হোমপেজ বাণী ও উপদেশ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অমিয় বাণী: পর্ব-১

লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অমিয় বাণী: পর্ব-১

774
Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অমিয় বাণী: পর্ব-১

১.
ঈশ্বরই একমাত্র সদগুরু।

২.
অন্ধ সমাজ। চোখ থাকতেও অন্ধের মতো চলতে।

৩.
তোদের মধ্যে সত্যরূপে আমি আছি, চিরকাল থাকবো।

৪.
দু:খ দরিদ্রতায় ভরা সমাজের দু:খ করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করবি।

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

৫.
যাতে তাপ লাগে, তাই পাপ। যে কাজ করেই তুই তাপগ্রন্ত হস্ বা সমাজকে তাপগ্রস্ত করিস্, তা-ই পাপ কাজ।

৬.
আমাকে তোরা শরীর ভেবে, মানুষ ভেবেই গেলি, আমি যে কে, তা জানার চেষ্টা কেউ করলি না। তোদের যে বোঝাবো তাও তো পারি না। নিজেই সে সত্ত্বার কথা যে বলা কওয়া যায় না।

৭.
আমার চরণ ধরিস না, আচরণ ধর।

৮.
যত গুপ্ত তত পোক্ত, যত ব্যক্ত তত ত্যক্ত।

৯.
গুরু প্রদত্ত মন্ত্রের শুদ্ধাশুদ্ধ বিচার করা শিষ্যের কর্ম নয়। গুরু যা দিয়েছেন শিষ্য নির্বিচারে তাই জপ করে যাবে।

১০.
এ দেহপতের সঙ্গে সঙ্গে সব শেষ হয়ে যাবে মনে করিস না। আমি যেমনটি ছিলাম, যেমন আছি, তেমনি চিরকাল থাকবো।

১১.
সূর্য উঠলে যেমন আধার পালিয়ে যায়, গৃহস্থের ঘুম ভেঙ্গে গেলে যেমন চোর পালিয়ে যায়, ঠিক তেমনি বার বার বিচার করলে খারাপ কাজ করবার প্রবৃত্তি পালিয়ে যাইবে।

১২.
আমার জন্ম নেওয়াটা সম্পূর্ণ আমার ইচ্ছাধীন জানবি।

১৩.
আমি ধরা দিই বলেই তো আমাকে ধরতে পারিস, না হলে কার বাপের সাধ্য আমার কাছে ঘেঁষে?

১৪.
ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে, ভগবান তার মঙ্গল করেন।

১৫.
ওরে তোরা কবে ঠিক ঠিক বিশ্বাস করবি যে, এক আমিই সর্বময় কর্তা। আমার ওপর নির্ভর কর, সব কর্তৃত্ব আমার উপর ছেড়ে দিয়ে কেবল নিজের কর্তব্যটুকু নিষ্ঠাভাব পালন কর, তাহলেই জীবনে শান্তি পাবি।

১৬.
সৎকর্ম, সদুপদেশ গ্রহণ, লোক সমাজে গুরুর সম্মানার্থে গুরুর প্রিয় কাজ করাই গুরু সেবা।

১৭.
যারা ঠিকভাবে শ্রাদ্ধপূর্ণ চিত্তে আমার স্মরণ করবে তারাই আমার কৃপা উপলদ্ধি করতে পারবে।

১৮.
আগে খণ্ডকে জানতে হবে, কারণ খণ্ডকে চাইতে না জানলে অখণ্ডের মহানন্দ চাওয়ার ভাবটি আসবে কোথা থেকে?

১৯.
আমার যা খুশি আমি তাই করতে পারি। তোদের বিশ্বাস নেই তাই তোদের চাওয়াটাও ঠিক হয় না। পাওয়াটাও হয় না।

২০.
ধার্মিক হতে চাইলে প্রতিদিন রাতে শোবার সময় প্রতিদিনের কর্মের হিসেব নিকেশ করবি, অর্থাৎ ভালো কর্ম কি কি করেছিস এবং মন্দ কর্ম কি কি করেছিস। ভালো কার্য হলো জমা আর খারাপ কাজ হলো খরচ। সুতরাং তা চিন্তা করে মন্দ কর্ম আর যাতে করতে না হয় সেজন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবি।

২১.
একশত বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি পাহাড়-পর্বত ও বনভূমি দিয়ে দূরত্বে ভ্রমণ করেছি এবং প্রচুর পরিমাণে সংগ্রহ করেছি; এই বাড়িতে আপনি যখন বসার সুবিধা পাবেন।

২২.
পিতা-মাতা তারা যত বৃদ্ধই হোক না কেন পিতামাতাই। তাঁদের খুশী করবার জন্য বিরক্ত না হয়ে, বারবার তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দিবি। আর কোন কারণ জিজ্ঞাসা না করে তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করবি।

২৩.
বারদীতে অবস্থানকালে যখন যেমন আমার কাছ থেকে শূন্য হতে কেউ ফেরে নি, আজও শরণাগত অভীষ্ট ফল লাভে বিফল হবে না।

২৪.
তোদের ডাকে আমার অন্তর বিগলিত হয়, তাই তো তোদের কাছে ধরা না দিয়ে পারি না।

২৫.
হিমালয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে চরম সত্যে পৌঁছে দেখলাম আমি ছাড়া আর কোথাও কেউ নেই, তখন সবার দু:খ নিজের মতন করেই হৃদয়ে অনুভব করলাম। তাই তো ছুটে এলাম তোদের মধ্যে, তোদের সুখ-দু:খের সঙ্গী হবার জন্য।

২৬.
উচ্ছৃঙ্খলতা দারিদ্র্যের বাহন।

২৭.
যে তার মন-প্রাণ আমাকে দিতে পেরেছে, আমি তারই হয়ে গেছি, তার কাছে ঋণী।

২৮.
বিষয়, ভোগ-বাসনাই দুঃখের বা তাপের কারণ। বাসনা নাই যার, তাপও নাই তার।

২৯.
তোরা সত্যকে ধরে থাকবি নিষ্ঠা সহকারে ভগবানের শরণাগতি নিয়ে গুরু প্রদর্শিত পথে এগিয়ে চল।

৩০.
নিজেকে বড় না করে তাকে বড় কর, নিজে কর্তা না সেজে তাকে কর্তা জ্ঞান করার চেষ্টা কর, তাহলেই ত্যাগ আসবে।

৩১.
মুসলমান কথা এসেছে ‘মুছল্লম ঈমান’ কথা থেকে; যার অর্থ ষোল আনা ঈমান যার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কেবল সেই মুসলমান।

৩২.
ওরে, সে জগতের কথা মুখে বলা যায় না, বলতে গেলে কম পরে যায়। বোবা যেমন মিষ্টির স্বাদ বলতে পারে না, সেই রকম আর কি।

৩৩.
আমিও তোদের মত খাই-দাই, মল-মূত্র ত্যাগ করি। আমাকেও তোদের মতই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি। আমি যে কে, তা আর কাকে বোঝাবো। সবাই তো ছোট ছোট চাওয়া নিয়েই ভুলে রয়েছে জানল না প্রকৃত আমি কে?

৩৪.
জন্ম জন্ম ধরে কত পাপই সঞ্চয় করেছিস। এই শারীরিক মানসিক ভোগ ছাড়া যে বেহায়ের পথও নেই।

৩৫.
গীতা কি আর নিত্য পাঠের জিনিস, গীতা যে গীতা। গীতা পাঠ করলে কি হবে, শোনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি জীব হৃদয়ে বসে যে ভগবান নিত্য গীতা শোনাচ্ছেন, যেদিন শুনবি সেদিন গীতা হয়ে যাবি।

৩৬.
ক্ষুধা নিবারণের জন্য মোহের যেমন প্রয়োজন বোধ, বিষ্ঠা-মূত্র ত্যাগের জন্য যেমন দেহের প্রয়োজন বোধ। সেই রকম আমার জন্য যার প্রয়োজন বোধ, সে আমার অনিচ্ছা থাকলেও ইচ্ছা করিয়ে নিতে পারে।

৩৭.
প্রতিদিন রাতে শোবার সময়, সারাদিনের কাজের হিসাব-নিকাশ করবি অর্থাৎ ভাল কাজ কী কী করেছিস আর খারাপ কাজ কী কাজ করেছিস? যে সকল খারাপ বলে বিবেচনা করলি, সে সকল কাজ আর যাতে না করতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবি।

৩৮.
যা মনে আসে তাই করবি, কিন্তু বিচার করবি।

৩৯.
আমার উপর আস্থা এবং বিশ্বাস যতই বাড়বে, ততই তোদের সর্ব অভীষ্ট সফল হবে।

৪০.
আমার সন্তানদের উপর কারুর শাসন চলবে না। কোনোদিন উপদেশ দেইনি; এ আদেশের স্থল।

৪১.
যে কর্ম মনে তাপ সৃষ্টি করে তাই পাপ। যে কর্মে মধ্য দিয়ে আত্মসচেতনতা বা শক্তির ভাব মনকে ভরিয়ে তোলে.তাই পুণ্য এবং স্বর্গ তুল্য।

৪২.
আমি শরীর ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু ভক্তকে রক্ষা করার জন্য আমি সর্বদাই ভক্তের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছি, তোদের চোখ নেই, তাই তো তোরা আমায় দেখেও দেখিস না।

৪৩.
আমার কাছে তোদের কোনো স্বার্থ নেই, সব স্বার্থই তো আমার। আমি যে তোদের না দেখে তোদের মুখে বাবা ডাক না শুনে থাকতে পারি না। তাই তো তোদের কাছে এসে একটু ভালোবাসা পাবার জন্য কত সাধ্য-সাধনাই করে চলেছি।

৪৪.
সে গুরুর প্রতি নির্ভরশীল ও শ্রদ্ধাশীল হও।

৪৫.
সঙ্গ হতে কাম, পুন: দুষ্প্রবৃত্তি হতে বুদ্ধিনাশ এবং বুদ্ধিনাশ হলেই জীব অধ:পতনের চরম সীমায় উপনীত হয়।

 

আরো পর্ব:
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অমিয় বাণী: পর্ব-১
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর অমিয় বাণী: পর্ব-২

আরো পড়ুন:
চাণক্য পন্ডিতের অমূল্য বাণী
বেদ’ এর কিছু অমৃত বাণী ও উপদেশ।
শ্রীকৃষ্ণের অমর বাণী সমাহার