হোমপেজ বাণী ও উপদেশ পীরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জালালউদ্দিন রুমির বাণী

পীরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জালালউদ্দিন রুমির বাণী

পীরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জালালউদ্দিন রুমির বাণী

১.
যে মুর্শিদকে খোদারূপে দেখে নাই সে মুরিদ নয়, সে মুরিদ নয়, সে মুরিদ নয়।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

২.
আমার মুর্শিদ কামেল শামছে তাবরিজীর গোলামী না করা পর্যন্ত আমি মাওলানা রুমি কামেল হতে পারি নি।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

৩.
তোমার মুর্শীদকে তোমার কালবে বসাও, দেখবে তুমি, ঐশ্বরিক আলোতে আলোকিত হয়েছ।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

৪.
পীরের হাত অদৃশ্য জগৎ হতে দূরে নয়। তার হাত আল্লাহ্‌র হাত ব্যতীত আর কিছুই না।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

৫.
তোমার পীর যখন তোমাকে মুরিদ বলে স্বীকৃতি দিবেন, তখনি রাসূল তোমাকে উম্মত বলে এবং আল্লাহতাআলা তোমাকে বান্দা স্বীকৃতি দিবেন।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

৬.
তুমি যদি আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য লাভের ইচ্ছা পোষণ কর, তবে আউলিয়া কেরামের দরবারে বসে যাও।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

৭.
এক মুহুর্ত আউলিয়ায়ে কেরামের সহচার্য লাভ করা, শত বছরের ত্রুটিহীন এবাদত অপেক্ষা উত্তম।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

৮.
যদি কামেল পীরের সোহবত ক্ষণিকের জন্যেও পাও, তাহা গ্রহণ করো। জেনে রেখো, তাহা হাজার বছরের ফকিরি হতেও উত্তম।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

৯.
তুমি যদি তোমার পীরের পদধূলি দ্বারা স্বয়ং চক্ষুকে জ্যোতিময় কর, তবে তুমি আদি ও অন্ত সব কিছু দেখতে সক্ষম হবে।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১০.
আউলিয়াগণ (হৃদয়) মসজিদের ভিতরেই (অবস্থান করে) থাকেন উহাই আল্লাহ লাভের জন্য, সকলের (কাবা) সেজদার স্থান
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১১.
হে প্রিয় বৎস! তোমার উপর যদি মুর্শিদের ছায়া না থাকে, তবে শয়তানের ওয়াসওয়াসাহ তোমাকে সর্বদা অস্থির করে রাখবে।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১২.
পীরের নিকট হইতে মুখ ফিরিওনা, সেজদা কর নৈকট্য অর্জন কর।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১৩.
তুমি যদি আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য বা সামনে বসতে চাও, তবে কামেল পীরের দরবারে বসে যাও।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১৪.
শত শত কিতাব আগুনে নিক্ষেপ কর। তোমার সিনাকে পীরের ধ্যান দ্বারা সত্য নূর দিয়ে ফুল বাগানে পরিণত কর।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১৫.
তুমি যদি মারেফাতের নূর চাও, তবে মুশিদে কামেলের সাহর্চাযে থাকিয়া নূরের প্রতিভা ও যোগ্যতা অর্জন কর। আর যদি আল্লাহর রহমত থেকে দুরে থাকিতে চাও, তবে অহংকার ও খোদপছন্দী কর এবং অলীর দরবার থেকে দুর হয়ে যাও।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১৬.
যেহেতু মানুষের আকৃতিতে বহু শয়তান রয়েছে, তাই অনুসন্ধান না করে যে কোন হাতে হাত দেওয়া বা বাইয়াত হওয়া উচিৎ নয়।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১৭.
প্রকৃত পীর মুর্শিদ তথা তাঁর রুহানী ফয়েয বরকত তাঁর মুরিদের ভিতর হতে দুনিয়ার মোহকে চোষে নেয়, ঐ ফয়েজের বদৌলতেই ইলহাম, ওহী এবং তার গোপন রহস্যের স্বাদ অনুভব করে।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১৮.
পীরের জাত ও আল্লাহর জাত এক জাত, এই দুই নূরকে যে এক রুপে দেখতে না পারবে সে মুরিদ নয়, সে মুরিদ নয়, সে মুরিদ নয়।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

১৯.
তুমি যদি কঠিন শিলা বা র্মাবেল পাথর ও হও, তুমি যখন কামেল পীরের সান্নিধ্যে পৌঁছবে তখন তুমি মুক্তায় পরিণত হবে।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

২০.
কামেল ব্যক্তির দেহ জমীনে থাকে, আর ‘রুহু, আরশ-কুরসীর উর্ধ্বে লা-মোকামে’ থাকে, যাহা আল্লাহ্‌’র পথের পথিকদের ধারণারও বহু উর্ধ্বে।
-জালালউদ্দীন রুমী (রহঃ)।

সূত্র: মসনবী
রচয়িতা: মাওলানা জালালউদ্দীন রুমি (রহঃ)