সূফী আল্লামা ইকবাল (রহঃ) এর অমৃত বাণী
আল্লামা ইকবাল (জন্ম: ৯ নভেম্বর ১৮৭৭ – মৃত্যু: ২১ এপ্রিল ১৯৩৮) তিনি ছিলেন একজন মুসলিম কবি, দার্শনিক, আধ্যাত্মবাদী এবং রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং ব্যারিস্টার। তাঁর ফারসি ও উর্দু কবিতা আধুনিক ফারসি ও উর্দু সাহিত্যের অন্যতম সেরা বিবেচিত। তিনি পাকিস্তানের আধ্যাত্মিক জনক হিসাবে স্বীকৃত। ইকবাল তাঁর ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দর্শনের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিতও ছিলেন।
১.
“পৃথিবীটা তোমারই জন্য তুমি পৃথিবীর জন্য নহ।”
২.
“আমার দৃষ্টিতে দেশ প্রেম এবং দেশ পূজা এক কথা নয়।”
৩.
“গুরু প্রেমে যদি কাফের ফতোয়া নাই পাই, তবে পীর পূজারী হবো কি করে!”
৪.
“ওগো নবীজী! আপনার ভালবাসা যদি, নামাজে আমার না দেয় দিশা, ব্যর্থ আমার রুকু-সিজদা, নামাজে দাঁড়ানো সবই বৃথা।”
৫.
“ব্যক্তি জন্ম নেয় এক মুষ্টি ধুলি থেকে সরল দীন, ব্যক্তির অন্তর থেকে জন্ম নেয় এক জাতি।”
৬.
“স্কুলে অধ্যায়ন করে নয়, কিতাবের পাতা পড়ে নয়। প্রকৃত মানুষ তৈরী হয়, বুযুর্গদের একটি মাত্র নজরে।”
৭.
“খুদিকে(আত্মাকে) এইরুপ উন্নত কর যে,তোমার প্রতিটি ভাগ্যলিপি লিখার পূর্বে খোদা যেন শুধান,কি তোমার অভিপ্রায়।”
৮.
“ওটা কোন ইবাদাতই না, যেথায় নবীজীর প্রেম থাকেনা। সুগন্ধ ছাড়া কোন ফুল হয় না, কাগজের ফুলে সবাস থাকেনা।”
৯.
“হে খোদা! যে বেহেশত বানিয়েছ ওটা মোল্লাদেরকে দিয়ে দাও। আমি বেহেশত চাইনা; শুধু তোমার রহস্যের মাঝে ডুবে থাকতে চাই।”
১০.
“সত্ত্বারে কর সাধনায় তব উন্নত এতখানি; খোদা যেন খোদ মজবুর হয়ে, শুধায় তোমারে- বল নির্ভয়ে কি দেব তোমায়? পেতে চাও তুমি কেমন জীবন।”
১১.
“জাগ্রত রুহের অধিকারী (প্রেমমন্দির, কামেল গুরু) প্রেমে আপন ঘরটিকে নুরময় করে তোল।”
১২.
“তোমার পথ তো আমিরি নহে, বরং ফকিরিই তোমার জন্য প্রযোজ্য।”
১৩.
“দৃঢ় বিশ্বাস, অনবরত প্রচেষ্টা এবং বিশ্বজয়ী প্রেম-জীবনযুদ্ধ এই হলো মানুষের হাতিয়ার।”
১৪.
“ঈমান, চিন্তা ও আবিষ্কার সুন্দর জীবনের তিনটি নক্ষত্র।”
১৫.
“খোদা তোমার রহস্যময় পোশাকের ভেতরেই তোমার আমিটির ভেতর লুকিয়ে আছেন।”
১৬.
“ধর্ম কোনো মতবাদ নয়, কোনো পৌরহিত্য নয়, কোনো অনুষ্ঠান নয়, বরং ধর্ম এমন একটি জীবনবিধান যা মানুষকে বিজ্ঞানের যুগেও তার দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত করে এবং তার প্রতীতিকে দৃঢ় সক্ষম করে দেয়, যার ফলে সে সত্যোপলব্ধিতে সক্ষম হয়ে উঠে।”
১৭.
“রাষ্ট্র ইসলামের মতে, একটি মানব প্রতিষ্ঠানে আধ্যাত্মিকতা উপলব্ধি করার জন্য কেবল একটি উৎসাহ। তবে এই অর্থে সমস্ত রাষ্ট্র নিছক আধিপত্যের ভিত্তিতে নয় এবং আদর্শ নীতিগুলির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নয়।”
১৮.
“যদি খোদা ইচ্ছা করেন তো তিনি তোমার সুন্দর আমিত্বের বিনাশ করতে পারেন। যদি তুমি তোমার আমিত্বের পরদাটুকু একটুখানি উঠাইতে পার তা হলে সঙ্গে সঙ্গে খোদাকে দেখতে পাবে।”
১৯.
“মানুষ সজাগ সচেতন নয়, কিছুক্ষন পর কি ঘটবে তার জীবনে তা তার জানা নেই, অথচ হাজার বছর বেঁচে থাকার উপায় উপকরণ যোগাড়ে ব্যস্ত।”
২০.
“আল্লাহর একাত্ব, সার্বভৌমত্ব ও মানব ভ্রাতৃত্বই হল ইসলামী সমাজের মূল বিষয়। সমাজ ছাড়া ব্যক্তির চিহ্ণ নেই। সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা ব্যক্তিকে সুসংহত করে তোলে। সমাজ জীবন মানুষের পক্ষে অপরিহার্য। বুদ্ধি, আবেগ ও উজ্জ্বল্য প্রশংসার। কিন্তু কেবল মাত্র বুদ্ধিমত্তা যথাযথ নয়। প্রেম ও নীতির যাদস্পর্শ ছাড়া বুদ্ধি নিরর্থক।”
২১.
“মানুষ সজাগ কিন্তুু সচেতন নয়! কিছুক্ষণ পর কি ঘটবে তার জীবনে তা মানুষের জানা নেই। অথচ তারাই হাজার বছর বেঁচে থাকার উপায় উপকরণ যোগাড়ে ব্যাস্ত।”
২২.
“চলো আমরা মোমবাতির মত বাঁচি, নিজেকে বিসর্জন দিয়ে অন্যকে আলোকিত করি।”
২৩
“কোন অধিকারে ফেরেশতারা ইকবালের অতীতের ভুলগুলোর হিসেব লিখবে? ভুলগুলোর মাঝে আমি তো আজন্ম বন্দি হয়েই আছি।”
২৪.
“তারকা-রাজ্যের ঊর্ধ্বে আরও সৃষ্টিজগত রহিয়াছে। জেনে রাখ প্রেমের পরীক্ষা তাহারও ঊর্ধ্বে অবস্থান করে।”
২৫.
“ঈমান, চিন্তা ও আবিষ্কার সুন্দর জীবনের তিনটি নক্ষত্র।”