হোমপেজ খাজাবাবা ফরিদপুরীর বাণী ও উপদেশ খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী (পর্ব-১৫)

খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী (পর্ব-১৫)

খাজাবাবা ফরিদপুরী (রহঃ) এর বাণী (পর্ব-১৫)

২৮১.
“পীরের মহব্বতই খোদাপ্রাপ্তি সাধনার প্রথম দরজা।”

২৮২.
“পীরের সন্তুষ্টি অর্জনই হইল মূল কথা। পীরের সন্তুষ্টির পশ্চাতে আল্লাহ ও রাসূলের সন্তুষ্টির অবস্থান।”

২৮৩.
“খোদাকে পাওয়ার ইচ্ছা থাকলে কোনো কামেল পীর তালাশ করে নাও! কেননা, কামেল পীরের সাহায্য ব্যতিরেকে জীবনভর পরিশ্রম করলেও আল্লাহর সন্ধান পাবে না।”

২৮৪.
“যিনি ভাগ্যগুণে কামেল পীর পাইলেন, আল্লাহকে পাওয়া তার জন্য সহজ হইল।”

২৮৫.
“অমূল্য সময় চলিয়া যায়। তোমরা আল্লাহতায়ালার রেজামন্দি হাসিলের জন্য দেলে পীরের মহব্বত কায়েম কর।”

২৮৬.
“যখন কালব ও রূহ এক হয়, তখন ছালেক(মুরীদ) আল্লাহতায়ালার প্রেম সমুদ্রে সাঁতার কাটিতে থাকে। তখন আল্লাহর গুণে ছালেকের চরিত্র গঠন হইতে থাকে।”

২৮৭.
“নাফসকে বাধ্য করিয়া আল্লাহর পথে আনা খুবই কষ্টকর। তাই পীরে কামেলের পাক তাওয়াজ্জুহ দ্বারা নিজের নাফসকে সংশোধন কর।”

২৮৮.
“নিজের কালবকে জিন্দা করিয়া নাফসকে সংশোধন করিয়া লও। তাহা হইলে নাফস, রূহ ও কালব জিন্দা হইয়া আল্লাহতায়ালার প্রেমের সমুদ্রে সাঁতার কাটিবে।”

২৮৯.
“নিজেকে চিনিলে, আল্লাহকে চিনিতে পারিবে। মান আরাফা নাফসাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু। তখন আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য তোমাদের নসিব হইবে।”

২৯০.
“তুমি যত বড়ই জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিমান, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক হও না কেন, শেষের ডাক আসিলে আর এক মুহূর্ত দেরী করিতে পারিবে না। শেষের ডাক কেহই ফিরাইয়া রাখিতে পারে না। অতএব পীরের সহব্বতে থাকিয়া এই দেলকে পরিস্কার করাইয়া লও। দিন থাকিতে শেষের ডাকের জন্য প্রস্তুত হও।”

২৯১.
“কামেল পীর সকলের সমষ্টি। কামেল পীরের তেত্রিশ কোটি লতিফা আছে। একজন কামেল এক সংগে তেত্রিশ কোটি সাধকের ছুরাতে মুরিদানদেরকে স্বপ্নে বা কাশফে ফয়েজ প্রধান করিতে সক্ষম। ইহাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। আল্লাহ প্রদত্ত বহু ক্ষমতার মধ্যে ইহা সামান্য এক নিদর্শন।”

২৯২.
“পীরই একমাত্র ব্যক্তি, যাহার উসিলায় মানুষ মহিমান্বিত আল্লাহ্ পর্যন্ত পৌছায়, যাহা দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যানের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট।”

২৯৩.
“খেয়াল ক্বলবে, ক্বলব আল্লাহর দিক, আল্লাহ্ দেখিতেছেন সকলের দিলের হাল, খেয়াল ক্বলবে ডুবাইয়া রাখিলেই নামাজে আল্লাহ্ মনে থাকে।”

২৯৪.
“নিজ পীরের প্র‍তি এমন বিশ্বাস রাখিবে যে,
পীর ভিন্ন অন্য কেহই আমাকে খোদাতায়ালা পর্যন্ত পৌছাইয়া দিতে পারিবেনা।”

২৯৫.
“যদি দুর্বিপাকের তুফান থেকে বাচঁতে চাও, তবে পীরের সংঘকে নূহের তরী মনে করে শক্ত করিয়া ধর। নচেৎ এমনি দুর্বিপাকের তুফান আসিবে, যাহা তোমার সরল ভিত্তিকে ভাংগিয়া মেছমার করিয়া ফেলিবে।”

২৯৬.
“কামেল পীরগণের কর্মকান্ডও-নবী-রাসূলের অনুরুপ।”

২৯৭.
“খােদাতালাশী ব্যক্তিবর্গ পীরে কামেলের খেদমতের মাধ্যমেই খােদাতায়ালার জাত ও সিফাতের স্থান অর্জন করেন।”

২৯৮.
“পীরের অছিলাতেই নাফসে আম্মারা-যাহা সৃষ্টিগতভাবে কলুষিত, তাহা পবিত্রতা হাছিল করে; পরিশুদ্ধ হয় এবং আম্মারা বা কলুষতা হইতে প্রশান্তির মাকামে উপনীত হয় এবং সৃষ্টিগত কুফরী হইতে হাকীকী ৰা প্রকৃত ইসলামে সমুন্নত হয়।”

২৯৯.
“পীরকে কষ্ট প্রদানের মধ্যেই মুরিদের বিপদ। ইহা ব্যতীত অন্য যে কোন ভুল-ত্রুটি হউক না কেন, তাহার প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব কিন্তু পীরকে ব্যথা দেওয়ার কোন প্রতিকার নাই। পীরের অসন্তুষ্টিই মুরীদের দুর্ভাগ্যের কারণ।”

৩০০.
পীরের দরবারে নগ্নপায়ে চলিবে। ইহাই মুরীদের জন্য উত্তম। পীরের নিকট মুরীদ সব সময় ভিখারী বা মিসকিন। আর মিসকিনকে মিসকিন হালতেই থাকা উচিৎ।

তথ্যসূত্রঃ [শাহসূফী বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের নসিয়ত শরিফের বিভিন্ন খন্ড হতে সংগ্রহ করা হয়েছে।]

আরো পড়ুন: