হযরত সুফিয়ান সাওরী (রঃ)-এর তিনটি মহা উপদেশ
এক:
অধিকাংশ সময় ব্যাপার এমন যে, লোকে নেক আমল করে। এমনকি তাহার সেই নেক আমল সমগ্র ফেরেশ্তা জগতে ছড়া্ইয়া পড়ে এবং আল্লাহতায়ালার দফতরে লিখিতও হয়। অতঃপর এমন হয় যে, আমলকারীর মনে সেই আমলের জন্য ফখর পয়দা হয় এবং সে বার বার উক্ত কাজের জন্য বিভিন্ন প্রকারের কষ্ট হইয়াছে বলিয়া লোকের নিকট বর্ণনা করিয়া বেড়ায়। অবশেষে তাহার সেই আমল রিয়াকারীতে পরিনত হয় এবং আল্লাহতায়ালার দফতরে ‘রিয়া’ বলিয়া লিখা হয়।
দুই:
যদি কোন স্থানে বহু লোক একত্রিত হয় এবং কেহ আসিয়া ঘোষণা করে যে, উপস্থিত লোকদের মধ্যে যিনি নিশ্চিতরূপে অবগত আছেন যে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত জীবিত থাকিবেন, তিনি এখানে দাঁড়ান, তবে কেহই দাঁড়াইবে না। তদুপরি আশ্চর্যের বিষয় এই যে, তবে যদি উপস্থিত সকলকে ডাকিয়া একথাও বলা হয় যে, আপনাদের মধ্যে যিনি পরলোকের পাথের সম্বল সংগ্রহ করিয়াছেন তিনিও দাঁড়ান। তবুও এমন কেহ হইবে না যে, দাঁড়াইতে পারে।
তিন:
কতিপয় লোক হযরত সুফিয়ান সাওরী(রঃ)কে জিজ্ঞাসা করিল, হযরত রাসূলে খোদা (দঃ) বলিয়াছেন, ‘যে ঘরের লোক গোশ্ত অধিক খায়, সে ঘরের লোকদিগকে আল্লাহপাক শত্রু মনে করেন।’ ইহার রহস্য কি এবং ইহার অর্থ কি? তিনি বলিলেন, “ইহার অর্থ, যে ঘরের লোক গিবত বেশী করে।” কেননা গীবতকারীরা মৃত মুসলমান ভাইয়ের গোশ্ত খায়। অর্থাৎ গীবত করা এরূপ যেমন একজন মৃত মুসলমান ভাইয়ের গোশ্ত খাওয়া।