হোমপেজ মেরাজ তত্ত্ব একজন সাধকের কখন মেরাজ হয়?

একজন সাধকের কখন মেরাজ হয়?

1637

একজন সাধকের কখন মেরাজ হয়?

একজন সাধকের কখন মেরাজ বা খোদাতায়ালার দীদার নছিব হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে শাহসূফি বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) ছাহেবের কিতাব-‘আদাবুল মুরিদ’ হতে হুবহু তুলে ধরা হলোঃ

যে সকল সাধক কামালাতে বেলায়েত ও কামালাতে নবুয়তের মাকাম সমূহ তয় করিয়া হকিকতে এলাহিয়ায় (হকিকতে কুরআন, হকিকতে কাবা, হকিকতে সালাত) উপনীত হইতে পারিয়াছেন; তিনি যখন নামাজে দন্ডায়মান হন, তাহার উপর হকিকতে কুরআন হইতে একটি নূরের ধাৱা, হকিকতে কাবা হইতে আর একটি নূরের ধারা এবং হকিকতে সালাত হইতে ভিন্ন একটি নূরের ধারা অবিরাম পড়িতে থাকে।

সাধক বা নামাজী তখন নিজের সমগ্র অজুদ বা সত্তাকে হযরত মুসা (আঃ) এর নূরে প্রজ্জ্বলিত বৃক্ষের মত দেখিতে পান। হকিকতত্রয়ের নূর একত্রিত হইয়া বিশাল এক নূরের গম্বুজ তৈরী করে যেই গম্বুজের মধ্যে তখন সাধক বিনীতভাবে বিগলিত প্রাণে সেজদা কৱেন। ইহাই মেরাজ।

এই অবস্থাতে সাধক খােদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞানের পরিপূর্ণতা অর্জন করেন, যেমন মেরাজে দয়াল নবী (সাঃ) এর খােদাপ্রাপ্তিতজ্ঞান লাভ হইয়াছিল। এমন সাধকবর্গকে বলা হয় মােমেন। কাজেই মোমেনের মর্যাদা পাওয়া এত সহজ নয়। আর ঈমান আনিলেই মােমেন হওয়া যায় না। একমাত্র ওলীয়ে কামেলগণই যথার্থ মােমেন।

আর আল্লাহপাক বলেন- “আদব আল্লাহর জন্য, আদব রাসুলের জন্য এবং আদব মােমেনের জন্য অর্থাৎ ওলীয়ে কামেলগণের জন্য। কিন্তু মােনাফেকেরা তাহা বুঝিতে পারে না।” (সুরা মােনফেকুন, আয়াত নং ৮)

নবী-রাসূল বা ওলীয়ে কামেলগণের প্রতি কি রকম আদব প্রদর্শন করিতে হইবে -সেই প্রসংগে ইশারাপূর্ণ বহু আয়াত কুরআন শরীফে আছে।

গ্রন্থসূত্রঃ শাহসূফি বিশ্বওলি খাজাবাবা ফরিদপুরীর নসিহত শরিফ- ‘আদাবুল মুরিদ’।