খিলাফত ও গাউছে সুলতান নূরনগরী (কঃ) প্রতি গাউছুল আজম মাইজভান্ডারির কালাম।

যখন হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারি (কঃ)’র খেদমতে মাইজভান্ডার শরীফে নূরনগরী (কঃ) অবস্থান করে। এ অবস্থান কালেই একদিন গাউছুল আজম মাইজভান্ডারি কঃ (হযরত আকদস) তার স্বীয় উষ্ট্র বর্ণের চৌগা (জুব্বা) হযরত নূরনগরী (কঃ) কে পরিয়ে দিয়ে তার দরবার হতে রোখছাত বা বিদায় দিলেন।

দীর্ঘ দিন সাধনার অঙ্গার নিজেকে পরিশুদ্ধ করে খাঁটি বিশুদ্ধতায় পূর্ণতা প্রাপ্তির পরই হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারি (কঃ) তার স্বীয় জুব্বা বা চৌগা দ্বারা হযরত নূরনগরী (কঃ) কে প্রদান করে খেলাফত বেলায়তে সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করেন।।

মাইজভান্ডার শরীফে আসার পূর্বেও হযরত নূরনগরী (কঃ) বিভিন্ন অলিয়ে কামেলদের সহচর্যের মানসে বিবিধ জায়গায় পরিভ্রমণ করেন। এ কারনে তিনি তার বাড়ি ও জায়গীর স্থল হতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলেন।

সকলে তার ফিরে আসার প্রতিক্ষায় অস্থির হয়ে আছেন। ঠিক এমনই সময় তিনি মাইজভান্ডার দরবার হতে তার নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসলেন। তার আগমন বার্তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, দূর দূরান্ত হতে লোকজন তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমাতে লাগল। অনবরত লোকজনের উপস্থিতি তার ইবাদত বন্দেগিতে ব্যাঘাত জন্মাতে লাগল। তিনি আবার মাইজভান্ডার শরীফে উপস্থিত হলেন।

হুজরার সম্মুখস্থ পুকুরে অজু করে তিনি হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারি (কঃ)’র হুজরা মোবারকে উপস্থিত হতেই হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডার হযরত নূরনগরী (কঃ) কে উদ্দেশ্য করে স্থানীয় ভাষায় কালাম করলেন……

” ঘস্যার ফুল ফুটলে মধু পোকারা ভিড় জমায় না “?

অর্থাৎ তিল ফুল ফুটলে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য ভিড় জমাবেই। ইহাতে অস্থির বা আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই।।

বিঃদ্র: সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

(গ্রন্থ সূত্রঃ হযরত নূরনগরী (কঃ)’র জীবন চরিত্র।)

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel