মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১৬

মাওলা আলীর শান-মান: পর্ব-১৬

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) বলেছেনঃ-
إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ، وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.

“নিশ্চয় আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে। আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।”

সূত্রঃ (খাসায়েসে নেসায়ী: ২৩,মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮, আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ১৮: ১২৮/২৬৫,হিল্লীয়াতুল আউলিয়া ৬:২৯৬)

রাসূল (সাঃ) আরো ইরশাদ করেনঃ-
“আদম সৃষ্টির পূর্বে আঁমি এবং আলী একত্রে আল্লাহর নিকট এক খণ্ড নূর হিসেবে অবস্থান করতাম। অতঃপর যখন আল্লাহ হযরত আদমকে সৃষ্টি করলেন,তখন তিঁনি সেই নূরকে দু’খণ্ডে বিভক্ত করলেন। এক খণ্ড আঁমি এবং অপরটি আলী।”

সূত্রঃ (আর রিয়াদুন নাদেবরা, ২য় খণ্ড, পৃঃ-১৬৪; মিযানুল এতেদাল, যাহাবী,খণ্ড-১ পৃঃ-২৩৫; তারিখে বাগদাদ, খণ্ড-৬, পৃঃ-৫৮)

হাকিকতে দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) এবং মাওলা আলী হলেন দুজনে একই বস্তু। দেহের ভিন্নতা থাকলেও কিন্তু রুহানি জগতে রুপের ভিন্নতা নেই। তাঁরা দুজনে এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁদের মধ্যে চুল পরিমান প্রার্থক্য করা, আমাদের জন্য চরম বোকামি। একটি আপেলকে দ্বিখণ্ডিত করে আলাদা করলেই আপেল তাঁর মূল স্বত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলে না। বরং দুটি খন্ডকেই আপেল বলা হয়। দেহ এবং নামের ভিন্নতা মানে আলাদা স্বত্ত্বা নয়। যাহা দয়াল রাসূল (সাঃ) সুস্পষ্টভাবে উক্ত বানীর মাধ্যমে খোলসা করে গেছে। বিশ্বাসী এবং জ্ঞানীরা অল্পতেই বুঝে। অবিশ্বাসী মন কি তাহা জানতে পারে? যুগে যুগে পরম বিশ্বাসীরা অমূল্য বস্ত পেয়ে থাকে।

দয়াল রাসূল পাক (সাঃ) মাওলা আলীকে সকল মুমিন মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত করে গেছেন। যাতে মুসলিম জাতি কখনো পথভ্রষ্ট বিপদগামী না হয়। মাওলা আলীকে যারা নেতা এবং মনিব হিসাবে আঁকড়ে ধরেছেন, তাঁরাই মুমিন হয়েছেন। আর মাওলা আলীকে যারা নেতা এবং মনিব হিসাবে মানতে পারেনি, তারাই যুগে যুগে পথভ্রষ্ট এবং বিপদগামী হয়েছেন।

নিবেদক : অধম পাপী মোজাম্মেল পাগলা।

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel