হযরত মাওলা আলী (আঃ) এর ন্যায় বিচার।
এক গর্ভবতী মহিলা এক পুরুষের সাথে অসৎ কার্য করল এবং তা হযরত ওমর এর কাছে স্বীকার করল! তখন হযরত ওমর তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করার আদেশ দিলেন। হযরত ছৈয়দ মওলা আলী (আঃ) এই শাস্তির কথা শোনার পর হযরত ওমরকে বললেন, যদিও এই গর্ভবতী মহিলা দোষী তথাপি তার গর্ভের সন্তান কি অপরাধ করেছে? সংহার করলে গর্ভবতী মহিলা যেমন মারা যাবে, ঠিক তেমনি তার গর্ভের সন্তানও বিনা দোষে মারা যাবে।
হযরত ওমর তখন হযরত ছৈয়দ মওলা আলীকে জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে কি করা যাবে?
মওলা আলী বললেন- যতক্ষণ না ওই মহিলা বাচ্চাকে জন্ম দেবে এবং পুরো দুই বছর সে নিজের বাচ্চাকে দুগ্ধ পান করাবে, ঠিক ততদিন তাকে কোনো শাস্তি দেওয়া যাবে না। হযরত ওমর এই কথা শুনার পর নিজের ফয়সালা রদ করে দিলেন এবং মওলা আলীকে শুকরিয়া জানিয়ে বললেন, “লাওলাকা আলী, লাহালাকা ওমর”
অর্থঃ “আলী যদি না থাকতেন, তবে ওমর ধ্বংস হয়ে যেত!”
ওমর আরও বলেছেনঃ “আলী ইবনে আবু তালিবের মত আর কাউকে গর্ভে ধারণ ও প্রসব করার ক্ষমতা নারীকূলের মধ্যে কারও নেই।”
গ্রন্থসূত্রঃ [ কাতেবীনে ওহীঃ পৃষ্ঠা-২০৭; আশারায়ে মোবাশ্বারাঃ পৃষ্ঠাঃ১৯৩; আর-রিয়াদুন নাজরা, খন্ড ২ঃ পৃষ্ঠা ৯৬, মুহিব তাবারি মনা কি খাওয়ারজমিঃ পৃষ্ঠা ৪৯, আরবাইন রাজিঃপৃষ্ঠা ৪৬৬ ]
নিবেদনঃ শাহ সুফী আহমেদ হোসেন আলী।