মুজাদ্দিদে আলফেসানীর ৯টি রুহানী সমাচার
১। হজরত আলফেসানী রাহ হজরত বড়ো পীর সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী রাহ এর গচ্ছিত জুব্বাটি গ্ৰহণের পর অনুভব করলেন যে, এই মুবারক জুব্বার মাধ্যমে তাঁকে আধ্যাত্মিক জগতের বিশেষ উপহার প্রেরণ করা হয়েছে।অতএব এই মূল্যায়ন উপহার দর্শনের অভিপ্রায়ে এক নির্জন কক্ষে প্রবেশ করলেন। অতঃপর তিনি লাভ করলেন আধ্যাত্মিক জগতের একচ্ছত্র রাজত্ব এবং পূর্ববর্তী সমুদয় আম্বিয়া ও আউলিয়ার সীমাহীন পক্ষাবলম্বন।
২। একদিন হজরত মুজাদ্দিদে আলফেসানী রাহ হলকায়ে মুরাকাবায় নিজের দোষ ক্রটির দিকে খেয়াল করে বিশেষ বিনয় ও নম্র সহকারে আল্লাহ তায়ালার দরবারে ক্রন্দনরত,এহেন সময় ইলহামের মাধ্যমে তাঁকে জানানো হল- “গাফারতু লাকা ওয়া লিমান তাওয়াছোলা বিকা বি ওয়াসিতাতিন আক্তরি গাইরি ওয়াসিতাতিন ইলা ইয়াওমিল কিয়ামাহ”। অর্থ্যাৎ- “আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং কিয়ামত পর্যন্ত যত লোক তোমার ওয়াসিলা গ্ৰহণ করে ক্ষমা চাইবে তাঁদেরকেও ক্ষমা করলাম। তাঁরা তোমার সিলসিলাভূক্ত হোক আর সিলসিলা বর্হিভূত হোক”।
৩। একদিন হজরত কেবলাকে বিশেষ সংবাদ দেওয়া হল যে, তিনি যার সালাতে জানাজা আদায় করবেন, আল্লাহ তায়ালা তাঁর সমুদয় গোনাহ মাফ করে দিবেন।
৪। তিনি বলেন, “আল্লাহ তায়ালা দয়া করে আমাকে এই কথা জানিয়েছেন যে, আমার লিখিত যাবতীয় কিতাবাদি ও মাকতুবাদ আখেরী জমানায় হজরত ইমাম মাহদী আ এর সামনে পেশ করা হবে এবং তাঁর নিকট সবই গৃহীত বলে সাব্যস্ত হবে”।
৫। তিনি বলেন, “নবুওয়াত ব্যতীত মানুষের পক্ষে যত কামালাত অর্জন করা সম্ভব,তার সবই আল্লাহ তায়ালা আমাকে দান করেছেন”।
৬। তিনি বলেন, “একদিন আমার সাথে হজরত আলী ইবনে আবু তালিব রা এর জিয়ারত নসিব হলে তিনি আমাকে বললেন, আমি আপনাকে আসমানের এলমসমূহ শিক্ষা দিতে এসেছি”।
৭। তিনি বলেন, “একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, হজরত রাসূলুল্লাহ সা -এর সামনে লিখিত এজাজত নামা পেশ করা হল।তাতে লেখা আছে -আপনাকে আখিরাতের এজাজতনামা প্রদান করা হল, এবং শাফাআতের মাকামও দান করা হল”।
৮। তিনি বলেন, “হজরত ইমাম মাহদী আ এই তরিকার নিসবত হাসিল করবেন এবং তা তাঁর মধ্যে সফল ও সুন্দর ভাবে বিকাশ প্রাপ্ত হবে”।
৯। তিনি বলেন, হজরত খিজির আ এর রুহানী ফায়েজের বরকতে আমি এলমে লাদুন্নী অর্জন করেছি”।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
মুজাদ্দিদে আলফেসানী হয়ে সালমানিয়া (বারিয়া সিলসিলা),
(মুহাম্মদ নাসেরউদ্দিন আব্বাসী)
প্রপৌত্র -হজরত পীর গোলাম সালমানী আব্বাসী ফুরফুরাবী রাহ