হোমপেজ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:৭

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:৭

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল-পর্ব:৭

গুলিস্তান থেকে- বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, আমার দেখা ৪০-বছর।

-আব্দুল হান্নান

পীর’ মুরীদের ভালবাসা চোখে না-দেখলে বুঝা যায়না। সে যুগের বা সে সময়ে জাকের ভাই দের মাঝে কি যে মহব্বত ছিলো তা লিখে বুঝানো সম্ভাবনা এক মাত্র ভুক্তভোগীরাই যানের। পীর কেবলা’জান ১ নাম্বার হুজরা’শরীফের বারান্দায় বসে বালটি তে করে রসে চুবানো রসগোল্লা মিস্টি বিতর বাড়ি থেকে নিয়ে আসতেন, সকল জাকের ভাই বারান্দায় বসতেন খাজাবাবা নিজ হাতে সবাইকে মিস্টি দিতেন সকালে মিলে খাইতেন ইহা দেখে খাজাবাবা কি যে খুশি হইতেন বলে বুঝানো যানা ।

এত আনন্দর মাঝে হটাৎ করেই আমাদের কাছে চলে আসলেন এক বেদনা দায়ক দিন পীর আম্মাজান’হুজুর বা ছোট আম্মাজান, আমাদের ছেড়ে দারুল বাকায় তসরিফ নিলেন ১৯৮৬ সালের ৩ পৌস শুক্রবার সকাল ৮ ঘটিকায়! খবর পেয়ে আমরা যার যার মত দরবার চলে আসলাম , আম্মা’জানের নামাজে জানাজা, শরিয়তের বিদায় কাজ শেষ হইলো।

পীর আম্মাজান খাজাবাবা-কে অনেক ভালবাসা তেন, খাজাবাবা’ বলতেন বাবা আপনাদের ছোট আম্মাজান আমাকে এতোই ভালবাসতেন যে আমার মাঝে মাঝে মনে হইতো আমি না-জানি আল্লাহ কে ভুলিয়া যাই! কেমন ভালবাসা ভাসি ছিলেন তিনি দের মাঝে!

কিছুদিন পর বা কয়েক মাস পরে, আমার সঠিক সময় মনে নাই। পীর কেবলা ‘জান হুজুর’ আল্লাহতালা-র দিদার বা’ আশেক আর মাশুক টানে বিতর বাড়ি তে!…. আমরা অনেক চিন্তাতে পরে গেলাম। সে সময় খাজাবাবা-র শরিয়তের দেখ ভলের দাইক্ত ছিলেন (ডাঃ বি চৌধুরী সাহেবের কাছে) তিনি পরিক্ষা নীরিক্ষা করতেন কেবলা’জানের। এদিকে জাকের বোনেরা মাতম শুরু করে দিলেন আল্লাহতালা-র দরবারে জাকের ভাইয়েরা কে কি করবে এই চিন্তা সবাই ব্যস্ত, হঠাৎ করে একটি খবর পেলাম অনেক কষ্ট দায়ক।

আমি সহ, শরিফ আহমেদ ভাইজান, সুলতানা ভাই, করিম ভাই আরো অনেক জাকের ভাই সাথে সাথে আমার একটি বাস ভাড়া করে রাত তিন টায় দরবারে চলে আসলাম। সকাল বেলায় শুনতে পারলাম না কিছুই হয় নাই সব কিছুই ভাল আছেন।

সে সময় অনেক কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘোটেছে শুনেছি কিন্তু আমি নিজের চোখে দেখিনি বলে লিখলাম না। কিছুদিন পর বা কয়েক মাস পর, আমার মনে নাই সঠিক সময় কতদিন ছিলেন। দরবার শরীফ থেকে খবর পেলাম ঢাকায়, খাজাবাবা বিতর বাড়ি থেকে ৩ নাম্বার আসছেন!জাকের ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ দেন কিন্তু এদিকে জাকের বোনেরা আহাজারি শুরু করে দিলেন। ( শুনেছি আম্মা’হুজুরের বিদায় সংবাদ পেয়ে একজন জাকের বোনে চিতকার দিয়ে মাথা বিক্তিত হয়ে গিয়েছিলো) জাকের বোনদের কান্নাকাটিতে খাজাবাবা ৩ নাম্বার হুজরা’শরীফে এসে সকাল ৯ টায় বলেন।

পূর্ব দিকের গ্রিলে শরিয়তের পরদা টানাতে। মাইকে হুজুর কেবলা’জান বলেন মায়েরা আমার শুনেন আজ থেকে আমি আপনাদের ‘মা’ ও আমি ‘বাবা’ ও , সেই থেকে চালু হলো পরদার আড়াল থেকে বোনেরা নালিশ দিতেন তিনি শুনতেন ভাল মন্দ উপদেশ দিতেন। আসতে আসতে খাজাবাবা আবার হাটা চলা শুরু করলেন।

আমার দেখা ৪০ বছর! খাজাবাবা ফরিদপুরী ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ‘ নিয়ে লেখতে চাই আপনাদের মতামত জানাবেন আশা রাখি।

চলবে……

পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন:

গুলিস্তান থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল- (সবগুলো পর্ব পড়ুন)