সংযোগ ও সাধনা নিয়ে খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী।
“নামাজের দুইটি দিক বা অবস্থা রহিয়াছে। একটি জাহেরী অবস্থা যাহাকে দেহের সহিত তুলনা করা যায়, আর একটি বাতেনী অবস্থা যাহাকে প্রানের সহিত তুলনা করা যায়।”
“নামাজ এক অমূল্য নেয়ামত, আল্লাহতায়ালার এক বিশেষ দান। এই নাজের মধ্যেই আছে হুজুরে কালবের মারেফাত। নামাজের মধ্যে আছে মোমেনের জন্য মেরাজ। এমন নামাজ শিক্ষা করার জন্য কামেলও মোকাম্মেল পীরের সান্নিধ্যে থেকে দীর্ঘ সময় খেদমত করতে হয়।”
“খেয়াল কালবে, কালব আল্লাহর দিক, আল্লাহ হাজের-নাজের; খেয়াল কালবে ডুবাইয়া আল্লাহতায়ালেকে হাজের-নাজের ওয়াহেদ জানিয়া ‘হুজুরী’ কালবে সেজদা করাই ‘আসসালাতু মে’রাজুল মু’মিনীন।”
“তোমরা যদি নামাজের পূর্ণতা লাভ করিতে চাও, নামাজের সর্বোচ্চ স্তর মে’রাজের প্লাটফর্মে পৌঁছাইতে চাও, তাহা হইলে চেষ্টা সাধনা এবং কঠিন খেদমত করিতে থাকো।”
“কালব হলো আল্লাহতায়ালার ভেদের এক মহা সমূদ্র। কালব সমুদ্রে ডুব দিয়ে যদি আল্লাহকে সেজদা করতে পারেন- তাহলে সেটাই হবে হুজুরে কালবের নামাজ, কিন্তু কালবের পরিচয় লাভ পীর কামেলের তাওয়াজ্জুহ ছাড়া সম্ভব নয়।”
“বাতেনী আনুগত্য ব্যতীত প্রিয়নবী (সাঃ) এর মহব্বত দেলে পয়দা হয় না। আর প্রিয়নবী (সঃ)-এর মহব্বত ব্যতীত দেল থেকে পাপ ও অন্যায়ের মোহ দূর হয় না। দেল পরিষ্কার হয় না।”
“বাতেনী আনুগত্য ব্যতীত মহব্বতের লাইন পরিস্কার হয়না।”
“বাতেনী আনুগত্যের জন্য প্রয়োজন আধ্যাত্মিক অনুশীলন।”
“সাইয়্যেদুল বাশার বা মানব সরদার। তিনি(রাসূল সা.) রাহমাতুল্লিল আল-আমিন বা জগতসমূহের জন্য রহমত। তিনি(রাসূল সা.) জাতে (সত্তায়) উদ্ভুত প্রেমের প্রথম বিকাশ।”
“যে সকল সাধকবর্গ রাসূলে পাক (সাঃ) এর পরিপূর্ণ অনুসরণের মাধ্যমে নবুওতের কামালাতের মর্যাদা প্রাপ্ত হন, তাহারা নবী নহেন সত্য; কিন্তুু নবুয়তের যোগ্যতার অধীকারী।”
“কামেল পীরগণের কর্মকাণ্ডও নবী-রাসুলের অনুরূপ। তাঁহারাও মানব সমাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম নেয়ামত খোদাপ্রাপ্তিতত্বজ্ঞান বিতরন করেন।”