নবী বংশের প্রতি উমাইয়া ও আব্বাসীয় শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার।

নবী বংশের প্রতি উমাইয়া ও আব্বাসীয় শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার।

নবী বংশের প্রতি উমাইয়া ও আব্বাসীয় শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার-নির্যাতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ (নসিহত নং-৫০)

মারোয়ান-পুত্র আব্দুল মালেক যখন মুসলিম সাম্রাজ্যের অধিপতি, তখন ইমাম জয়নাল আবেদীন (রঃ) ছাহেবের যশ-খ্যাতি, প্রভাব-প্রতিপত্তি সর্বোচ্চে। ইমাম ছাহেবের জনপ্রিয়তায় খলিফা মালেক ভীত হয়। সে কৌশলে ইমাম-তনয়ের জনপ্রিয়তাকে নিজ স্বার্থে লাগানোর চেষ্টা করে। ইমাম জয়নাল আবেদীনের সাথে সম্পর্কের উন্নতিকল্পে সে বিবিধ পন্থা অবলম্বন করে।

একদা খলিফা মারোয়ান- পুত্র মালেক হজ্জ উপলক্ষে মক্কায় যায়। কাবাঘর তাওয়াফের সময় সে লক্ষ্য করে যে ইমাম-নন্দনও অত্যন্ত তন্ময়তার সাথে কাবা ঘর তাওয়াফ করিতেছেন। মালেক ইবনে মারোয়ান নিজেকে ইমাম-তনয়ের দৃষ্টিপথে আনিতে চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। ইমাম জয়নাল আবেদীন (রঃ) এত গভীর মগ্নতার সাথে তাওয়াফ করিতেছেন যে অন্য কোন দিকেই তাহার কোন খেয়াল নাই। তাওয়াফ শেষে আব্দুল মালেক নিজের বিশ্রামাগারে যায় বহু লোক তাহার সাথে দেখা করিতে আসে। মালেক ইবনে মারোয়ানের ধারণা ছিল যে, অন্যান্যদের মত ইমাম জয়নাল আবেদীনও তাহার সহিত দেখা করিতে আসিবেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থাকিয়া ইমাম-তনয়কে না দেখিয়া সে বিরক্ত হইয়া তাঁহাকে ডাকিয়া আনিবার জন্য লোক পাঠায়।

ইমাম জয়নাল আবেদীন (রঃ) আসিলে খলিফা মালেক ইবনে মারোয়ান তাহাকে বলে, “হে হোসেন-তনয়! আমিতো আপনার পিতার ঘাতক নই, তবু আপনি আমার প্রতি হিংসা পোষণ করেন বলিয়া মনে হয়। সকলেই আমার সহিত দেখা করিল। কিন্তু আপনি আমার সহিত দেখা করিলেন না কেন?”

এই হিংসাত্মক কথা শুনিয়া নিৰ্ভীকচিত্তে জয়নাল আবেদীন জবাব দেন, “দেখুন, আমার পিতার ঘাতকগণ আমাদের দুনিয়াবী জীবন দুঃখময় করিয়াছে। আর আমার পিতা শ্রদ্ধেয় ইমাম হোসেন (রাঃ) ছাহেব নিপীড়িতাবস্থায় শাহাদাত বরণ করিয়া তাহাদের পারলৌকিক জীবন বরবাদ করিয়া দিয়াছেন। এখন আপনিও যদি অকারণে আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করিয়া আপনার আখেরাতকে নষ্ট করিতে চান, তাহাতে আমার পক্ষ হইতে আপনি কোনই বাঁধার সম্মুখীন হইবেন না।”

ইমাম তনয়ের এহেন নির্ভীক জবাবে মালেক ইবনে মারোয়ান কিছুটা অপ্রস্তুত হইয়া বলিয়া উঠে, “হে হোসেন-তনয়। আপনি এমন কথা বলিতেছেন কেন? আমি কেন আপনার সহিত হিংসা পোষণ করিতে যাব? অবশ্য আপনারতো উচিৎ আমার সাথে কিছুটা সুসম্পর্ক রক্ষা করিয়া চলা আপনার যদি কোন কিছুর প্রয়োজন হয়, আমাকে তো আপনি জানাইতে পারেন? আমি তাহা পূরণ করিয়া দেব।”

আসলে ইহা ছিল ইমাম-তনয়ের জনপ্রিয়তাকে নিজের রাজনৈতিক সার্থসিদ্ধি হাছিলের অনুকুলে মালেকের অপচেষ্টা মাত্র। খলিফা মালেকের উপরোক্ত প্রস্তাবে জয়নাল আবেদীন বলিলেন, “ওহে আব্দুল মালেক। সবকিছু পূরণ করার মালিক আল্লাহতায়ালা। সুতরাং কাহারো কিছু প্রয়োজন হইলে তাহা আল্লাহতায়ালার নিকটেই জানানো উচিৎ।”

ইমাম-তনয়ের এহেন জবাবে মালেক ইবনে মারোয়ান অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয় কিন্তু সে সমস্ত ক্রোধকে মনের মধ্যে গুপ্ত রাখে। তারপর ইমাম জয়নাল আবেদীনের উপর বিভিন্ন মানসিক চাপ প্রয়োগের জন্য হীন কৌশলের আশ্রয় নেয়। সেই সময় মালেক ইবনে মারোয়ানের পক্ষে মদীনার গভর্ণর ছিলেন হযরত ওসমান (রাঃ) এর তনয় আবান। আবান ছিলেন অত্যন্ত সৎ, কোমল ও আহলে বায়েত হিতাকাংখী। তিনি ইমাম-তনয়কে অতিশয় শ্রদ্ধা করিতেন। মালেক ইবনে মারোয়ান ইমাম-তনয়ের উপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রথমেই বিনা কারণে মদীনার গভর্ণর আবান ইবনে ওসমান গণি (রাঃ) কে পদচ্যুত করিয়া তদস্থলে নিষ্ঠুর ও কঠোর বলিয়া পরিচিত হিশাম ইবনে ইসমাইল মাথযুমীকে নিযুক্ত করে। নিষ্ঠুর হিশাম মদীনায় আসিয়াই ইমাম জয়নাল আবেদীন (রঃ) ও তাঁহার অনুসারীদেরকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করিতে থাকে। সে মসজিদে নববীর মিম্বরে দাঁড়াইয়া ইমাম-নন্দনকে যাচ্ছেতাই গালাগালি করিতেও দ্বিধাবোধ করে না। হিশামের ধৃষ্টতা ও রূঢ় আচরণে ইমাম-নন্দনের অনুসারীগণেরা ক্রুদ্ধ হন। তাহারা হিশামকে সমুচিত শিক্ষা দেওয়ার সমুদয় প্রস্তুতি লইয়া ইমাম জয়নাল আবেদীনের নিকট অনুমতি প্রার্থনার জন্য যান। কিন্তু ইমাম-নন্দন সংঘর্ষের পথকে পরিহার পূর্বক অনুসারী ও ভক্তদেরকে ধৈর্যধারণ করিতে পরামর্শ দেন ও মহান বিচারক আল্লাহতায়ালার হাতে বিচারের ভার ছাড়িয়া দিতে বলেন। ইমাম জয়নাল আবেদীনের নির্দেশে তদীয় অনুসারীগণ সংঘর্ষের পথ পরিহার করেন। এদিকে হিশাম তাহার ইচ্ছামত ইমাম ভক্তদের উপর নিগ্রহ চালাইতে থাকে।

ইহার কিছুদিন পরেই আব্দুল মালেকের পুত্র হিশাম হজ্জ পালন উপলক্ষে বহু বন্ধু-বান্ধব ও লঙ্করসহ মক্কায় আসে। এবার কাবাশরীফে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে। কাবাঘর তাওয়াফকালে যুবরাজ হিশাম ইবনে মালেক বন্ধু-বান্ধবসহ তাওয়াফ করিতেছে। সরকারী কর্মকর্তারা যথাসাধ্য ভীড় কমাইয়া রাখিতে চেষ্টা করিতেছে। বহুকষ্টে যুবরাজ তাওয়াফ করিল। তারপর “হাজরে আসওয়াদ” চুম্বন করিতে চেষ্টা করিল। কিন্তু প্রচন্ড ভীড়ের কারণে চুম্বন করিতে ব্যর্থ হইয়া বন্ধু-বান্ধবসহ যুবরাজ হিশাম এক পার্শ্বে দাঁড়াইয়া রহিল।

কিছুক্ষণ পরেই হিশাম ইবনে আব্দুল মালেক লক্ষ্য করিল যে ইমাম জয়নাল আবেদীন (রাঃ) কিছু বুজুর্গ অনুসারী কর্তৃক পরিবেষ্টিত হইয়া “হাজরে আসওয়াদ চুম্বনের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হইতেছেন। সংগে সংগে হাজীদের ভীড় আপনা থেকেই হ্রাস পাইতেছে। ফলে বিনাকেশে ইমাম-তনয় “হাজরে আসওয়াদ” চুম্বন করিলেন। ইহা দৃষ্টে যুবরাজ হিশাম ইবনে আব্দুল মালেকের গায়ে জ্বালা শুরু হইল। সে অপমানে, লজ্জায় ও ক্ষোভে দ্রুত স্থান ত্যাগ করিতে উদ্যত হইল। এমন সময় তাহার একজন বন্ধু হিশামের নিকট জানিতে চাহিলেন যে, সম্মানিত ফকিরকে তিনি চেনেন কিনা? ক্ষুব্ধ ও অপমানাহত হিশাম তাচ্ছিল্যের সুরে জবাব দিল, কে জানে কোথাকার ফকির, তাহাকে চিনিতে হইবে নাকি?

এই সময়ে তৎকালীন আরবের শ্রেষ্ঠ কবি, ইমাম-নন্দনের ভক্ত আশেকে রাসুল, আবুল ফারাস ফেরাজদাক নিকটেই ছিলেন। যুবরাজ হিশামের অবজ্ঞাপূর্ণ কথা শুনিয়া তিনি আর ধৈর্য ধারণ করিতে পারিলেন না।
তৎক্ষণাৎ কবিতার সুরেই বলিষ্ঠ ভাষায় তিনি প্রতিবাদ করিলেল। বলিলেন,

“ওহে অন্ধ পাপীরা! তোমরা চেন না তারে। তিনি সে মহান সত্তা, যাহার পদক্ষেপগুলো মক্কাও চিনিতে পারে।
ইনি সে মহান পুরুষ, খোদ বায়তুল্লাহ জানে যার পরিচয়।
হেরেম তুমির কোন বালুকনার কাছেও তার কথা অবিদিত নয়।
ইনি জগতের সেরা মানুষের সেরা ইমামের সন্তান, অন্তর যার পাপ লেশহীন পুত পবিত্র মহান।
হৃদয় যাহার জ্ঞানের সাগর আর এলেমের ভান্ডার, তাকেই চিনে না একথা যে বলে লজ্জা নাই কি তার?
যিনি পবিত্র কাবার হাতীমে-পাথরে চুম্বন দিতে গেলে,
তাঁর পবিত্র সুরভীতে তারা উল্লাসে উঠে ছলে। শালীনতায় আভিজাত্যে তাঁর তুল্য কে আছে ভাই, মানুষের সব সেরাগুণ শেষ এখানে আর কিছু বাকী নাই ।
অজ্ঞ মুর্খেরা। এই মহৎ জনের পরিচয় যদি এখনও না জেনে থাক,
তবে আমি আজ বলি তার কথা সবে কান পেতে শুনে রাখ ।
ইনি রাসূল-দুহিতা ফাতেমার সুযোগ্য পুত্রের সন্তান। যার জনকের মাতামহ নবী রাসূলগণের সর্বশ্রেষ্ঠ জন।
শালীনতা ও বিনয়াধিক্যে সদাই দৃষ্টি আনত যার,
তবু তার চোখে চোখ রেখে কথা বলে,
এমন শক্তি কার?
তাঁর পেশানীর হেদায়েতী নূর জাহেলী এমনি করে বিনাশ,
যেমনি সূর্য নিম্ন আলো দ্বারা করে দেয় সব আধার নাম “

(আবুল ফারাসের কবিতার বংগানুবাদ মাওলানা আবদুর রহমান রচিত “জয়নাল আবেদীন” পুস্তিকা থেকে নেওয়া হইয়াছে)

আবুল ফারাসের নবী-প্রেমসিক্ত কবিতা শুনিয়া ইমাম তনয়ের অনুসারী ও ভক্তরা আনন্দে উল্লাসে তাকবির ধ্বনি দিতে থাকে। আর এই দুঃসাহসিক কবিতা আবৃতি শুনিয়া অপমানাহত যুবরাজ বন্ধু-বান্ধবসহ দ্রুত সেস্থান ত্যাগ করে।

এই অপ্রত্যাশিত ও অনাকাংখিত ঘটনায় ইমাম জয়নাল আবেদীন (রঃ) চিন্তিত হন। তাঁহার চিন্তা হয় আবুল ফারাসকে নিয়ে। তাহার কবিতাবৃত্তিতে যুবরাজ হিশাম যে অতিশয় অপমানিত ও লাঞ্ছিত হইয়াছে তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। আর অপমানাহত হিশামের পিতা নিষ্ঠুর আব্দুল মালেক ইবনে মারোয়ান যে ইহার প্রতিশোধও লইবে; তাহাতেও কোন সংশয় নাই।

হজ্জের সমুদয় পর্ব সমাপ্ত করিয়া আবুল ফারাস মদীনায় ফিরিবার পথে আব্দুল মালেকের সৈন্যগণ কর্তৃক বন্দী হন। বন্দীবস্থায় তিনি দামেস্কে নীত হন। আব্দুল মালেক তাহাকে কারাগারে বন্দী করিয়া রাখে। পুত্রের অপমানে পিতা আব্দুল মালেক ভীষণ ক্রুদ্ধ হন। তাহার ধারণা হয়-আবুল ফারাসের কবিতাবৃত্তির পিছনে জয়নাল আবেদীনের প্রচ্ছন্ন হাত আছে। ইহা তাহারই অপকৌশল ভিন্ন কিছু নয়। পূর্ব হইতেই জয়নাল আবেদীনকে আব্দুল মালেক সন্দেহ করিত। এবার আবুল ফারাসের কবিতাবৃত্তি ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারীদের আনন্দ-উল্লাসের কথা শুনিয়া তাহার ক্রোধ চরমে পৌঁছে। তৎক্ষণাৎ মদীনার গভর্ণর হিশাম ইবনে ইসমাইলকে নির্দেশ দেওয়া হয়ঃ ইমাম-তনয়কে গ্রেফতার করিয়া দুই পায়ে শিকল পড়াইয়া দামেস্কে প্রেরণ করা হউক।

হিশাম ইবনে ইসমাইল মাখযুমী পূর্ব হইতে নবী-বংশ বিদ্বেষী ছিল। মালেক ইবনে মারোয়ানের হুকুম পাওয়া মাত্রই সে ইমাম-তনয়কে বন্দী করিয়া দামেস্কে প্রেরণের ব্যবস্থা করে। ফলে মদীনায় ইমাম-নন্দনের অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু মদীনা ত্যাগ করিবার পূর্বে জয়নাল আবেদীন বিক্ষুব্ধ অনুসারীদেরকে শান্ত থাকিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বৎসগণ! তোমরা সংঘর্ষ ও রক্তক্ষয়ের পথ পরিহার কর। কারবালায় যে রক্ত আমি দেখিয়াছি তাহার পর আর রক্ত দেখিতে চাই না। তোমরা ধৈর্য ধারণ কর। আল্লাহ পাক যাহা করিতেছেন, নিশ্চয় ইহার মধ্যে মংগল নিহিত ।”

ইহার পর তিনি দামেস্কে নীত হন। দামেস্কের দরবার কক্ষে তখন আব্দুল মালেক ইবনে মারোয়ান পারিষদসহ বসিয়া আছে। এমন সময় ইমাম-তনয় কক্ষে বন্দীবস্থায় প্রবেশ করেন। তাহার নূরানী ও তেজদীপ্ত চেহারা দেখিয়া মালেক ইবনে মারোয়ানের হৃদকম্পন শুরু হয়। সে কিংকর্তব্যবিমূড় হইয়া তাৎক্ষণিকভাবে করনীয় কি-তাহা বিজ্ঞ পারিষদগণের নিকট জানিতে চাইলে স্বনামধন্য মোহাদ্দেস মোহাম্মদ ইবনে মুসলিম যুহরী বলেন, “ইমাম জয়নাল আবেদীনের কোন আচরণ রাজদ্রোহিতামূলক বা আপনাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যসূচক-এমন কোন প্রমাণ আপনার হাতে নাই। ইনি ফকির লোক। সর্বদাই এবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকেন। আমার মতে এমন মহৎ মানুষকে কোনরূপ কষ্ট না দেওয়াই উত্তম।” উক্ত পরামর্শে আব্দুল মালেক ইবনে মারোয়ান তৎক্ষণাৎ জয়নাল আবেদীন (রঃ) কে ছাড়িয়া দেন এবং মদীনায় পৌঁছাইয়া দেওয়ারও ব্যবস্থা করেন। সংগে মহাকবি আবুল ফারাসকেও মুক্তি দেওয়া হয়।

ইহার কিছুদিন পরেই আব্দুল মালেক ইবনে মারোয়ান প্লেগরোগে আক্রান্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করে। তাহার ইন্তেকালের পরে মুসলিম সাম্রাজ্যের মসনদে বসেন আব্দুল মালেকের জ্যেষ্ঠ পুত্র ওলিদ। শাসন কার্য পরিচালনা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি পিতার মতই যোগ্য ছিলেন। এতদ্ব্যতীত তাহার মধ্যে আরও কিছু গুণের সমাবেশ লক্ষ্য করা যায়। তিনি সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও দয়ালু ছিলেন; নবী-বংশের হিতাকাংখী ছিলেন। তাহার পিতা যেমন ইমাম জয়নাল আবেদীনের সাথে শত্রুতা পোষণ করিত, তিনি তেমনটি কখনোই করেন নাই। তিনি ক্ষমতায়। অধিষ্ঠিত হইয়াই পিতা কর্তৃক নিযুক্ত মদীনার গভর্ণর নিষ্ঠুর হিশাম ইবনে ইসমাইলকে পদচ্যুত করিয়া তদস্থানে পিতৃব্য ভ্রাতা ওমর ইবনে আব্দুল আযীযকে গভর্ণর নিযুক্ত করিয়া মদীনায় পাঠান।

সূত্র: শাহ্সুফি খাজাবাবা ফরিদপুরীর নসিহত শরীফ, নসিহত নং-৫০

আরো পড়ুনঃ
Sufibad24.com | WhatsApp চ্যানেল

Sufibad24.com | Telegram Channel