা সাধনা দরকার। আমলেই মানুষের মুক্তি আনে।
১৩. আল্লাহর জিকির -এর অর্থ হলো, তাকে স্মরণ করতে গিয়ে অন্য সব বস্তুকে একেবারে ভুলে যাওয়া।
১৪. যিনি তার সর্বস্ব আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেন,একমাত্র তিনিই জান্নাতের অধিকারী। আর যে প্রবৃত্তি বা নফসের হাতের ক্রীড়ানক জাহান্নামই তার চিরস্থায়ী আবাসস্থল। (সীরাতুল মাশায়েখ, ১ম খন্ড)
নিবেদক- মুহাম্মদ নাসেরউদ্দিন আব্বাসী