হোমপেজ আমল ও ওজিফা রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলতঃ

রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলতঃ

295
Advertisement:
IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

রমজানের তাৎপর্য ও ফজিলতঃ

খোদাপ্রাপ্তি জ্ঞানের আলোকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বওলী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) কেবলাজান ছাহেবের প্রদত্ত নসিহত সমূহের ২০তম খন্ড “রমজান ও ঈদ” এর নসিহত নং-১২৩ থেকে প্রদান করা হচ্ছে-

হিজরী বর্ষ পঞ্জিকার নবম মাসের নাম রমজান। এই মাস অত্যন্ত বরকতময় ও ফজিলপূর্ণ। এই মোবারক মাসেই শ্রেষ্ঠতম আসমানী গ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হয়। এই মাসেই শবে কদর নিহিত।

চন্দ্র বৎসরের বারো (১২) মাসের মধ্যে একমাএ রমজান মাসের কথাই কুরআন মজীদে উল্লিখিত আছে। আল্লাহপাক বলেনঃ-“রমজান সেই মাস যাহাতে কুরআনকে অবতীর্ণ করা হইয়াছে।” ইসলাম পাচঁটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। যথাঃ- ঈমান, নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ্জ্ব। অন্যতম রোকন বা ভিত্তি ‘রোজা’র জন্য রমজান মাসকে নির্ধারণ করা হইয়াছে।

রোজা কি? রোজা ফার্সী শব্দ। ইহার আভিধানিক অর্থ উপবাস। আরবী ভাষায় রোজার প্রতিশব্দ “ছাওমুন্‌”। ইহার মুলে আছে ছাওম। ছাওমুনের বহুবচন ছিয়াম। যাহার অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশ্যে ছুবহে ছাদেকের প্রারম্ভ হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও স্ত্রী সহবাস হইতে বিরত থাকাই রোজা।

IPL 2024: ফ্রিতেই IPL Live Cricket খেলা দেখুন Full HD তে

হিজরী দ্বিতীয় বর্ষে রোজাকে ফরজ বলিয়া ঘোষণা দেওয়া হয়। আল্লাহপাক বলেনঃ- “হে মোমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হইয়াছে যেমন তোমাদের পূর্ববতীদের উপর ফরজ করা হইয়াছিল; যেন তোমরা পরহেযগারীর গুণে গুণান্বিত হইতে পার। অল্প কয়েকদিনের জন্য মাত্র। তোমাদের মধ্যে কেহ অসুস্থ থাকিলে অথবা ছফরে থাকিলে অন্য সময় হিসাব গণনা করিয়া রোজা রাখিবে।” (সূরা বাকারাঃ- ১৮৩-১৮৪)

রোজা পালন করা প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক নর নারীর জন্য ফরজ। রোজার ফর্‌জিয়াতের উপর ঈমান রাখা অপরিহার্য ইহা অস্বীকারকারী কাফের।
হযরত আদম (আঃ) হইতে হযরত হযরত ঈসা (আঃ) পর্যন্ত সকল পয়গম্বরগণের সময়ে রোজা ফরজ ছিল। তবে কাহার আমলে কতদিন সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু শরীয়তে পাওয়া যায় না।

ইসলামে নির্ধারিত সকল ইবাদতের মধ্যে রোজা মহান খোদাতায়ালার নিকট অধিক প্রিয়। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছেঃ- রাসূলে পাক (সাঃ) বলিয়াছেনঃ- “মানব সন্তানের নেক আমল বাড়ানো হইয়া থাকে; প্রত্যেক নেক আমল দশ হইতে সাত শত গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ বলেন, রোজা ব্যতীত। কেননা, রোজা আমারই জন্য এবং আমিই ইহার প্রতিফল দান করিব। সে আমারই জন্য আপন প্রবৃত্তি ও পানাহার ত্যাগ করে।
(মেশকাত শরীফ)

তথ্যসূত্রঃ- নসিহত সকল খন্ড একত্রে, পৃষ্টা নংঃ- ১০১৯।