গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:১
গুলিস্তান থেকে- বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, আমার দেখা ৪০-বছর।
-আব্দুল হান্নান
বয়স তখন ১৩/১৫ বছর হবে জীবনের মাত্র শুরু সে সময় পীরের বাড়ি! আমি আমার হাদি আরো দুজন ১৯৮২ সাল। সকাল বেলায় গুলিস্তান থেকে রওনা বাসে চেপে আরিচা ঘাটে গেলাম। নদী পার হয়ে ওপার গোয়ালন্দ ঘাট থেকে আবার বাসে চেপে ফরিদপুর জেলা সদর বাস্টার্ড থেকে টেকের হাটের বাসে উঠে নামলাম পুকুরিয়া। দরবার শরীফ যাবে এমন একটি বাসে উঠে পরলাম আমরা ৪ জন। বাংগা চুরা রাস্তা দিয়ে চলছে বেলা ৫ সময় থামলেন গাড়ি।

এখন দরবার শরীফের বাউন্ডারির ভিতরে যে রাস্তাটি সেটি ছিলো মেইন রোড। আসে পাসে তেমন বাড়ি ঘর নাই। দরবার শরীফ দূর থেকে দেখতে মনে হয় একটি উপ শহর মত। কাছে য়েতেই প্রথম আমার চোখে পরলো বিরাট লম্বা ৩ তলা সাদা রং করা মাদ্রাসা উপরের ডিজাইনে সবুজ রঙে রং’করা। তখন আমার কাছে মনে হইতে ছিলো কথায় আসলাম। “কাবা শরীফে!”
তখন কার সময়ে পবিত্র মসজিদ’ হলো আরবের মক্কায় অবস্থিত একটি মসজিদ যা মুসলমানদের প্রাধান ধর্মীয় স্থাপনা। মসজিদটি বড় মসজিদ নামেও পরিচিত। “মসজিদ আল-হারাম”এর উপরে ডিজাইন আর ‘দরবার শরীফের মাদ্রাসার ডিজাইন দেখতে একই রকম লাগতো সে সময়ে। ঘা আমার শিহরণ দিয়ে উঠলো.. যাইহোক বাস থেকে সবাই নামলেন।

তখন দরবার শরীফ ছিলো খোলা মেলা আমাদের সাথে দুইজন মহিলা ছিলো একজন আমার হাদি, সোজা রাস্তা দিয়ে বড় আম্মাহুজুরের মাজারে পাস দিয়ে বিতর বাড়ির ৮ নাম্বার গেট দিয়ে চলে গেলো। এখন আমি কি করি ? আমি যেয়ে উঠলাম ঝাড়ুদার শিবিরে। তখন কার সময়ে এখন যেখানে “কেবলাজান হুজুরের রওজা শরীফের ” সামনে যে খালি যায়গা টি অনেক বড় যেখানে বসে আমরা জেয়ারত করি। সেখানে ছিলো নিমা ঘর, ঝাড়ুদার শিবির ও মুরগী শালা। উঠে পরলাম ঝাড়ুদার শিবিরে।
তখন কার সময়ে অনেক বয়সক একজন জাকের ভাই শিবিরের দাইক্তে ছিলেন উনার নাম মনে নেই। যাক রাত তো আরেক বিপদ শুরু হলো রাত ৩ টায় ঘন্টায় টান টান করে বেজে উঠল। মাইকে অনেক সুন্দর আওয়াজ বলছেন বাবা’রা এখন রহমতের সময় এ-সময় কেহ ঘুমায় না ঘুম থেকে উঠেন। আরো অনেক কথা সে বয়সে রহমত কি তা কিয়া’র বুঝি ঘুম দরকার। ফজরের নামাজ পড়ে রুমে থাকা আমি সহ সকলকে ঘুম থেকে তুলে দিলেন।
এক যাক অল্প বয়সে ছেলেরা এক সাথে সবারই হাতে ঝাড়ু নিয়ে নেমে পরলাম দরবার শরীফ’ ঝাড়ু দিতে টানা সকাল ১০ পযন্ত কাজ শেষে সবাই শিবিরে আসলাম। এখন তো নাস্তা খাওয়া দরকার হুকুম হলো সবাই এক সাথে খাবার শালায় যা-ও। সে সময়ে খাবার শালা ছিলো বড় ‘আম্মা হুজুরের মাজারের পিছনের দিকে বড় পাকশালার পাসে। সবাইকে সানকিতে পান্থাবাত আর কাচা মরিচ দিনেন কি যে সাদ তৃপ্তি বড়ে খেলাম। তারপরে দুপুরের খাবার মিস্টি কুমরা ভাংগা আর ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে খেলাম কি যে সাদ বলে বুজান যায়না।

বিকেল বেলা আছরের নামাযের পরে দেখি পুরাতন মডেলের একটি জিপগাড়ি সিট গুলি সাদা কাপরের গিলাপ লাগানো আনেক সুন্দর। হুজুর কেবলা’জান আসলে মাথায় সাদা টুপি, গায়ে সাদা পাঞ্জাবী পরনে গারো সবুজ রঙের লুঙ্গি, পায়ে কালো জুতা মোবারক পড়া। আমি দৌড়ে কাছে আসলাম তখন অনেক লোকজন দাড়ান । আমি কাছে এসে বোকার মত তাকিয়ে আছি! এত সুন্দর মানুষ আর কখনো দেখি নাই ! একটু পরে আমার দিতে তাকালেন! খাজাবাবা একটু মুশকি হাসি দিয়ে গাড়ি তে উঠে গেলেন আমি জানতে চাইলাম তিনি কথায় গেলেন ? কাউকে চিনি না আমি নতুন মানুষ তাই বলেন কথা।
তিনি দরবার শরীফ সব ডিপার্টমেন্ট ঘুরে দেখবেন কথায় কি লাগবে কার কি দরকার এ-সব দেখতে গেছেন। দেখতে দেখতে বেশ কদিন চলে গেল। ফিরলাম আবার গুলিস্তান বাসায় এলাম। – চলবে
আমার দেখা ৪০ বছর! খাজাবাবা ফরিদপুরী ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ‘ নিয়ে লেখতে চাই আপনাদের মতামত জানাবেন আশা রাখি।
চলবে……
পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন: