হোমপেজ বাণী ও উপদেশ গুরু নানকের বাণী সমূহ

গুরু নানকের বাণী সমূহ

গুরু নানকের বাণী সমূহ

(১) সর্বদা ঈশ্বরের উপাসনা করো।

(২) যে সব মানুষকে একই মনে করে, সে-ই প্রকৃত ঈশ্বরবিশ্বাসী।

(৩) যার নিজের উপর বিশ্বাস নেই, সে কখনই ইশ্বরের উপর বিশ্বাস করবে না।

(৪) একমাত্র প্রকৃত গুরুই তোমাকে ইশ্বরের সন্ধান দিতে পারবেন। এই ঈশ্বর সৃষ্টির শুরুতেও প্রাসঙ্গিক ছিলেন, আজও সমান প্রাসঙ্গিক এবং আগামী দিনেও তাঁর প্রাসঙ্গিকতা একটুও কমবে না।

(৫) ঈশ্বর একজনই, আর তাঁর নাম সত্য। তিনিই জগতের সৃষ্টিকর্তা। তিনি কাউকে ভয় পান না, কাউকে ঘৃণা করেন না। তিনি জাগতিক জন্ম-মৃত্যুর ঊর্দ্ধে।

(৬) ঈশ্বর এক কিন্তু তাঁর রূপ বিভিন্ন। সে সবারই নির্মাণ করেন এবং নিজেও মানুষ রূপে জন্মগ্রহণ করেন।

(৭) যুক্তি দিয়ে ঈশ্বরকে ব্যাখ্যা করা যায় না, সারা জীবন ধরে চেষ্টা করলেও কেউ তা পেরে উঠবে না।

(৮) দুনিয়ায় কোনো ব্যক্তিরই ভ্রান্তভাবে থাকা উচিত নয়, গুরুর সাহায্য ছাড়া কেউই অপর প্রান্তে পৌঁছাতে পারবে না।

(৯) আমি গুরুর চরণে সবসময় প্রার্থনা করি ও বলি, হে গুরুদেব! তুমি আমাকে সৎপথের রাস্তা এবং আলোর দিশা দেখাও।

(১০) আমার জন্মই হয়নি, তাহলে আমার জন্ম কিংবা মৃত্যু কিভাবে হবে।

(১১) শান্তিতে নিজের ঘরে নিজের বিচার করুন, তাহলে মৃত্যুর দূতও ছুঁতে পারবে না।

(১২) যদি মৃত্যুর প্রকৃত অর্থ সত্যিই কেউ জানতে পারে, তা হলে সে আর মৃত্যুকে ভয় পাবে না।

(১৩) বন্ধুরা আমরা কখনই মৃত্যুকে খারাপ বলতাম না। যদি আমরা জানতাম যে, বাস্তবে মরে কিভাবে যাওয়া যায়।

(১৪) আপনাকে যদি কেউ সত্যি ভালবাসে, জানবেন আপনি ঈশ্বরের সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন।

(১৫) ঈশ্বর সর্বত্র বিদ্যমান আছেন, সকলের পিতা একমাত্র তিনিই। এজন্য সবার সাথে প্রেমপূর্বক থাকা উচিত।

(১৬) কেউ তাঁকে (ঈশ্বর) তর্কের মাধ্যমে কখনই বুঝতে পারবেন না, এমনকি সে যদি যুগ যুগ ধরেও তর্ক করতে থাকে।

(১৭) ধন-সমৃদ্ধি সম্পন্ন বড় বড় রাজ্যের রাজা মহারাজার তুলোনা ছোট পিপড়ের সাথে করা যায়না, যার মধ্যে ঈশ্বরের প্রেম ভরে আছে।

(১৮) যেইসব মানুষ; যাদের মধ্যে ভালোবাসা আছে, তারা সেইসব মানুষদের মধ্যে একজন যারা ঈশ্বরকে খুঁজে পেয়েছেন।

(১৯) তোমার হাজারো চোখ আছে তবুও একটি চোখও নেই, তোমার হাজারও রূপ আছে তবুও একটি রূপও নেই।

(২০) না আমি পুরুষ, না আমি নারী, না আমি নপুংসক। আমি কেবল একজন শান্তির বাহক যার মধ্যে অপার আত্মবিশ্বাস, সাহস এবং অনন্ত জ্যোতি বিরাজমান।

(২১) মাংস খাওয়া উচিত নাকি সবজি, এসব নিয়ে মূর্খেরা তর্ক করে! কোনটি মাংস এবং কোনটি সবজি, সেটি কে ঠিক করে দিয়েছে? আর কোনটি খেলে পাপ হবে, সেটাই বা আসলে কে জানে!

(২২) ঈশ্বর তোমাকে যে ধনসম্পত্তি দিয়েছেন, তা যদি তুমি শুধু নিজের বলেই আগলে রাখো, তা হলে তা একটি মৃতের চেয়েও পূতিগন্ধময়। কিন্তু যদি তা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নাও, তা হলে তা পবিত্র প্রসাদের চেয়েও বেশি পুণ্য বলে ধরা হবে।

(২৩) ঈশ্বরের জন্য খুশির গান গাও, প্রভুর নামের সেবা করো এবং তাঁর সেবকের সেবক হয়ে যাও।

গুরু নানকের আরো বাণী