জালালউদ্দিন রুমির অনুপ্রেরণা মূলক বাণী।
“যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য দুঃখ করো না। তুমি তা আবার ফিরে পাবে, আরেকভাবে, আরেক রূপে।”
“তুমি গলে যাওয়া বরফের মতন হও, নিজেকে দিয়ে নিজেকে ধুয়ে নাও।”
“যে মুহূর্তে তুমি তোমার সকল বাধা বিপত্তিকে স্বীকার করে নেবে, তখন থেকেই গুপ্তদ্বার তোমার জন্য উম্মুক্ত হয়ে যাবে।”
“তুমি সরল পথ না চিনতে পারলে, তোমার নফস তোমাকে যা করতে বলে তার বিপরীত কর, ঐটাই তোমার জন্য সরল পথ।”
“এই হচ্ছে পথ- এবং তোমার একার। অন্যেরা হয়তো তোমার সঙ্গে হাঁটবে। কিন্তু কেউই তোমার জন্য হাঁটবে না।”
“তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে, গোটা এক সাগর!”
“নিরাপত্তার কথা ভুলে যাও! তোমার যেখানে ভয়, সেখানেই বাস করো!”
“তোমার জন্ম হয়েছে পাখা নিয়ে, উড়ার ক্ষমতা তোমার আছে। তারপরও খোঁড়া হয়ে আছো কেন?”
“তোমার হৃদয়টাকে ততক্ষন পর্যন্ত ভাঙতে থাকো যতক্ষন পর্যন্ত তা না খুলে যায়।”
“শান্ত হও! উত্তেজিত হইওনা! নীরবতার সাথে ধৈর্য্য ধরে আরো গভীরে যাও! তোমার হৃদয়ের গহীনে ডুব দাও! সমস্ত কোলাহল থেকে একটি দিনের জন্য ছুটি নাও।”
“শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, উঁচু কণ্ঠ দিয়ে নয়! মনে রেখো ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়।”
“মনের যত গভীরে বাস করবে ততই হৃদয়ের দর্পন পরিষ্কার হতে থাকবে।”
“তোমার মনের ইচ্ছার অনুসরণ করতে গিয়ে বিপথে চলে যেও না।”
“যখন তুমি চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকবে, তখন ধৈর্য্য ধরবে। ধৈর্য্যের চাবি সুখের দরজা খুলে দেয়।”
“যাও! সর্ব প্রথম নিজেকে খুঁজো! তাহলে তুমি প্রভুকে অনায়াসে খুঁজে পাবে”
“তুমি কি এখনও এ ব্যাপারে অবগত নও? এতো তোমারই আলো, যা দ্বারা সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড প্রজ্জ্বলিত হয়।”
“প্রত্যেক হৃদয়েরই একটি জানালা আছে। তুমি তোমার নিজের হৃদয়ের জানালা দিয়ে অন্যেরটাও দেখতে পাবে!”
“মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়!”
“নিজেকে ছোট মনে করা বন্ধ কর, কেননা তোমার ভিতর লুকিয়ে আছে উল্লাসময় মহাবিশ্ব।”
“নীরবতাই আল্লাহর ভাষা, বাকি সবকিছু নেহাতই দুর্বল অনুবাদ!”
“নিরবতা হলো মহাসাগর। কথা হলো নদী। যখন মহাসাগর তোমাকে খুঁজছে তখন নদীর মাঝে হেটোঁনা, মহাসাগরের ডাকে সাড়া দাও।”
“চরিত্রের মধ্যে যদি সত্যের শিখা দীপ্ত না হয় তবে জ্ঞান, গৌরব, আভিজাত্য, শক্তি সবই বৃথা।”
“দুনিয়ার গোমরাহী হতে মুক্তি পেতে হলে, তোমাকে কামেল পীরের সোহবত লাভ করতে হবে।”
“যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি নিজের ভেতরের আগুন কে খুঁজে না পাবে, ততক্ষন পর্যন্ত জীবনের বসন্তে পৌঁছতে পারবে না।”
“তোমাকে ঘিরে থাকা কালো মেঘ থেকে নিস্কৃতি লাভ করো! এরপর দেখবে তোমার নিজের আলো পূর্ণিমার চাঁদের মতই উজ্জ্বল!”
“পিছু ফিরে তাকিয়ো না, আগামীকে ভয় পেওনা; যদি তুমি অতীত কিংবা ভবিষ্যতে বাস করো, তবে তুমি এই মুহুর্ত যাপনে ব্যর্থ হবে।”
“লোকের ছলচাতুরী আর প্রতারণা নিয়ে উদ্বিগ্ন হইও না। কিছু লোক যদি তোমার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করে এবং তোমাকে কষ্ট দিতে চায়, তবে স্রষ্টাও তো তাদের জন্য কৌশল করেছেন।”
“দুঃখ থেকে নিজেকে পালানোর চেষ্টা করো না, প্রশান্ত আত্মায় দুঃখের ভিতরেই তার প্রতিকার খোজ করো। কারণ কাটার মাঝেই গোলাপ থাকে আর কঠিন পাথরের খনির মাঝেই বাস করে মানিক রত্ন।”